টলিউডের প্রিয় চিত্রগ্রাহক সৌম্যদীপ্ত গুইন, যাকে সবাই ভিকি নামে চিনতেন, রবিবার হঠাৎই আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। কসবার বাড়ি থেকে ঝুল’ন্ত অবস্থায় তাঁর দে’হ উদ্ধার করা হয়েছে। এই আকস্মিক মৃ’ত্যুতে টলিপাড়া স্তম্ভিত এবং সহকর্মীরা শোকস্তব্ধ। তাঁর অনুপস্থিতি এখন টলিউডে যেন এক গভীর শূন্যতা তৈরি করেছে, যা আর সহজে পূর্ণ হবে না। অনেকেই তাঁর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাকে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করছেন।
প্রসঙ্গত, সৌম্যদীপ্ত দীর্ঘদিন ধরে পরিচালক প্রেমেন্দুবিকাশ চাকীর সঙ্গে কাজ করেছেন। তিনি রাজা চন্দর পরিচালিত ‘হালুম’ ছবিতেও চিত্রগ্রাহক হিসেবে যুক্ত ছিলেন। পরিচালক রাজা জানান, ভিকি নিয়মিত কাজ করতেন এবং কখনও তাঁর মধ্যে মানসিক অবসাদের ছাপ লক্ষ্য করা যায়নি। তাঁর কর্মক্ষমতা এবং পেশাদারিত্বে কখনও কোনও প্রশ্ন ওঠেনি, যার জন্যই তিনি টলিপাড়ার এক প্রিয় মুখে পরিণত হয়েছিলেন। কিন্তু এমন একজন কর্মঠ মানুষ কেন হঠাৎ নিজের জীবনকে শেষ করার সিদ্ধান্ত নিলেন, তা এখনও সবার কাছে অবিশ্বাস্য!
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ভিকি কিছুদিন ধরে মানসিক চাপ ও অবসাদে ভুগছিলেন। তবে, তার এই মানসিক অবস্থার পেছনে কি কারণে গভীর প্রভাব পড়েছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রিয় সহকর্মীরা জানান, সে কখনও এই ধরনের কোনও সংকটের কথা কাউকে বলেছিল কিনা, সেটা নিয়েও এখনও সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। এতদিন ধরে বন্ধুবান্ধব, সহকর্মীদের মধ্যে তিনি ছিলেন হাস্যোজ্জ্বল ও উদ্যমী, তারপরেও কেন এমন অপ্রত্যাশিত সিদ্ধান্ত নিলেন? সেটা এখনো একটি প্রশ্নবোধক চিহ্ন হয়ে রয়েছে।
দে’হ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, এবং পুলিশ মৃ’ত্যুর প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখছে। এদিন ফেডারেশন জানিয়েছে, প্রয়াত চিত্রগ্রাহকের পরিবারের হাতে ১৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। টলিপাড়া ও সহকর্মীরা শোক প্রকাশ করছেন, তবে ভিকির আকস্মিক চলে যাওয়া এখনও মানতে পারছেন না। তাঁর পরিবারও এই অপ্রত্যাশিত ঘটনা মেনে নিতে পারছে না, যা শুধু তাঁদের জন্য নয়, বরং পুরো টলিউড পরিবারের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।

আরও পড়ুনঃ ‘প্রকৃত শিল্পী অন্যকে নিচে টেনে নিজেকে বড় দেখানোর চেষ্টা করে না… এটা নিতান্তই ছোট মনের কাজ!’ ‘একজন তারকা ব্যক্তিগত অহংকারের আগে কাজ এবং দর্শকদের প্রাধান্য দেন!’, ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’এ নতুন অপর্ণা হিসেবে গুঞ্জন উঠতেই প্রত্যুষার ইঙ্গিতবাহী পোস্ট! কাকে করলেন নিশানা?
সৌম্যদীপ্তর মৃ’ত্যু এখনও অনেকের কাছে রহস্যময় ঠেকছে। কেন তিনি এই চরম সিদ্ধান্ত নিলেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়। টলিউডের জন্য এটি একটি বড় ক্ষতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ভিকির মৃ’ত্যু শুধু তার পরিবারের ওপরই গভীর প্রভাব ফেলেনি, বরং পুরো টলিপাড়া তার শূন্যতায় শোকাহত। এমন একজন অভিজ্ঞ এবং প্রতিভাবান চিত্রগ্রাহকের চলে যাওয়া যে কোনভাবেই সহজভাবে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়, তা এখন সব সঙ্গীত ও সিনেমাপ্রেমী মানুষের কাছে এক বিরাট ক্ষতি।






