‘বন্ধ করে দেব’! খিচুড়ি নিয়ে লড়াই! স্মার্ট দিদি vs ডেকার্স লেনের ভাইরাল অরুণদা
আজকের ইন্টারনেটের যুগে ভাইরাল নন্দিনীদিকে চেনেন না এমন মানুষ পাওয়া কঠিন। ডালহৌসিতে ভাতের হোটেল চালান দিদি। ভাইরাল হওয়ার পরে দিদির জনপ্রিয়তা ছড়িয়েছে দেশে-বিদেশে। শীঘ্রই বড় পর্দায় দেখা যাবে নন্দিনী দিদিকে। তাও আবার নাকি অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের সহ অভিনেত্রী দিদি।
দিদির হাতের রান্নার জাদু নিয়ে কোনো প্রশ্ন হবে না। তাঁর দোকানে ভিড়ের ঠেলায় বসার জায়গা পান না খদ্দেররা। ৩টের মধ্যেই শেষ হয়ে যায় সব খাবার। কয়েকদিন আগেই এই নন্দিনীদিকে চিনতে অস্বীকার করেছিলেন এই ডালহৌসির আরেক জন ব্যবসায়ী। যারা কাজের সুত্রে এই চত্বরে যাতায়াত করেন, তারা কমবেশি অরুণদার নাম সকলেই শুনে থাকবেন। তাঁর দোকানের নাম ‘জয় মা তারা হোটেল’। খিচুরির জন্য বিখ্যাত তিনি।
এক ইউটিউবারকে তিনি জানান, “আমার দোকানে এসেছিস আমার কথা বলবি। নন্দিনী নামে কাউকে চিনি না। আমার সম্পর্ক শুধু তোদের সঙ্গে, আমার গ্রাহকদের সঙ্গে।”
অরুণদাকে সেই ব্লগার ভাই জিজ্ঞেস করেছিলেন খিচুরি নিয়ে। তিনি বলেন,”স্ট্রিট ফুডে খিচুরি যদি সারা ভারতে বা বাংলায় খুঁজে দেখা হয় পাওয়া যাবে না। তবে কেউ যদি তা দেখাতে পারেন আমি খিচুরি দেওয়া বন্ধ করে দেব।”
এরপর অন্য এক ইউটিউবার বলেন, এই অঞ্চলে তো দুজন বেশ বিখ্যাত। আপনি আর নন্দিনীদি। একথা শুনে অরুণদার সাফ জবাব,‘ডেকার্স লেনে সবার আগে চিত্তদা। তারপর হতে পারে জয় মা তারার দোকান। তবে ডেকার্স লেনের জন্ম চিত্তবাবুর দোকান থেকেই। আগে উনি। ওঁকে দিয়ে ডেকার্স লেন চেনে মানুষ।’
প্রসঙ্গত, স্মার্টদিদির ভাল নাম মমতা গাঙ্গুলী। পড়াশোনা করেছেন ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে। বেঙ্গালুরুতে সেফের চাকরিও করেছেন বেশ কিছুদিন। তবে কোভিডের সময় পৈত্রিক ব্যবসায় মন্দা দেখা দিলে, চাকরি ছেড়ে হঠাৎই শুরু করে দেন পাইস হোটেলের ব্যবসা। মা-বাবার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ডালহৌসির এই হোটেল নিয়ে লড়াই। খুব শীঘ্রই তাঁকে দেখা যাবে প্রিয়দর্শী ব্যানার্জির পরিচালিত নতুন প্রজেক্ট ‘তিন সত্যি’-তে। তবে নন্দিনীদির ইচ্ছে নিউটাউন ও উত্তর কলকাতায় পাইস হোটেল খুলবেন তিনি। এী মুহূর্তে বড় রেস্তরাঁর ব্যবসায় যদিও ইচ্ছে নেই স্মার্ট দিদি নন্দিনীর।