পদ্মভূষণে সম্মানিত হয়েছিলেন, কিন্তু মৃ’ত্যুতে কেন পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সম্মান পেলেন না ধর্মেন্দ্র? গান স্যালুটসহ সমস্ত সম্মান কেন প্রত্যাখ্যান করল পরিবার?

বলিউডের ‘হিম্যান’ আর নেই। তবে তাঁকে ঘিরে আলোচনার আগুন এখনও দাউ দাউ করে জ্বলছে। ভারতীয় সিনেমার কিংবদন্তি ধর্মেন্দ্র, যিনি সর্বত্র ছিলেন সম্মানের আসনে, তাঁর শেষযাত্রা নিয়ে এখন প্রশ্নের ঝড়! এত বড় তারকা, পদ্মভূষণ প্রাপ্ত, আবার প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ—তাঁর শেষকৃত্যে কেন দেখা গেল না ২১ তোপের স্যালুট বা রাষ্ট্রীয় মর্যাদা? এ নিয়েই শুরু হয়েছে প্রবল বিতর্ক।

ধর্মেন্দ্র শুধু অভিনেতা নন, তিনি ছিলেন ভারতীয় সিনেদুনিয়ার ইতিহাস। হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি ছিলেন প্রথম দিকের ‘মাসল আইকন’। তিনশোরও বেশি ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। তাঁর জনপ্রিয়তা ছিল এমনই যে অমিতাভ বচ্চন বা শাহরুখ খানের মতো তারকারাও সংখ্যার বিচারে পিছিয়ে পড়েন। বাস্তব জীবনে তিনি ছিলেন সৌম্য, আবার প্রয়োজন পড়লে যথেষ্ট দাপুটে। মুম্বইয়ের আন্ডারওয়ার্ল্ড পর্যন্ত তাঁকে শত্রু করতে ভয় পেত—এমনটাই বলিউডের গপ্পো।

কিন্তু তাঁর চলে যাওয়ার পদ্ধতি ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। যেখানে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ছিল শেষবার তাঁকে দেখার, সেখানে পরিবারের সিদ্ধান্তে সব কিছুই ছিল নিভৃত আর খুব ব্যক্তিগত। মুম্বইতে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে অত্যন্ত নীরবে। এমনকি অনুরাগীরাও জানতে পারেননি সময়মতো। সেই থেকেই উঠছে প্রশ্ন—এতটা চুপিসারে কেন?

বলিউড সূত্রের খবর, প্রথমে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্যের অনুমোদন ছিল। গান স্যালুটসহ সমস্ত সম্মান পাওয়ার কথা ছিল ধর্মেন্দ্রর। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পরিবারই নাকি সেই সম্মান প্রত্যাখ্যান করে। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, কিছুদিন আগে তাঁর মৃ’ত্যু নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। তাতে দেওল পরিবার খুবই অপমানিত ও ক্ষুব্ধ হয়েছিল। সেই ঘটনাই নাকি তাঁদের সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য করে।

আরও পড়ুনঃ “থপথপে চেহারায় ধপধপে নাচ! ওনার থেকে অনেকেই ভালো নাচ, তৈল মর্দন করতে পারে না বলে সুযোগ নেই”, “কি জঘন্য নাচছেন! থামতে জানাও একটা আর্ট, ওনার এবার থামা উচিত!” কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের নাচ নিয়ে সমাজ মাধ্যমে চরম সমালোচনার ঝড়!

যদিও পরিবারের পক্ষ থেকে এই খবর নিশ্চিত করা হয়নি, তবে বলিউডের অন্দরমহলে এখন এটাই প্রচলিত মত। এর মধ্যেই ভক্তদের মনভাঙা প্রশ্ন—এত বড় মানুষের বিদায় কি এতটাই নীরবে হওয়া উচিত ছিল? যেভাবেই হোক, এক যুগের অভিনেতার বিদায় সেই আবেগ আর প্রশ্নের সঙ্গেই ইতিহাস হয়ে রইল।