সকলের প্রিয় অভিনেতা তথা ইনফ্লুয়েন্সার ‘সায়ক চক্রবর্তী’ (Sayak Chakraborty) দীর্ঘ বিরতির পর, প্রতি বছরের শুরুতেই ছোটপর্দায় ফিরেছেন। দীর্ঘদিনের এই অভিনয় যাত্রায়, তিনি কেবল একই জায়গায় সীমাবদ্ধ থাকেননি। সমাজ মাধ্যমে ভ্লগের মাধ্যমে তিনি নিয়মিত জীবনযাত্রা, ব্যক্তিগত মুহূর্ত এবং নতুন অভিজ্ঞতা দর্শকদের সঙ্গে ভাগ করে নেন। অভিনয়ের ব্যস্ততা থাকলেও ভ্লগিং সায়কের কাছে যেন একটি নিত্যসঙ্গী, বহুবার নিজেই তিনি বলেছেন, যে কোনও কাজে ব্যস্ত থাকলেও ভ্লগিং কখনো ছাড়বেন না।
এভাবে ছোটপর্দার প্রিয়মুখ ধীরে ধীরে তিনি সমাজ মাধ্যমেও নিজের আলাদা একটা অবস্থান তৈরি করেছেন। বরাবরই তিনি খুব স্পষ্টবাদী, যেকোনও পরিস্থিতিতে বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেই তিনি মুখ খোলেন এবং সমাজ মাধ্যমে সবার সঙ্গে নিজের মতামত ভাগ করে নেন। তবে, সবসময় তিনি এমন ছিলেন না, ভাবতে পারেন! এদিন একটি ভিডিও করে সায়ক প্রথমেই নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, “তোমরা এতটাই খারাপ যে আমি চাই তোমাদের ছেলে-মেয়ের সঙ্গেও যেন একই জিনিষ কেউ করে। কারণ, কর্মফল একদিন না একদিন ফিরেই আসে!
আমার বিশ্বাস যে তোমাদের জীবনেও তোমরা এমন কর্মফল একদিন না একদিন পাবেই তোমাদের সন্তানদের মাধ্যমে।” কিন্তু কী এমন ঘটেছে তাঁর সঙ্গে? সায়ক ভিডিওর পরবর্তী অংশে বলেন, হঠাৎ করেই সমাজ মাধ্যমে আজকাল তিনি অনেকজনের বার্তা পাচ্ছেন। কেউ বলছেন, ‘আমায় চিনতে পারছিস না? তোর স্কুলের বন্ধু আমি! আমার বউ তোকে খুব পছন্দ করে, আমাদের বিয়ের অনুষ্ঠানে আসবি? দরকারে টাকা দিয়ে দেব!’ একই রকম করে আবার পাড়ার অনুষ্ঠানেও আসার আহ্বান জানিয়েছেন অনেকেই।
উত্তর না দিলে আবার বলা হচ্ছে, ‘এখন বড় সেলিব্রেটি হয়ে গেছিস, পাত্তা দিবি কেন!’ এইসব নিয়ে অভিনেতা প্রচণ্ড বিরক্ত। তিনি তাই ভিডিওটির মাধ্যমে তাঁদের জানাতে চেয়েছেন যে, তাঁর স্কুল জীবনে কোনও বন্ধু ছিল না ‘গুল্লু’ ছাড়া। বরং সায়কের কথায়, তাঁর স্কুল জীবন ছিল দুঃস্বপ্নের মতো! তিনি আক্ষেপ করে বলেছেন, “যেখানে প্রতিটা বাচ্চার কাছে তার স্কুল জীবন সবচেয়ে অমূল্য স্মৃতি, সেখানে আমার স্কুল জীবন ছিল অত্যাচার আর অস্বস্তিকর। প্রতিদিন সেখানে অন্যান্যদের কাছে আমি অত্যাচারিত হতাম। শিক্ষক শিক্ষিকারা অনেক আগলে রাখতেন আমায়।
আরও পড়ুনঃ “সম্পর্ক কোনও তৃতীয় ব্যক্তির জন্য ভেঙে যায় না, আমরা নিজেরাই দূরে সরে যাই বলেই সম্পর্ক ভেঙে যায়”— নীল-তৃণা বিচ্ছেদের মাঝেই মন্তব্য নায়িকার? তবে কি বৈবাহিক সম্পর্ক সত্যিই ভাঙনের মুখে?
কিন্তু অন্যরা আমার শান্ত ও চুপচাপ স্বভাবের জন্য মানসিক-শারীরিক ভাবে রোজ আঘাত করত। ক্লাস টুয়েলভ পর্যন্ত আমি ঠিক করে কারো সঙ্গে কথাই বলতে পারতাম না। সব সময় অসুস্থতায় ভুগতাম, শরীর দেখে দয়া লাগার মতো। এই ক্ষেত্রে অবশ্য ছোটবেলায় একবার অজানা জ্বরের ভুল চিকিৎসা হওয়াটাই দায়ী! তবে, আজ আমি যেভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলি আগে পারতাম না। আর সেটা সুযোগ নিয়েই তারা আমার ওপর অত্যাচার করত, আজকে যারা বন্ধু পরিচয়ে এমন আসছে।” সায়ক আরও বলেছেন, তিনি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে চান না এবং প্রয়োজনে তাদের নামও প্রকাশ্যে আনতে পারেন।






