দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে বাংলা সিনেমায় ফিরল গজলের সুর। আধুনিক বাংলা ছবিতে বহুদিন ধরেই যেন শূন্যতা ছিল এই ধারার গানের। কিন্তু পরিচালক অরিন্দম শীলের আগামী ছবি মিতিন – একটি খুনির সন্ধানে সেই অভাব পূরণ করতে চলেছে। তারই জন্য তৈরি হয়েছে এক মায়াবী বাংলা গজল, আর গেয়েছেন চন্দনা চক্রবর্তী—প্রথমবার ছবির জন্য প্লেব্যাক। পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর সহধর্মিণী হলেও তিনি নিজ গুণে বহু সম্মানের অধিকারী, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত শিল্পী।
গজলটির কথা লিখেছেন সুতপা বসু এবং সুর দিয়েছেন জিৎ গাঙ্গুলি। সুরের ছন্দে রয়েছে তবলা, সরোদ, বাঁশি এবং গিটারের মন ছুঁয়ে যাওয়া সঙ্গতি। গানটি পর্দায় অনুসূয়া মজুমদারের লিপে দেখা যাবে। যদিও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তি পায়নি, রেকর্ডিং শুনেই অনেকে বলছেন, গানটি বাংলা সংগীতজগতের নতুন স্মৃতির জন্ম দেবে।
চন্দনাকে রাজি করানো ছিল কঠিন। তিনি ব্যক্তিগতভাবে কখনও প্লেব্যাকের প্রতি আগ্রহ দেখাননি। অরিন্দম ও জিৎ প্রথমে পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর সঙ্গে কথা বলেন। প্রথমে দ্বিধা থাকলেও গানের স্ক্র্যাচ শুনেই অজয় চক্রবর্তী নিজেই জানিয়ে দেন, চন্দনা গানটি করবেন। এরপরই শুরু হয় প্রস্তুতি। বাঁধা সময়সূচির বাইরে রাত গভীর হলে চন্দনা প্র্যাকটিস করতেন, কারণ গানটি ছোট হলেও আবেগে ভরা।
রেকর্ডিংয়ের দিন সবকিছু ঘটে অবিশ্বাস্য দ্রুততায়। মাত্র পনেরো মিনিটে গান শেষ করেন তিনি। প্রত্যুষ বন্দ্যোপাধ্যায় বিস্ময় লুকোতে পারেননি, এত দ্রুত এবং নিখুঁত প্লেব্যাক নাকি সচরাচর শোনা যায় না। যদিও চন্দনা নিজেই বিনয়ী ভঙ্গিতে বলেছিলেন—আরও সময় পেলে হয়তো অনুভব আরও সূক্ষ্ম করা যেত। কিন্তু জিৎ গাঙ্গুলির কথায়, “তুমি যা গেয়েছ, তাতে মাথা ঠান্ডা রাখা কঠিন।”
আরও পড়ুনঃ দুরন্ত ছবি অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস! ‘ঘটি-বাটি বেচে বানানো ছবি!’ অভাব-অভিযোগ পেরিয়ে জয়ব্রত দাসের লড়াই সফল, মুক্তি পিছিয়েও প্রথম শো-তেই হাউসফুল! প্রথম ছবিতেই নবাগত পরিচালকের বাজিমাত! কী বলছেন দর্শক থেকে ছবির শিল্পীরা?
আসছে বড়দিনেই মুক্তি পাবে মিতিন মাসি। ছবির সঙ্গে এই গানও পৌঁছে যাবে দর্শকের হৃদয়ে, এমনটাই আশা করছেন সকলে। তবে চন্দনার সবচেয়ে বড় ইচ্ছে, একদিন সিনেমাহলে বসে বড় পর্দায় নিজের কণ্ঠে গাওয়া গানটি শুনবেন। তাঁর কথায়, “ওটিটিতে নয়, সিনেমাহলের ভরাট শব্দেই গানটার আসল সৌন্দর্য।”






“ও মাই গড! এমন গ্ল্যামারাস প্রযোজক, কাঞ্চন ভীষণ মিস করছে!” শ্রীময়ীর ভাইরাল মন্তব্য ঘিরে ফের শোরগোল! ‘এমন একটা স্ত্রী হলে আর চিন্তা নেই, নির্লজ্জের মতো স্বামীর জন্য নতুন সুন্দরী খুঁজতে বেরিয়েছে!’ ‘তিনটে বিয়ে করেও শখ মেটেনি! আরও গ্ল্যামারের মেয়ে দরকার?’ কটা’ক্ষবিদ্ধ কাঞ্চনপত্নী!