মল্লারের পরানো সিঁদুর ঘষে মুছতে গেল রঞ্জা! মল্লারের মা দিলেন এক ধমক, ‘এবার জব্দ হয়েছে’, বলছেন নেটিজেনরা

জি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় সিরিয়াল হলো পিলু। শুরু হয়েছিল আজ থেকে দু মাস আগে এবং তারপর থেকে টিআরপি রেটিং তালিকায় কিন্তু বরাবর এক থেকে দশের মধ্যে থেকেছে এই সিরিয়াল।এই সিরিয়ালে নেগেটিভিটি অবশ্যই আছে কিন্তু সব কিছুতেই যেন একটু আভিজাত্যের ছাপ আর ক্লাসিকাল সঙ্গীতের ছোঁয়া তো রয়েছেই। পিলুর ভূমিকায় নবাগতা মেঘা দাঁ অসাধারণ অভিনয় করছেন।

গতকাল থেকেই আমরা সবাই কনফার্ম জেনে গেছি যে পিলু আগামী 16 ই মে থেকে চলে যাচ্ছে সন্ধে ছটার স্লটে। এবার তার টক্কর স্টার জলসার গোধূলি আলাপের সঙ্গে। অর্থাৎ মেঘার সঙ্গে লড়াই হবে সোমুর। যদিও পিলু বেচারী নিজের সিরিয়ালে একটুও দম ফেলবার সুযোগ পায় না।আহীরের সঙ্গে তার সম্পর্কটা ধীরে ধীরে জমে উঠছে কিন্তু তার মধ্যেই চলে এসেছে খলনায়ক মল্লার। মল্লার আবার এমন কীর্তি পড়েছে যে গোটা সুরমন্ডলে হইচই পড়ে যাবে।

গতকাল সিরিয়ালের আরো দুটো নতুন চরিত্রের এন্ট্রি হয়েছে। একটিতে আমরা দেখতে পাচ্ছি মিমি দত্তকে সে মল্লারের দিদি সেজেছে। অন্যদিকে মল্লারের মায়ের চরিত্রে সেই অভিনেত্রী রয়েছেন যিনি মিঠাইতে রাজীব এবং রাতুলের মা সাজতেন অর্থাৎ সুস্মিতা দেবী।তাকে আর ওই সিরিয়ালে এখন দেখা যায় না, এখন থেকে তাকে দেখা যাবে পিলুতে অর্থাৎ আবার পিলু আর মিঠাইয়ের মধ্যে চরিত্রের আনাগোনা হলো।

যতদূর জানা যাচ্ছে মল্লারের বাবার চরিত্রে অভিনয় করতে চলেছেন শ্যামাশিস পাহাড়ী। মল্লার হলো আহীরের জ্যাঠতুতো দাদা।কিন্তু আহীর সেটা জানে না তবে মল্লারের টাইটেল বসুমল্লিক শুনে তার কিছু একটা সন্দেহ হয়েছে। অন্যদিকে মল্লারের সঙ্গে রঞ্জার বিয়ে হয়ে গেছে হঠাৎ করে। অর্থাৎ ঠিক করে দেখতে গেলে দুই ভাইয়ের সঙ্গে দুই বোনের বিয়ে হয়েছে।

কিন্তু মল্লার ইতিমধ্যেই নিজের দুষ্টু প্ল্যান ফাঁস করে ফেলেছে সকলের সামনে।যেরকম আমরা প্রোমোতে দেখেছিলাম যে বড় ম্যাডাম এর সমস্ত সম্পত্তি সে নিজের নামে করে নিয়েছে আর মেয়ে রঞ্জাকে তারপরে তাড়াতাড়ি সিঁদুর পরিয়ে দিয়েছে। রঞ্জা সবটুকু জেনে এই বিয়ে মানতে রাজি নয়।

Mollar

আজকের এপিসোডে দেখানো হবে, রঞ্জা রাগের মাথায় তার গায়ের গয়না খুলে ফেলছে, মাথা থেকে সিঁদুর মুছতে যাচ্ছে সেই সময় মল্লারের মা সেখানে ঢুকে তাকে জোরদার ধমক দেয়। রঞ্জা শাশুড়ির কাছে ধমক খেয়ে চুপ হয়ে যায় আর বড় ম্যাডামও কিছু বলতে পারে না। দর্শকরা এবার বলছেন যে, এতদিনে উপযুক্ত জবাব পেয়েছে রঞ্জা আর তার মা।