দিশার আত্মহ’ত্যা আমার নায়ক পরিচয় কেড়ে নিয়েছে! সুচন্দ্রার স’মকা’মী বিয়ের গুঞ্জন ছড়াতেই, ফের আলোয় দিশা মৃ’ত্যু, দশ বছরের নীরবতা ভেঙে মুখ খুললেন ভিভান

২০১৫ সাল। ছোটপর্দার এক জনপ্রিয় অভিনেত্রীর আকস্মিক আত্মহত্যায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল গোটা টেলিপাড়া। দিশার মৃ’ত্যু শুধু তাঁর অনুরাগীদেরই নয়, শিল্পী মহলের অনেকের জীবনকেও ওলটপালট করে দিয়েছিল। সেই সময়েই অভিযোগের আঙুল উঠেছিল অভিনেতা ভিভান ঘোষের দিকে। শোনা গিয়েছিল, দিশা এবং ভিভানের মধ্যে নাকি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল এবং মৃত্যুর আগে শেষ ফোনকলটিও নাকি করেছিলেন ভিভানকেই। মুহূর্তের মধ্যে গুজব, সন্দেহ আর কানাঘুষোয় ঢেকে যায় বাস্তব। তার জেরেই এক রাতারাতি বদলে যেতে শুরু করে ভিভানের পেশাগত জীবন।

ভিভানের কথায়, ওই ঘটনার আগে তিনি নিয়মিত ধারাবাহিকে নায়কের চরিত্রে অভিনয় করতেন। জনপ্রিয়তা ছিল, কাজের অভাবও ছিল না। কিন্তু দিশার মৃত্যুর পর থেকেই যেন সব দরজা বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় দু বছর কাজ পাননি তিনি। যেসব চরিত্রে এক সময় তাঁকে ভাবা হত, সেগুলো থেকেও বাদ পড়তে থাকেন। ২০১৭ সালের পর থেকে পাকাপাকি ভাবে পার্শ্বচরিত্রেই সীমাবদ্ধ হয়ে যান ভিভান। তাঁর দাবি, দিশার মৃত্যু তাঁর কাছ থেকে শুধু কাজই নয়, নায়কের তকমাটাও কেড়ে নিয়েছে।

২০২৫ সালে এসে ফের নতুন করে আলোচনায় উঠে আসে সেই পুরনো ঘটনা। এক ধারাবাহিক অভিনেত্রীর সমকামী বিয়ে নিয়ে গুঞ্জন ছড়াতেই সামনে আসে নতুন তথ্য। শোনা যায়, দিশা নাকি ওই অভিনেত্রীর সঙ্গেই সম্পর্কে ছিলেন এবং সেই সম্পর্কের টানাপড়েন থেকেই মানসিক চাপে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। এমনকী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন ওই অভিনেত্রীও, যাকে পুলিশ শেষ মুহূর্তে বাঁচায়। এত বছর পর এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই আবারও আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসেন ভিভান।

এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভিভান স্পষ্ট ভাষায় বলেন, দিশা সমকামী ছিলেন কি না, তা তিনি জানেন না। তবে তিনি কোনও ভাবেই দিশার মৃত্যুর জন্য দায়ী নন। তাঁর দাবি, দিশার সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। তাঁরা খুব ভাল বন্ধু ছিলেন মাত্র। একসঙ্গে ঘুরতেন, খেলা দেখতে যেতেন, সিনেমা দেখতেন। বন্ধুত্বের সেই ঘনিষ্ঠতাকেই অনেকেই ভুলভাবে প্রেম ভেবেছিলেন। কাকতালীয় ভাবে দিশার শেষ কথোপকথন তাঁর সঙ্গেই হয়েছিল, আর সেখান থেকেই সন্দেহের জন্ম।

আরও পড়ুনঃ ‘একটা তিন বছরের আর একটা পাঁচ বছরের বাচ্চা, পুরো সাপে ও নেউলে!’ এবার পর্ণা-অর্কপ্রভের সম্পর্ক ফাঁস করলেন মল্লিকা! ‘কম্পাস’-এর শাশুড়ির চোখে, ছেলে-বৌমার অফস্ক্রিন রসায়ন কেমন?

তবে সেই কঠিন সময়েও ভিভান ভেঙে পড়েননি। নিয়মমাফিক জিজ্ঞাসাবাদে অংশ নিয়েছেন, প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন, তবু নিজের নির্দোষতার বিশ্বাস আঁকড়ে ধরেছেন। কাজ না থাকলেও নিজেকে প্রস্তুত রেখেছেন, অপেক্ষা করেছেন ন্যায়ের। তাঁর কথায়, সময়ই একমাত্র সত্যের প্রমাণ দেয়। দশ বছর পর যখন নতুন করে ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে, তখনও তিনি আশাবাদী, একদিন পুরো সত্যটাই সকলের সামনে আসবে।