ছোটপর্দার পরিচিত মুখ সোনামণি সাহা এবার যেন সম্পূর্ণ নতুন রূপে দর্শকদের সামনে হাজির। একটি বহুতলের সামনে দাঁড়িয়ে ক্যামেরার জন্য পোজ দেওয়ার সময় তাঁর পিঠখোলা পোশাকে ফুটে উঠেছে এক দীর্ঘ ট্যাটু। প্রথম নজরে এটি যেন কেবল মাত্র স্টাইলের অংশ হলেও একটু মনোযোগ দিয়ে তাকালেই বোঝা যায় ট্যাটুটি আসলে সেভেন চক্র ধারণা থেকে অনুপ্রাণিত। মানবদেহের সাতটি শক্তিকেন্দ্রকে একসঙ্গে মিলিয়ে তৈরি এই শিল্পকর্ম অভিনেত্রীর ব্যক্তিত্বে রহস্যের ছাপ ফেলে।
টেলিভিশনের পর্দায় তাঁকে সাধারণত শাড়ি বা সালোয়ার স্যুটের মতো সাদামাটা সাজেই দেখা যায়। সেই পরিচিত রূপ থেকে একেবারে ভিন্ন এই সাহসী উপস্থিতি দেখে অনেকেই আশ্চর্য। সামাজিক মাধ্যমে কেউ তাঁকে আগের লুকেই ফিরে যেতে পরামর্শ দিয়েছেন। কেউ আবার প্রশ্ন তুলেছেন এমন খোলামেলা পোশাকের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে। নানা মতামত ঘুরে বেড়ালেও সোনামণি কোনও সমালোচনার প্রতি সাড়া দেননি। তিনি বরাবরই নিজের মতো করে বাঁচতে পছন্দ করেন এবং সেই স্বভাব এখানেও স্পষ্ট।
আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে আরেকটি মন্তব্য যা করেছেন প্রতীক সেন। টেলিপাড়ায় বহুদিন ধরেই তাঁরা দুজন গুঞ্জনের কেন্দ্রে। এই ছবিতে প্রতীকের মন্তব্য ছিল তারাপীঠ দর্শন হল জয় মা। তাঁর এই কথায় অনেকেই আধ্যাত্মিক ইঙ্গিত খুঁজে পেয়েছেন। সোনামণির উত্তরে মাত্র একটি শব্দ আশীর্বাদ। কিন্তু সেই এক শব্দই যেন আরও বড় আলোচনা তৈরি করেছে।
নিজের ট্যাটু নিয়ে বলতে গিয়ে অভিনেত্রী জানিয়েছেন ঘাড়ের গোড়া থেকে কোমর পর্যন্ত পুরো শিরদাঁড়া জুড়ে রয়েছে এই শিল্পকর্ম। মূলাধার থেকে সহস্রার প্রতিটি শক্তিকেন্দ্রের প্রতীক নিয়ে তৈরি এই ট্যাটু তাঁর কাছে শুধুই সৌন্দর্য নয় বরং আত্মপরিচয়ের প্রকাশ। তিনি আরও জানিয়েছেন শরীরের বিভিন্ন অংশে তাঁর আরও কয়েকটি ট্যাটু রয়েছে যা তাঁর ব্যক্তিত্বের সঙ্গে জড়িয়ে আছে।
আরও পড়ুনঃ ‘পর্দার রসায়নের জন্য বাইরে রসায়নটাও দরকার…সময় এলেই জানবে সবাই’, সৌরভ-শুভস্মিতার মন্তব্যে বাড়ছে রহস্য! তবে কি সত্যিই সম্পর্কে রয়েছেন দুজন?
স্পষ্ট বোঝা যায় সোনামণি শুধু চরিত্রের সীমায় আটকে নেই বরং নিজেকে নতুনভাবে প্রকাশ করতে চাইছেন। সাহসী রূপ বোল্ড লুক এবং প্রতীকী ট্যাটুর মাধ্যমে যেন তিনি জানিয়ে দিলেন তিনি নিজের পথ নিজেই তৈরি করতে চান। এই নতুন অবয়ব তাঁর ভক্তদের জন্য চমক সৃষ্টি করেছে এবং তাঁর ব্যক্তিগত ভাবনা অনুভূতি এবং শিল্পীসত্তার নতুন দিক তুলে ধরেছে।






