গত রবিবারের সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের (Sudipa Chatterjee) সঙ্গে ঘটে গিয়েছে এক অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা! ছোট ছেলে আদিদেবকে সঙ্গে নিয়ে তিনি একটি সাধারণ অ্যাপ ক্যাবে ওঠেন, কিন্তু শুরুতেই সামান্য কথাবার্তা একটি উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে রূপ নেয়। গাড়ির চালক কিছুতেই মিষ্টির দোকানে কয়েক মিনিট থামতে রাজি হন না, পরবর্তীতে রুট পরিবর্তনের চেষ্টা করেন। সুদীপার স্বাভাবিক প্রতিবাদকে তিনি আক্রমণাত্মক ভাষা এবং হুমকিতে রূপান্তরিত করেন, যা একটি সাধারণ যাত্রাকে অবিশ্বাস্যভাবে ভয়ঙ্কর করে তোলে!
ঘটনার চরম পর্যায় আসে, যখন সুদীপা বুঝতে পারেন যে চালক তার ভাষা ও পরিচিতি নিয়ে বিভ্রান্ত। হিন্দিতে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করা এবং নির্দিষ্ট ধর্মীয় ভেদাভেদ তুলে ধরার চেষ্টা শুরু করেন। সুদীপা স্বচ্ছভাবে জানিয়েছেন, তিনি কখনও কাউকে আঘাত করতে চাননি তবুও নিজের এবং সন্তানের নিরাপত্তার জন্য অবিলম্বে প্রতিরোধ করতে বাধ্য হন। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে প্যানিক বটনও কার্যকর হয় না এবং শুধুমাত্র ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতিতেই গাড়ি থামানো সম্ভব হয়।
চালকের আচরণে স্পষ্ট যে তিনি বাংলার সংস্কৃতির বাইরে গিয়ে ধর্মভিত্তিক বিভাজন সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছেন। সুদীপা বলেন, তার পোশাক দেখে চালক বুঝতে পারেননি যে তিনি একজন হিন্দু বাঙালি। এর ফলে, গাড়ি থেকে নামার পর চালক জোর করে দাবি করেন যে সুদীপা নাকি হিন্দুদের অপছন্দ করেন! চালকের গায়ে হাত তুলেছেন এবং মুসলিমদের ব্যবহার করে হিংসা চালাবেন বলেছেন! যদিও সুদীপা এমন কিছুই বলেননি। যে অপরিচিত রাস্তা দিয়ে চালক নিয়ে যাচ্ছিলেন, সেটি আসলে একটি মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা।
নিরাপত্তার জন্য তিনি কেবল বলেছিলেন যে এটি বিপজ্জনক কিন্তু চালক তা ধর্মভিত্তিক প্রেক্ষাপটে তুলে দেন! সুদীপার কথায়, ‘আমি শুধু বলেছিলেন যে এটা কিন্তু মুসলিম এলাকা, এর মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন! সেটাকেই উনি ধর্মভিত্তিক পর্যায় নিয়ে চলে গেছিলেন। অভিনেত্রী বলেছেন, ‘বাংলার সংস্কৃতি এমন কোন দিনও ছিল না, বাঙালি এসব ধর্মবিদ্বেষের অনেক ঊর্ধ্বে। এমন অযৌক্তিক অভিযোগ এবং ধর্মভিত্তিক বিভাজন সত্যিই হৃদয়বিদারক, কারণ বাংলার এমন ধরনের ভাবে না।’
আরও পড়ুনঃ “বাংলা মা’রা গেছে, তার শ’বদে’হ খুব’লে খুব’লে খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন প্রকাশ্য রাস্তায় ফেলে!” “প্রথম বিশ্বের দেশে বামফ্রন্টই আছে, এখানে ইলেকশন কমিশনের কারচুপিতেই শূন্য!” চন্দন সেনের বি’স্ফোর’ক দাবি! সরাসরি আক্রমণে তাপমাত্রা চড়ল আবারও!
অভিনেত্রী আরও বলেছেন, তিনি সাধারণভাবে নিজের গাড়ি ব্যবহার করেন এবং খুব প্রয়োজনেই অ্যাপ ক্যাবের সাহায্য নেন। এমন অভিজ্ঞতা নতুন নয়, তবে এবারের ঘটনাটি ছিল বিশেষভাবে বিপজ্জনক। তিনি দৃঢ়ভাবে জানিয়েছেন, ভবিষ্যতেও এমন কোনও অবিচার হলে তিনি নীরব থাকবেন না। প্রতিবাদ করার অধিকার এবং নিরাপত্তা সবারই সমান। তিনি চাইছেন, যাতে ভবিষ্যতে প্রত্যেকে বাংলার সংস্কৃতির মূল সৌন্দর্য-ধর্মনিরপেক্ষ সহাবস্থান-বুঝতে পারে এবং অহেতুক বাঙালিদের উপর ব্যক্তিগত রাগ থেকে এমন কিছু না করে।






‘মেয়েটাকে দেখলেই ওর বাবার কুকীর্তি আর অন্য সন্তানের সঙ্গে হওয়া অন্যায়ের কথা মনে পড়ে যায়!’ সোশ্যাল মিডিয়ায় কৃষভিকে নজিরবিহীন আক্রমণ নেটিজেনের! রেগে আগুন শ্রীময়ী