আজকে নয়, বহুদিন ধরেই বিশিষ্ট অভিনেতা ‘চন্দন সেন’কে (Chandan Sen) ঘিরে প্রশংসার পাশাপাশি সমালোচনা এবং বিতর্কও চলে আসছে। তাঁর স্পষ্টবাদী মানসিকতা, রাজনৈতিক অবস্থান এবং বামপন্থী ভাবনাচিন্তা নিয়ে নানা মহলে আলোচনা হয়েছে বারবার। তবু এইসবের বাইরে দাঁড়িয়েও তিনি নিজেকে প্রথমে একজন শিল্পী এবং দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবেই পরিচয় দিতে চান। মা’রণ রোগ, আর্থিক চাপ থেকে দলীয় সমালোচনা, কোনও কিছুই তাঁর নীতিতে আঁচড় কাটতে পারেনি! বরং তাঁর কিছু সিদ্ধান্ত আরও একবার দেখাল যে তিনি কথার থেকেও কাজে বেশি বিশ্বাসী।
সম্প্রতি ধনধান্য অডিটোরিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে ‘সেরা শ্বশুর’ বিভাগে টেলি সম্মান গ্রহণ করার পর থেকেই তাঁর উপস্থিতি নিয়ে শুরু হয় নতুন করে কটাক্ষ। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, সমালোচনা করেও কেন তিনি সরকারি অনুষ্ঠানে গেলেন। কিন্তু চন্দন সেন এসব বিচারে বিচলিত হননি। কারণ তাঁর কাছে পুরস্কারের মূল্য ছিল মানুষের স্নেহ আর সেই সম্মান হাতে পাওয়ার পরও তিনি নিজের লাভের কথা না ভেবে পুরো এক লক্ষ টাকাই দান করে দেন চারটি সংস্থায়। সংস্থাগুলোর কাজ ক্যা’ন্সার আক্রান্ত শিশুদের সহায়তা থেকে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, সামাজিক সেবা, এমনকি অভয়া মঞ্চেও।
সবই সমাজমুখী কাজ, আর তার জন্য তিনি ২৫ হাজার টাকা করে দিলেন। ব্যক্তিগত দিক থেকে দেখলে তাঁর এই সিদ্ধান্ত আরও বিস্ময়কর। নিজে ক্যা’ন্সারের মতো রোগের সঙ্গে লড়াই করছেন, চিকিৎসার খরচ বাড়ছে প্রতিদিন। তাঁর নাট্যদলও আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে। এই অবস্থায় দানের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া যে কতটা কঠিন, তা সহজেই অনুমেয়। তবু, আগেও সরকারি পুরস্কারের অর্থ চা-বাগানের শ্রমিকদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন তিনি। এদিকে, রাজ্যের নানা সমস্যায় তিনি বরাবরই সরব।
এসএসসি দুর্নীতি থেকে প্রশাসনের অব্যবস্থা, ছাত্র আন্দোলনে পুলিশি দমন বিষয়ে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট। সাম্প্রতিক এক আলোচনায়ও তিনি রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছেন এবং সেই বক্তব্যই আবারও আলোড়ন তুলেছে! তিনি সোজাসুজি বলেছেন, “বাংলা মা’রা গেছে তো বটেই, কিন্তু তারপর তার শবদেহ খুবলে খুবলে খাওয়ার জন্য ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন প্রকাশ্য রাস্তায় ফেলে দিয়ে! বাংলার আর কি বেঁচে আছে বলুন তো? কর্মসংস্থান নেই, স্বাস্থ্য নেই, শিক্ষাও নেই!
আমি বিশ্বাস করি শ্রেনী রাজনীতিতে, নতুন কর্মসূচি নিয়ে বামেরা মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। ঘরে তো বামফ্রন্ট কোনোদিনই বসে থাকেনি। এই ১৪ বছরে বড় বড় মিছিলে পুলিশ যতজনকে মেরেছে, তাদের অধিকাংশই ছাত্র নেতারা। নৃশংসভাবে মেরেছে তাদের। আরজি করের আন্দোলনের শেষদিকে তো প্রমাণও হয়ে গিয়েছিল যে, যারা কোনদিনও রাস্তায় বেরোয়নি তারাও কেন বেরোচ্ছিল! আসলে এই ১২-১৪ বছরের জলে থাকা ঘৃণা আর রাগ থেকেই তারা বেরিয়েছিল। কেন্দ্র সাথে আছে বলে এদের ভোটে কোনও সমস্যা হচ্ছে না।
আরও পড়ুনঃ রঙিন পার্টি, বাড়তে থাকা উত্তেজনা আর তারপরেই প্রযোজকের বাড়ির বাথরুমে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার হন অভিনেত্রী স্বস্তিকা দত্ত! কী এমন ঘটেছিল সেই রাতে?
তবে সাধারণ মানুষকেও বুঝতে হবে যে, এই সরকার চলে গেলে ভাতা কোনদিনও বন্ধ হবে না। একবার ভাতা শুরু হয়ে গেলে সেটা আর ফেরানো যায় না! যদি বিশ্বের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হয়, তাহলে বোঝা যাবে ইউরোপের পাশাপাশি ল্যাটিন আমেরিকারও অধিকাংশই এখন বামফ্রন্টের অধীনে। এদেশে শুধুমাত্র ইলেকসন কমিশনের কারচুপির জন্য বামফ্রন্ট কিছু করতে পারছে না।” এই বক্তব্য একদিকে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থানকে আবারও স্পষ্ট করেছে। সমালোচনার মুখেও তিনি আজও অবস্থান বদলান না, বরং নিজস্ব ভাবনাকে শক্তভাবে তুলে ধরেন।






ধ’র্ষণ এ যুগেও আছে, রামের সময়েও ছিল, সীতাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল রাবণ, ধর্ষ’ণ করতে না পারলেও ওকে অচ্ছুৎ করে দিয়েছিল! অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর ধ’র্ষণ মন্তব্যে ফের তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া