বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে হঠাৎ করেই অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দা, সিনেমার নানা চরিত্রে দর্শককে মুগ্ধ করার পর তারা এখন রাজনৈতিক মঞ্চেও নিজেদের নাম লেখানোর চেষ্টা করছেন। তবে এই প্রবণতা নিয়ে দর্শক ও সমালোচকদের মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠছে—কীভাবে অভিনয় জগতের মানুষ রাজনীতিতে আসলে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে?
সম্প্রতি এই ব্যাপারে মুখ খুলেছেন অভিনেতা কৌশিক ব্যানার্জি, অভিনয়ের মাধ্যমে ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দা পর্যন্ত দর্শককে মুগ্ধ করেছেন। তার অভিনয় শৈলী সরল, প্রাঞ্জল এবং বাস্তবসম্মত, যা সাধারণ মানুষকে কাছে টানে। সিরিয়াল ও সিনেমায় চরিত্রের সঙ্গে সম্পূর্ণ মিল রেখে দর্শকের আবেগকে ছুঁয়ে যাওয়ার ক্ষমতা তার বড় শক্তি।
কৌশিকের অভিনয় দর্শকদের মনোরঞ্জনের সঙ্গে সঙ্গে জীবনধারার গল্পও বোঝায়। তিনি চরিত্রে এমন প্রগাঢ় ভেতরের ভাব ফুটিয়ে তোলেন, যা প্রায় সবাইকে টানতে সক্ষম। তাই যদিও তিনি নিজের কেরিয়ারের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন, এই জনপ্রিয়তা নিজেকে রাজনীতিতে কার্যকরভাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যথেষ্ট নয়—এটাই কৌশিকের বক্তব্য।
কৌশিক ব্যানার্জি স্পষ্ট করে বলেছেন, “অভিনেতা অভিনেত্রীরা পলিটিক্সটা জানবে কীভাবে? পলিটিক্সের আলাদা একটা পড়াশোনা থাকে। মাঠে নেমে কাজ করতে হয়, তবেই মানুষ উপকার পাবে। সিনেমা থেকে যারা রাজনীতিতে যায়, তাদেরকে আমি পলিটিক্যাল লিডার বলে মনে করি না।” তার এই সরল, সোজা বক্তব্য রাজনীতিতে নতুন আগমনকারীদের সতর্কবার্তা দেয়।
আরও পড়ুনঃ “ইন্ডাস্ট্রিতে কখনো সত্যিকারের বন্ধু হয়না, সবাই শুধু দরকারের সময়ই কাছে আসে”— অকপট চিরঞ্জিত চক্রবর্তী! টলিউডের অদৃশ্য কূট’নীতি ও বিনোদন জগতের অজানা রূপ প্রকাশ্যে আনলেন অভিনেতা!
এই কথা থেকে বোঝা যায় যে, অভিনয় ও রাজনীতি দুই ভিন্ন জগত। অভিনেতা হোক বা অভিনেত্রী, দর্শককে মনোরঞ্জন করা এবং মানুষের জন্য কার্যকর রাজনীতিক হওয়া এক নয়। কৌশিকের মত সরল বক্তব্য এমন সময় দর্শকদের জন্য এক প্রয়োজনীয় সতর্কবার্তা, যা রাজনীতির জটিল জগতে তাদের বাস্তবতা বুঝতে সাহায্য করবে।






