বাংলা চলচ্চিত্র দুনিয়ার অভিজ্ঞ অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম নাম দীপঙ্কর দে। দীর্ঘ অভিনয়জীবনে নায়ক-সহ-সহকারী চরিত্রে যেমন দেখা গিয়েছে, তেমনই খলনায়কের ভূমিকায় তাঁর উপস্থিতি টলিউডে এক আলাদা পরিচিতি তৈরি করে দিয়েছে।
দর্শকদের বড় একটি অংশ এখনও তাঁকে মূলত খলনায়ক হিসেবেই মনে রাখে। বিশেষ করে বয়সজনিত কারণে তিনি এখন আর আগের মতো পর্দায় ততটা সক্রিয় নন, তবে পুরনো সিনেমাগুলিতে তাঁর শক্তিশালী নেতিবাচক চরিত্র আজও দর্শকের মনে সমান প্রাসঙ্গিক। ‘বাঞ্ছারামের বাগান’—এই ছবি দিয়েই টলিউডে খলনায়ক দীপঙ্করের জন্ম।
খলনায়ক চরিত্রের প্রসঙ্গ উঠতেই তিনি জানান, খলনায়ক হওয়া মোটেও সহজ কাজ নয়। কারণ পর্দায় যে মারামারির দৃশ্য দেখা যায়, তার বেশিরভাগই শুটিংয়ের সময় সত্যিই শারীরিক চাপ তৈরি করে। বিশেষ করে খলনায়কদেরকেই সাধারণত মার খেতে হয়, আর সেখানেই লুকিয়ে থাকে অভিনয়ের কঠিন দিকটি।
অভিনেতার কথায় উঠে এসেছে সহ-অভিনেতাদের সাথে শুটিংয়ের দৃশ্যের অভিজ্ঞতা। তিনি হাসতে হাসতেই বলেন, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় খুব বুঝে-শুনে মারতেন। তাঁর হাত ছিল নিয়ন্ত্রিত, তাই শুটিং করতে সুবিধা হতো। কিন্তু চিরঞ্জিত চক্রবর্তী ছিলেন পুরো বিপরীত—যখন তখন, যেমন খুশি, পুরো শক্তিতে আঘাত করে দিতেন। ফলে বেশ কয়েক বার সত্যিকারের ব্যথা পেয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ ‘মেয়েটাকে দেখলেই ওর বাবার কুকীর্তি আর অন্য সন্তানের সঙ্গে হওয়া অন্যায়ের কথা মনে পড়ে যায়!’ সোশ্যাল মিডিয়ায় কৃষভিকে নজিরবিহীন আক্রমণ নেটিজেনের! রেগে আগুন শ্রীময়ী
শেষে উঠে এসেছে রঞ্জিত মল্লিককে ঘিরে একটি মজার ঘটনা। দীপঙ্করের ভাষায়, রঞ্জিতের টাইমিংয়ের গোলমেলে কারণে তাঁর কাছ থেকেও বহুবার বেকায়দায় পড়তে হয়েছে। তবে সবটাই ছিল শুটিংয়ের অংশ, আর সেসব অভিজ্ঞতাই আজ রয়ে গেছে তাঁর কাছে মধুর স্মৃতি হয়ে। এইভাবেই খলনায়কের মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকে অভিনেতাদের বাস্তব পরিশ্রমের গল্প, যা দর্শক সাধারণের কাছে অদেখাই থেকে যায়।






‘মেয়েটাকে দেখলেই ওর বাবার কুকীর্তি আর অন্য সন্তানের সঙ্গে হওয়া অন্যায়ের কথা মনে পড়ে যায়!’ সোশ্যাল মিডিয়ায় কৃষভিকে নজিরবিহীন আক্রমণ নেটিজেনের! রেগে আগুন শ্রীময়ী