‘বাড়িতে অপরাধী ছেলের নাম উচ্চারণও চলবে না, আর না পারলে বুড়ো বয়সে অন্য আশ্রয় খুঁজুন!’ লক্ষ্মীমণিকে সাফ শর্ত কমলিনীর! লক্ষ্মীমণির মতো শাশুড়িকে উচিত শিক্ষা দিয়েছে কমলিনী! সাধুবাদ নেটপাড়ার

স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) সাম্প্রতিক পর্বগুলোতে স্বতন্ত্র আর কমলিনীর জীবনের মোড়টা এমন জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে যেখানে, দু’জনের মনে নিঃশব্দে জমে থাকা বহু পুরনো ক্ষোভ একসাথে ফেটে বেরোচ্ছে। বহু দিনের বন্ধুত্ব থেকে প্রেমে আর প্রেম থেকে বিয়ের সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর পথটা তাদের কাছে যতটা ব্যক্তিগত, অনেকের কাছে ঠিক ততটাই অস্বস্তিকর। বিশেষ করে লক্ষ্মীমণি দেবীর আচরণ এখন বাড়ির পরিবেশকে আরও ভারী করে তুলছে। সামান্য কথাতেই তিনি এমনভাবে কেঁদে ভেঙে পড়েন যে বাইরে থেকে দেখলে মনে হয় যেন তার ওপর সবাই অত্যা’চার করছে!

চন্দ্রের গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনাটা তিনি যেন একটা হাতিয়ার বানিয়ে ফেলেছেন। বাড়িতে কেউ তার কথার বিরোধিতা করলেই তিনি হঠাৎ বলে ওঠেন, “আমার ছেলেকে তো পুলিশ নিয়ে গেল, এখন তমরা আমাকেও মানসিক নির্যা’তন করছ!” এই এক বাক্যে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যে বাকিরা অযথাই অপরাধী বোধ করতে থাকে। অথচ সবাই জানে, চন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো কোনও সাধারণ ভুল নয়! নারী পা’চার, শিশু পাচার থেকে পালিয়ে গিয়ে মৃ’ত্যুর মিথ্যে খবর পাঠানো, এত কিছু জানার পরেও মা হিসেবে তার অন্ধ পক্ষপাতিত্ব কমেনি!

এখন সমস্যা আরও বাড়ছে কারণ লক্ষ্মীমণি নিজেকে অসহায় দেখানোর চেষ্টা করতে করতে বাড়ির পরিবেশকে প্রায় অসহনীয় করে তুলছেন। কমলিনী আর স্বতন্ত্রের নতুন সম্পর্ককে তিনি মেনে নিতে পারেননি শুরু থেকেই, কিন্তু সাম্প্রতিক পর্বে তার এই মানসিক চাপে রাখা আচরণ স্পষ্টতই বাড়ির অন্য সদস্যদের উপরেও প্রভাব ফেলছে। কমলিনী এতদিন মুখ বুজে সহ্য করলেও, এখন সে বুঝতে পারছে যে এভাবে চললে নতুন সংসারটা ঠিক করে দাঁড়াতেই পারবে না। তাই সাম্প্রতিক পর্বে কমলিনী অবশেষে দৃঢ় সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে।

সে স্পষ্ট করে বলেছে, যদি লক্ষ্মীমণি দেবী এই বাড়িতে থাকতে চান, তাহলে চন্দ্রের নাম আর কখনই তুলতে পারবেন না। এমনকি বাড়ির কেউই তাঁর নাম আর উচ্চারণ করবে না। যে মানুষ নিজের অপরাধ ঢাকতে স্মৃতিভ্রংশের ভান করে ফিরে আসে, তাকে আর কোনওভাবেই নিজের জীবনে বা পরিবারে ঢুকতে দিতে চায় না সে। এমনকি কথাটা এতটাই সোজাসাপ্টা ভাবে বলে যে স্পষ্ট বোঝা যায়, এবার কমলিনী নিজের সীমা টেনে দিয়েছে। আর যদি লক্ষ্মীমণি এই নিয়ম মানতে না পারেন

আরও পড়ুনঃ “চিরঞ্জিত যখন-তখন যেমন-তেমন করে মেরে দিতেন!” — খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করে সত্যিই কি জীবনের ঝুঁকিতে পড়েছিলেন দীপঙ্কর দে! এমন কঠিন অভিজ্ঞতা কেন হয়েছিল অভিনেতার সঙ্গে?

তাহলে নিজের শেষ বয়সে কোথাও আলাদা আশ্রয় খুঁজে নিলেই ভালো। দর্শকরাও এই সিদ্ধান্তকে বেশ সমর্থন করছেন। তাদের কথায়, কমলিনীর এতটা দৃঢ় অবস্থান আসলে অনেক আগেই প্রয়োজন ছিল। যে বাড়িতে একজন নারী প্রতিদিন নিজের অপরাধী ছেলের কথা বলে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করেন, সেখানে শান্তি বজায় রাখা অসম্ভব। তাই কমলিনীর এই স্পষ্ট অবস্থান আজকের পর্বে যেন পুরো গল্পটার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছে। দর্শকদের মতে, “ভালই হয়েছে! এবার অন্তত নিজের সম্মানটুকু বাঁচিয়ে চলার রাস্তা খুললো কমলিনীর জন্য।”