এবার সত্যিই গোবর ও গোমূত্রে মিলল সোনা, জোর হইচই দেগঙ্গার গোটা এলাকায়, তবে কী ‘গরুর দুধে সোনা’ তত্ত্বও সত্যি? 

এবার সত্যি সত্যি গোবর ও গোমূত্র থেকে মিলেছে সোনা। এমনই দাবী উঠল দেগঙ্গায়। সেখানকার গোবর্ধনপুর এলাকার নাকি গোবর ও গোমূত্রে সোনা পাওয়া গিয়েছে, এমনই দাবী করলেন স্থানীয়রা।

তবে উদ্ধার হওয়া সেই সোনালি রঙের পাথর জাতীয় বস্তু আদৌ সোনা নাকি অন্য কোনও ধাতু, তা এখন বেশ বিতর্কের বিষয়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, দেগঙ্গার গোবর্ধনপুর এলাকার বাসিন্দা এক ব্যক্তি গরু পালন করেন। তবে আচমকাই গত রাতে বাড়ির মালিক লক্ষ্য করেন যে গোমূত্র ও গোবর থেকে কিছু সোনালি রঙের পাথর জাতীয় জিনিস বের হচ্ছে।

সেই খবর জানাজানি হতেও গোটা এলাকায় বেশ হইচই পড়ে যায়। এই খবর পেয়ে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী হাজির হন ওই ব্যক্তির বাড়িতে। জানা যায়, তিনি ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে সেই সোনালি রঙের পাথরের মতো দেখতে বস্তুগুলি কেনেন।

cow urine

আর এরপরই এই নিয়ে আরও বেশি বিতর্ক ছড়ায়। সন্দেহ দানা বাঁধে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। তাদের প্রশ্ন, ওই সোনালি রঙের পাথরগুলি কী তবে সত্যিই সোনা? তা না হলে ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ী সেগুলি ৫০ হাজার টাকা দিয়ে কেন কিনে নিয়ে যাবেন? এই নিয়ে বেশ শোরগোল পড়েছে গোবর্ধনপুর এলাকায়।

cow urine

যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের এই দাবী সম্পূর্ণ উড়িয়ে যুক্তিবাদী মঞ্চের পাল্টা দাবী, মানুষের যেমন গলব্লাডার স্টোন হয়, ঠিক তেমনই গবাদি পশুর পেটেও পাথর হতে পারে যা হয়তো স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের কাজে লাগে। আর এই কারণেই ওই সোনালি রঙের ‘পাথর’গুলি বহু মূল্যে কিনেছেন ওই স্বর্ণকার। তাদের কথায়, গোমূত্র ও গোবর থেকে সোনা পাওয়ার ব্যাপারটি সম্পূর্ণই গুজব, এতে এতটা আমল দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

উল্লেখ্য, বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বেশ কিছু বছর আগে দাবী করেছিলেন, “গরুর দুধে সোনা থাকে”। তা নিয়ে রাজ্যে বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। আর এবার দেগঙ্গায় গোবর ও গোমূত্রে সোনালি রঙের বস্তু মিলতেই ফের দিলীপ ঘোষের সেই মন্তব্যকে টেনে আনা হয়েছে।