অফিসের চাকরি সামলে ঠেলা বিরিয়ানি বিক্রি করে ৫০ হাজার রোজগার দুই বন্ধুর

বিরিয়ানি খেতে ভালোবাসে না এমন মানুষ খুব কমই আছে। তবে চাকরি সামলে বিরিয়ানি বিক্রি করে রোজগার করার নমুনা খুব কমই আছে, একথা বলার অপেক্ষা রাখে না।

সম্প্রতি রাস্তায় ঠেলা বিরিয়ানি বিক্রি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল দুই যুবক। তাদের নাম বেশ আকর্ষণীয়।ইঞ্জিনিয়ার্স ঠেলা’, নামক এই ঠেলা বিরিয়ানি বেশ জনপ্রিয়।

biryani

 

ওড়িশার মালিকানগিরির টাউন কালেক্টর অফিসের সামনে দেখা যাবে এই বিরিয়ানির।সুমিত সামাল এবং প্রিয়ম বেবার্তা দুই ইঞ্জিনিয়ার বন্ধু চাকরি করেন বহুজাতিক একটি সংস্থায়।

লকডাউন পরিস্থিতিতে সন্ধ্যেবেলায় বিরিয়ানি খেতে খেতে হঠাৎ করেই তারা লক্ষ্য করেন যেখানে বিরিয়ানি তৈরি হচ্ছে। তার পাশেই ডাস্টবিন বহু মানুষ সেখানে আবর্জনা ফেলে যাচ্ছে। তাদের মাথায় ধারণা তৈরি হয় রাস্তার ধারে খাবার তৈরি হলো সেটি স্বাস্থ্যকর কেন হবেনা।

প্রিয়ম জানান,পরিকল্পনা করলেও দুজনের কেউ তারা ঠিক করে রান্না জানতেন না। অথচ দুজনেই ঠিক করেছিলেন রাস্তার ধারে যে সমস্ত বিরিয়ানি পাওয়া যায় সেগুলির থেকে আরো ভালো কোয়ালিটির খাবার তারা তৈরি করবেন। সেই মতো প্রিয়ম মায়ের কাছেই রান্না শিখতে শুরু করেন। সঙ্গে দুই বন্ধু ইন্টারনেটের সাহায্যে বিরিয়ানি নিয়ে নানান পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু করে।

ইঞ্জিনিয়ার্স ঠেলার আরেক কর্তা সুমিত বলেন, আমাদের প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল, বাড়ির তৈরী খাওয়ারের মতোই আমাদের বিরিয়ানি স্বাস্থ্যকর হতে হবে। সেই মতো বাজার করা থেকে শুরু করে রান্নার মেনু ঠিক করা পুরোটাই আমরা দু’জনে একসঙ্গে করি।বর্তমানে দু’জন রান্নার লোক রেখেছি। আমাদের মেনু তৈরির পর তারা রান্না করে। অফিসের কাজের শেষে আমরা দুই বন্ধু দোকানে চলে আসি।

২০২১ মার্চ মাস থেকে শুরু পথচলা। অন্যদের থেকে আলাদা হওয়ায় খুব দ্রুতই জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে যায় ইঞ্জিনিয়ার্স ঠেলা।পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে এই ব্যবসা শুরু করার পরে জনপ্রিয়তার নিরিখে লাভের মুখ দেখে তারা।সুমিত জানালেন, বর্তমানে রোজ প্রায় ১০০ প্লেট বিরিয়ানি বিক্রি হয়। সব খরচ বাদ দিয়ে ‘ঠেলা’থেকে দুই বন্ধুর রোজগার মাসে প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা।