রাজুদার বাড়াবাড়ি দেখে অবাক নেট পাড়া! অভিনেত্রীর সঙ্গে এমন কী করল ভাইরাল রাজুদা?

শিক্ষার জগতে প্রচলিত একটা কথা আছে, ‘পড়াশোনা করে যে, গাড়িঘোড়া চড়ে সে’ অর্থাৎ যদি কেউ পড়াশোনা করে শিক্ষিত হয় তাহলে পরবর্তীকালে জীবনে অর্থ উপার্জন করে গাড়ি, ঘোড়া ইত্যাদির মত জীবনের শখ-আহ্লাদ পূরণ করতে পারবে। কিন্তু বর্তমান জগতে দেশ কিংবা রাজ্যের চিত্রটা একেবারেই আলাদা। আকচার দেখতে পাওয়া যায়, এই সমাজে যারা শিক্ষিত আছে তারা কেবলই ঘুরে বেড়াচ্ছে একটা চাকরি পাওয়ার আশায়। কিন্তু, নানান রাজনৈতিক অবস্থার দরুন সাধারণ মানুষের জীবনে হয়রানীর শেষ নেই। হাহাকার চলছে চারিদিকে।

কিন্তু অন্যদিকে একটু আলাদা দৃষ্টিতে দেখতে গেলে দেখা যাবে, যারা খানিক বিনা পরিশ্রমে পেয়ে যাচ্ছে ‘নেম-ফেম’ অর্থাৎ এক তুরিতেই হয়ে উঠছে ফেমাস। কার্যত এই ধরনের দৃশ্য সমাজের চারিদিকে দেখতে পেলে প্রকৃত অর্থে যারা শিক্ষিত রয়েছে কিংবা যাদের অর্থ উপার্জন করার যোগ্যতা রয়েছে তাঁরা বেকার হয়ে থেকে যাচ্ছে।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by @champa_village_cook

আজকালকার দিনে সমাজ মাধ্যম অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং শক্তিশালী এক মাধ্যম বলে মনে করা হয়। ‘এক প্লেট পরোটা, আনলিমিটেড তরকারি সঙ্গে কাঁচা লঙ্কা, পিঁয়াজ ফ্রী’- এই সময়ের নেট দুনিয়ায় প্রায় সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে চলছে এই একটাই ডায়লগ। ‘রাজুদার পরোটা’ বর্তমানে ফুড ব্লগারদের কাছে অত্যন্ত পরিচিত এই নাম। শিয়ালদা স্টেশনের কাছে খোলা আকাশের নিচে এই রাজুদা পরোটা এবং তরকারি বিক্রি করে থাকেন। শিয়ালদা স্টেশনে চলতি পথে অনেকের চোখে পড়ে তাঁর এই দোকান এবং নজর কাড়ে এই দাদার অভিনব পদ্ধতিতে পরোটা বিক্রি করার পদ্ধতি।

এই মুহূর্তে রাজুদা এতটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে, সমাজের নানা অনুষ্ঠান কিংবা হোক উদ্বোধন সব জায়গাতেই পড়ছে তাঁর ডাক। সম্প্রতি, এই ভাইরাল দাদাকে কামারহাটির এক রক্তদান শিবিরের বিশিষ্ট অতিথি হয়ে দেখতে পাওয়া গেছে। এই দাদাকে নিয়ে না না হইচই করতে দেখতে পাওয়াও গেছে ভিডিওর মাধ্যমে। এমনই এক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাজুদার পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীতমা ভট্টাচার্য এবং দাদার মুখে সেই বিখ্যাত ডায়লগ বলে এক প্লেট পরোটা হাতে দিলেন অভিনেত্রীর।

আরও পড়ুনঃ নতুন চমক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’তে ! সোনা-রূপার জীবনে আসছে ত্রিকোণ সম্পর্ক, শেষের মুখে দীপা-সূর্যর চরিত্র?

এই ভিডিও দেখে অনেকেই অনেক মন্তব্য করেছেন। সমালোচকেরা খুব একটা ভালোভাবে নিতে পারেনি এই বিষয়টিকে। কারণ এই সমাজের অনেক শিক্ষিত ব্যক্তিরাই মনে করেন, শিক্ষিত খেটে খাওয়া লোকেদের কোনো জায়গা নেই, চাকরি নেই। নেই কোনো কাজের সুযোগ। এক নেটিজেন মন্তব্য করে বলেছেন, ‘এই জন্যই আজ পড়াশোনা করে চাকরিওয়ালা ছেলেরা দাম পায় না সমাজে’। কারণ, কেউ কেউ বিনা পরিশ্রমেই হয়ে যাচ্ছে নামডাক। আর, সেই নাম করার জন্যই কারোর চেষ্টার শেষ নেই।’