পৃথিবীতে এক এক ধরনের মানুষ, তাদের এক একরকম সখ। কারোর শিল্পের প্রতি সখ, কারোর দামী দামী জিনিস জমানোর সখ, কারোর জুতো – ঘড়ির সখ। কিছু কিছু মানুষের পশু – পাখির প্রতিও সখ থাকে।
কিন্তু সেই সখ যদি প্রাণ নিয়ে নেয় তাহলে তো খুবই সমস্যা। সম্প্রতি এরকমই একটি ঘটনার সাক্ষী হল উত্তরপ্রদেশ। উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়ার একজন তাঁর এই সখের জন্য প্রাণ খুইয়ে বসলেন।
তাঁর সখ হচ্ছে বিষধর সাপ ধরা। তবে শুধু সাপ ধরেই তিনি থেমে থাকতেন না। সেই সাপ নিয়ে নানারকম কীর্তি – কলাপ করতেও পছন্দ করতেন তিনি। আর এই থেকেই ঘটল বিপদ।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, লোকটির নাম সন্তোষ কুমার গৌতম। এলাকার যেকোনও জায়গায় সাপের খবর এলেই তাঁকে ডাক দেওয়া হতো। ৪০ বছর বয়সী সন্তোষ নাকি চোখের নিমেষে সেই সাপ ধরে ফেলত।
শুধু সাপ ধরে তাঁকে ছেড়ে দিত নয়। সাপটিকে একটি কাপড়ে মুড়ে নিয়ে আসত। সেদিনও নাকি সাপটিকে ধরে এনে বাড়িতে এসে নানা ধরনের খেলা দেখাচ্ছিলেন তিনি। কখনও ঘাড়ে তুলে গলা দিয়ে পেঁচিয়ে নিচ্ছিলেন।
আবার নাকি কখনও হাতে পেঁচিয়ে চু’মু খাচ্ছিলেন। আবার নাকি আঙুলটাও সাপের মুখে ঢুকিয়ে বার করে নিচ্ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে অনেকেই তাঁকে এইসব কাণ্ড ঘটাতে বারণ করেছিলেন। কিন্তু নিজের এলেম দেখাতে তিনি কারোর কথাই শোনেননি। এরকম খেলা দেখানোর চক্করেই মাঝে সাপটি কামড় দিয়ে দেয় সন্তোষকে। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে মৃত্যু হয়ে যায় তাঁর।