মারণরোগকে হারিয়ে যে দ্বিতীয় জীবন পেয়েছেন, সেটাকে ঈশ্বরের আশীর্বাদ বলে মনে করেন তিনি! কিছু কাজ বাকি ছিল বলেই এই সুযোগ, তাই কারও দোষ খোঁজেন না, যতদিন বেঁচে আছেন, ততদিন কাজ করতে চান! অকপট পাপিয়া সেন

অনেকদিন পরে ছোটপর্দায় ফিরেছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী পাপিয়া। কাজের জগৎ কতটা বদলেছে এই প্রশ্ন শুনে তাঁর গলায় ধরা পড়ে অদ্ভুত শান্তি। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারের কথোপকথনে তিনি স্পষ্ট জানান, তাঁর কাছে এই জগৎ একেবারেই অপরিচিত মনে হয়নি। যেখান থেকে কাজ ছেড়েছিলেন, ঠিক সেখান থেকেই আবার শুরু করেছেন। মানুষজন বদলায়নি, সম্পর্কের উষ্ণতাও একই রয়েছে। তাই নতুন করে মানিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন পড়েনি বলেই মনে করেন তিনি।

বর্তমানে ছোটপর্দা নিয়ে অনেক বর্ষীয়ান শিল্পীর মধ্যেই নানান ক্ষোভের কথা শোনা যায়। কেউ বলেন গল্পের চরিত্র বদলে যায়, কেউ আবার বলেন কাজের সম্মান পাওয়া যায় না। তবে পাপিয়ার অভিজ্ঞতা সেই স্রোতের বাইরে। তিনি যে ধারাবাহিকে কাজ করছেন তার গল্প তাঁকে আনন্দ দেয়। দর্শক তো বটেই, তাঁর পরিবারের সদস্যরাও নিয়ম করে সেই ধারাবাহিক দেখেন। আজ পর্যন্ত কেউ তাঁকে খারাপ কিছু বলেননি বলেই জানালেন অভিনেত্রী।

পাপিয়ার মতে, জীবনের শিক্ষা আর পারিবারিক সংস্কৃতিই তাঁর এই মানসিকতার মূল। বাবার বাড়িতে ভাই বোনদের সঙ্গে একসঙ্গে বড় হওয়া, মায়ের কাছ থেকে সকলের সঙ্গে মিলেমিশে থাকার শিক্ষা তিনি আজও বয়ে বেড়ান। শ্বশুরবাড়ির পরিবেশও ছিল একই রকম। সেই কারণেই কাজের জায়গায় পৌঁছে তিনি সকলকে আপন করে নিতে পারেন। স্টুডিয়োয় ঢুকেই সহকর্মীদের নাম ধরে ডাকেন, বয়সের ফারাক সত্ত্বেও সকলেই তাঁকে দিদি বলে সম্বোধন করেন।

সহ অভিনেতা ও টেকনিশিয়ানদের সহযোগিতার কথাও অকপটে স্বীকার করেন পাপিয়া। সংলাপ ভুলে গেলে কেউ বিরক্ত হন না, বরং পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্য করেন। একসঙ্গে আড্ডা দেওয়া, খাওয়াদাওয়া করা, গল্প করা সবই নিয়মিত চলে। এমন পরিবেশে কাজ করতে গিয়ে কোনও রকম অস্বস্তি বা অভিমান তাঁর মনে জায়গা পায় না বলেই জানান তিনি।

আরও পড়ুনঃ অপহ’রণের রাত রেখে গেল গভীর ক্ষত! মিঠিকে ‘স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ’র কাছে নিয়ে যাবে কমলিনী! আরও সংবেদনশীল মোড়ে ‘চিরসখা’, নতুন প্রোমো দেখেই অস্বস্তি চরমে! পারিবারিক বিনোদন সংজ্ঞার আদৌ পরিপন্থী এই ধারাবাহিক? প্রশ্ন তুলছেন দর্শকরা

সব শেষে নিজের জীবনের সবচেয়ে কঠিন অধ্যায়ের কথা তুলে ধরেন অভিনেত্রী। মারণরোগকে হারিয়ে তিনি যে দ্বিতীয় জীবন পেয়েছেন, সেটাকে ঈশ্বরের আশীর্বাদ বলেই মনে করেন। হয়তো কিছু কাজ বাকি ছিল বলেই এই সুযোগ। তাই কারও দোষ খোঁজার মানসিকতা তাঁর নেই। যতদিন বেঁচে আছেন, ততদিন কাজ করতে চান। সকলের সঙ্গে, সকলের হয়ে বাঁচাই এখন তাঁর জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য।

You cannot copy content of this page