‘সম্পর্কে বিশ্বাসটাই আসল নইলে টেনে সিঁদুর পরলেও টিকবে না’! রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করে শাশুড়িকে নিয়েই লিভ-ইনে থাকে স্মার্ট দিদি নন্দিনী
ডালহৌসির অফিস পাড়ায় ভাতের হোটেল চালিয়ে ফেমাস নন্দিনীদি। তাঁর ইউটিউবার ভাইদের কল্যাণে আর পাঁচাটা ফুটপাতের ভাতের হোটেলে তুলনায় ‘স্মার্ট দিদি’র হোটেলে ভিড়ও বেশি।দিনকয়েক আগেই এক ইউটিউবারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নন্দিনীদি বলেন, ‘কদিন পরে তোরা হয়তো এখানে এসে আমাকে আর দেখতে পারবি না।’ কিন্তু কেন?
উত্তরে নন্দিনীদি জানান, এখানে এখনও নাকি লোক উপরে উঠলে তাঁকে টেনে নামানোর চেষ্টা করা হয়। ইতিমধ্যেই, উত্তর- দক্ষিণ দুই কলকাতাতেই আরও দুটি হোটেল খুলছেন নন্দিনীদি। নিউটাউনে ভাতের হোটেলের জায়গাও নাকি পাকা।
এতকিছুর মধ্যেই সুখবর, বিয়ে করেছেন নন্দিনীদি। তবে সানাই বাজিয়ে সামাজিক বিয়ে নয়। প্রেমিক রূদ্র দাসের সঙ্গে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করেছিলেন পুজোর আগেই। আর এই মুহূর্তে দু হাতে নিজের বাবা-মা, শ্বশুর বাড়ি ও ব্যবসা সিদ্ধ হস্তে সামলাচ্ছেন দিদি।
সংবাদ মাধ্যমে নিজের নতুন সংসার নিয়ে তিনি বলেন, শ্বাশুড়ি তাঁর মায়ের মতই। এবাড়ি ওবাড়ি করে তাঁর বেশ দিন কাটছে। শ্বশুরবাড়িতে নিজের মুখের সামনে চা-টাও এগিয়ে দেয় তাঁর শ্বাশুড়ি। তবে সামাজিক বিয়ে কেন করছেন না নন্দিনীদি?
এই প্রশ্নের উত্তরে তাঁর বক্তব্য, ‘বিয়ে হল দুটো মানুষের সম্পর্ক। আমাদের দুজনেরই কিছু ব্যক্তিগত ভাবে গুছিয়ে নেওয়ার ব্যাপার আছে। আগে সেগুলো ঠিক হোক।’ উল্লেখ্য, নন্দিনীদি বর রূদ্র দাস পেশায় ব্যবসায়ী। হোটেলের ব্যবসাতেই রয়েছেন তিনিও। সিমলায় তাঁর হোটেল। ব্যবসাও চলে রমরমিয়ে।
প্রসঙ্গত, স্মার্টদিদির ভাল নাম নন্দিনী গাঙ্গুলী। পড়াশোনা ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে। বেঙ্গালুরুতে চাকরিও করেছেন বেশ কিছুদিনের জন্য। তবে কোভিডের সময় পৈত্রিক ব্যবসায় মন্দা দেখা দিলে, তবে চাকরি ছেড়ে হঠাৎই শুরু করে দেন মা-বাবার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ডালহৌসির এই হোটেল নিয়ে লড়াই।