“দেব ভালো মানুষ… কিন্তু বাবার মতো সব গুণ নেই”— নিজের সম্পর্ক নিয়ে অকপট রুক্মিণী মৈত্র! বাবার কোন আদর্শ গুণগুলো দেবের মধ্যে খুঁজে না পাওয়ার কথা জানালেন অভিনেত্রী?

সম্পর্ক, পরিবার আর ব্যক্তিগত পছন্দ—এই তিনটি বিষয় নিয়ে একজন তারকা যখন খোলাখুলি কথা বলেন, তখন তা স্বাভাবিক ভাবেই দর্শকদের আগ্রহ বাড়িয়ে দেয়। ব্যক্তিগত জীবনের ছোট ছোট মুহূর্ত কখনও কখনও মানুষকে আরও কাছে নিয়ে আসে নিজের প্রিয় তারকার। ঠিক সেরকমই ঘটল রুক্মিণী মৈত্রের ক্ষেত্রে। নতুন ছবির প্রচারে এসে তিনি নিজের পরিবারের প্রতি ভালোবাসা, বাবা-মায়ের সম্পর্কের স্মৃতি এবং কিছু ব্যক্তিগত ইচ্ছের কথা অত্যন্ত সহজ-সরল ভাষায় ভাগ করে নিলেন।

শীঘ্রই মুক্তি পেতে চলেছে রুক্মিণী মৈত্র অভিনীত ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’। ছবির প্রচারে তিনি একের পর এক অনুষ্ঠানে হাজির হচ্ছেন দেবের সঙ্গে। ট্রেলার প্রকাশের পর থেকেই দর্শকদের মধ্যে ছবিটি নিয়ে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। রুক্মিণী জানিয়েছেন, সিনেমাটি শুধুমাত্র বিনোদন নয়, এর মধ্যে রয়েছে পারিবারিক আবেগ, সম্পর্কের সূক্ষ্ম টানাপোড়েন এবং এক মিষ্টি যাত্রার গল্প। এই মুভি ঘিরেই সাম্প্রতিক সময়ে প্রচারে অংশ নিয়ে তিনি নিজের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কেও দর্শকদের সামনে কিছু মধুর কথা শেয়ার করেন।

অভিনেত্রী স্পষ্ট জানিয়েছেন, জীবনের সঙ্গী হিসেবে তিনি নিজের বাবার মতো মানুষকে চান। কারণ রুক্মিণীর বাবা তাঁর মাকে যে ভালোবাসা দিতেন, তা তাঁর কাছে আজও আদর্শ। তিনি স্মৃতি ভাগ করে বলেন—বাবা সবসময় বলতেন, ‘আমার বউ সবার থেকে বেশি সুন্দর।’ এমনকি তাঁর বাবার ঘরে আজও তাঁর মায়ের বড় ছবি টাঙানো। রুক্মিণীর মতে, এই ভালোবাসার গভীরতা তিনি খুব ছোট থেকেই দেখেছেন।

দেবের প্রসঙ্গ উঠতেই রুক্মিণী জানান—দেব শান্ত স্বভাবের হলেও, তাঁর বাবার মতো সব গুণ দেবের মধ্যে নেই। তিনি বলেন, “দেব ভালো মানুষ, কিন্তু বাবার যা যা গুণ, সবটা দেবের মধ্যে পাই না।” তবে দেবের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের প্রসঙ্গে তিনি জানান, আগামী ২৮ নভেম্বর তিনি দেবের সঙ্গে ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’ দেখতে যেতে চান। আর অভিনেত্রীর ছোট একটা স্বপ্ন—কলকাতায় দেবকে নিয়ে এমন এক লং ওয়াক করা, যেখানে কেউ তাদের চিনবে না।

আরও পড়ুনঃ ‘আমি আসলে সব ডিজিটালি করি বলে কিছু হয় না…যেমন কৃষ্ণ করত, তাই ধরা পড়িনি!’ পার্থর ‘বান্ধবী’ মন্তব্যের জবাবে কৃষ্ণ-উপমা টেনে খোঁচা মদন মিত্রের! বড়পর্দায় আসছে ‘লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল’, তার আগেই জানালেন ডিজিটাল যুগে বন্ধুত্ব-বান্ধবী বিতর্ক এড়াতে কি করেন বিধায়ক?

পরিবারের প্রসঙ্গে রুক্মিণী জানান, তাঁর মাকে নিয়ে তিনি খুব শিগগিরই প্যারিস এবং ভেনিস ভ্রমণে যেতে চান। ছোটবেলা থেকেই মা–মেয়ের মধ্যে ভ্রমণের ইচ্ছে থাকলেও নানা কারণে সেই পরিকল্পনা সম্পূর্ণ হয়নি। তাই এবার নিজের কাজের ব্যস্ততা একটু কমলেই তিনি মাকে নিয়ে বিদেশে সময় কাটাতে চান। রুক্মিণীর কথায়, জীবনের সমস্ত সাফল্যের মাঝে পরিবারের সঙ্গে এমন সময় কাটানোই তাঁর কাছে সবচেয়ে বড় উপহার।