বাঙালির প্রিয় অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের জীবনী নির্ভর ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন অভিনেতা এবং পরিচালক পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। তারপর এই বিস্ফোরক মন্তব্য এসেছে অভিনেতার কন্যা পৌলমী বসুর কাছ থেকে। সিনেমা দেখে তিনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। কিছুটা বিরক্তও হয়েছেন। আসলে পৌলমীর বোন শ্রমনা ঘোষ সিনেমা সম্পর্কে একটি পোস্ট করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে নিজের বোনকে সমর্থন করে সৌমিত্রের মেয়ে পৌলমী কিছু বিস্ফোরক অভিযোগ জানিয়েছেন।
পৌলমী লিখেছিলেন যে সৌমিত্রর জীবনের শেষ দিকটা যে ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সেটা যারা তাঁদের পারিবারিক বিষয় সম্পর্কে জানে না তারা দেখে দুঃখ পাবে। এছাড়াও সৌমিত্রর নাতি অর্থাৎ পৌলমীর পুত্র রণদীপের বিষয়টি যেভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পর্দায় বেশ বিরক্তিকর লেগেছে তাঁর কাছে। বেশকিছু দৃশ্য নাকি ভুল দেখানো হয়েছে। নাকে জীবনের সঙ্গে যুক্ত বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ মানুষকে সিনেমা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগগুলোর পরে এবার বিস্ফোরক জবাব দিলেন পরিচালক পরমব্রত।
পরমব্রত জানান যে চিত্রনাট্য উনি তিনবার শুনেছেন, অনুমোদন করেছেন, অনুমতি দিয়েছেন স্বেচ্ছায়, আগ্রহ ভরে এবং সর্বোপরি নিজেই অভিনয় করেছেন। তাঁর অনুমোদন যখন ছিল সেক্ষেত্রে অন্য কারোর অনুমতির প্রয়োজন নেই। এতে যদি কেউ দুঃখ পেয়ে থাকেন তাহলে পরমব্রত ক্ষমা চাইতে পারেন তবে এর থেকে বেশি কিছু আর করণীয় নয় তাঁর পক্ষে। দাবি, ছবিটা তাঁদের নিয়ে নয়, ছবিটা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে। একমাত্র ওঁর থেকেই অনুমোদনের প্রয়োজন ছিল। এখন যদি তথ্যের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে তাহলে তো ওঁর দিকেই আঙুল তোলা হয়। সেটা ওঁর প্রাপ্য কিনা সে প্রশ্ন করেছেন পরমব্রত। পাল্টা পৌলোমী জবাব দিয়েছেন তিনি এ নিয়ে কোন বিতর্ক করতে চান না। কারণ সৌমিত্র নিজে দৃশ্যগুলি সম্পর্কে জানতেন তারপরেই তিনি সম্মতি প্রদান করেছিলেন এবং অভিনয় করেছেন। পৌলমী শুধু নিজের খারাপ লাগাটুকু প্রকাশ করতে চেয়েছেন।