“মেয়ে দুটোর জন্য, এখন কাজ পাওয়াটা খুব দরকার”— যমজ সন্তানের ভবিষ্যতের দুশ্চিন্তায়, ‘জয় কালী কলকাত্তাওয়ালী’ ও ‘বোঝে না সে বোঝে না’ খ্যাত দেবময় মুখোপাধ্যায়! এত অভিজ্ঞতার পরেও, কাজ না পাওয়ার কারণ নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেতা!

বর্তমান বিনোদন জগৎ বদলাচ্ছে খুব দ্রুত। একদিকে ওটিটি, অন্যদিকে ধারাবাহিকের ভিড়—এই দুইয়ের মাঝখানে দাঁড়িয়ে প্রতিদিন লড়াই করতে হচ্ছে ছোট পর্দার শিল্পীদের। কাজ পাওয়া যেমন কঠিন হয়ে উঠছে, তেমনই ব্যক্তিগত জীবন আর পেশাদার জীবনের ভারসাম্য রক্ষা করাও এখন বড় চ্যালেঞ্জ। এই বাস্তবতার মধ্যেই নিজের জায়গা ধরে রেখেছেন এমন কিছু অভিনেতা, যাঁরা নীরবে কাজ করে যান, আলোচনায় না এসেও দর্শকের মনে জায়গা করে নেন।

টলিউডের ছোট পর্দায় তেমনই এক পরিচিত মুখ দেবময় মুখোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরে বাংলা টেলিভিশনে নিয়মিত কাজ করছেন তিনি। প্রোডাকশন হাউসের কাছেও দেবময় একজন ভরসাযোগ্য অভিনেতা হিসেবেই পরিচিত—যাঁর সঙ্গে কোনও ঝামেলা নেই, কাজের প্রতি দায়িত্ববোধই তাঁর পরিচয়। অভিনয়ের পাশাপাশি সংসার সামলানোর দায়িত্বও সমানভাবে বহন করে চলেছেন তিনি।

অভিনয়ের দিক থেকে দেবময়ের ঝুলিতে রয়েছে একাধিক জনপ্রিয় ধারাবাহিক। ‘জয় কালী কলকাত্তাওয়ালী’, ‘ওম নম শিবায়’-এর মতো চলতি ধারাবাহিকের পাশাপাশি ‘সবিনয় নিবেদন’, ‘তবু মনে রেখো’-র মতো জনপ্রিয় প্রজেক্টেও কাজ করেছেন তিনি। শুধু ছোট পর্দাই নয়, বড় পর্দাতেও তাঁর উপস্থিতি নজর কেড়েছে। ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘বোঝে না সে বোঝে না’ কিংবা ২০১৫ সালের ‘পাবর না আমি ছাড়তে তোকে’ ছবিতেও অভিনয় করেছেন দেবময়।

তবে কেরিয়ারের সাফল্যের মাঝেও এখন তাঁর ভাবনায় পরিবার। কয়েক বছর আগেই যমজ কন্যাসন্তানের বাবা হয়েছেন অভিনেতা। দেবময় নিজেই জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে ভবিষ্যৎ নিয়ে যথেষ্ট চিন্তাভাবনা চলছে তাঁর। কারণ বর্তমান ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ পাওয়া ভীষণ ভাগ্যের ব্যাপার। আগে নিয়মিত কাজ করলেও নতুন করে কাজ পাওয়া এখন অনেকটাই অনিশ্চিত।

আরও পড়ুনঃ ‘একই লোকের সঙ্গে দশ বছর সংসার, সুস্থ মানুষ পারে নাকি!’ ‘এতদিন একই স্বামী অসম্ভব, পাগলামির লক্ষণ!’ বিবাহিত জীবন নিয়ে ইমন চক্রবর্তীর বিতর্কিত মন্তব্য, খুঁজছেন নতুন বয়ফ্রেন্ড! ফের কি বিপাকে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত গায়িকা?

দুটো ছোট মেয়ে থাকায় তাদের ভবিষ্যৎ, শিক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে তাঁকে। দেবময়ের কথায়, অভিনয় তাঁর ভালোবাসা ঠিকই, কিন্তু পরিবারের দায়িত্ব এখন তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাধান্য। কাজ আর সংসারের মাঝখানে দাঁড়িয়ে ধীরে, স্থিরভাবে এগিয়ে যেতে চান তিনি—যেমনটা এতদিন ধরে করে আসছেন, নীরবে, নিজের মতো করে।

You cannot copy content of this page