মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) ও নীতা আম্বানি (Nita Ambani), কোথায় আছে পৃথিবীর সব কিছুতো বটেই, তার বাইরে মহাকাশেও তাঁদের নিজেদের জন্য একটা গ্রহ কেনা রয়েছে। এবার এটা সম্পূর্ণ রটনা হলেও, যা রটে তার কিছুতো ঘটে। সারা বিশ্ব জুড়ে সবথেকে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় প্রথম দিকেই তাঁর নাম।
আর এই নাম একদিনে বা হঠাৎ করে তো অবশ্যই হয়নি। সারা বিশ্ব জুড়ে নিজের ব্যবসার নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে রেখেছেন মুকেশ আম্বানি। বলিউড বা হলিউডের বড় বড় তারকারাও এত চর্চায় থাকতে পারেন না, যতটা আম্বানি পরিবার থাকে। বিলাস বহুল জীবনও এদের কাছে ফিকে। কারণ এদের জীবন যাপনটাই যেন পৃথিবীর ঊর্ধ্বে। এই দম্পতি নিজেদের স্বর্গ নিজেরাই বানিয়ে রেখেছেন।
আর সেই স্বর্গের কিছু খবর মাঝে মধ্যে বাইরে আসাতে সাধারণ মানুষে অবাকতো হবেনই। অবাক হওয়ারই মতো। যেখানে এখনও সামাজিক ধ্যান ধারণায় বড়োলোক বলতে বাড়ি গাড়ি দামী ফোন গ্যাজেট এইসবকেই ভাবে মানুষে সেখানে পৃথিবীর সবরকম বিলাসিতা নিজের একটা বাড়িতেই বানিয়ে রেখে দিয়েছেন আম্বানি পরিবার।
মুম্বইয় শহরে নিজের একটি আস্ত রাজ প্রাসাদ বানিয়ে রেখে দিয়েছেন আম্বানি পরিবার। তার নাম হচ্ছে অ্যান্টিলিয়া। এই অ্যান্টিলিয়ার মধ্যে পৃথিবীর হেন কিছুর সন্ধান পাবেন না। প্লেন থেকে হেলিকপ্টার, আইস কোর্ট থেকে ডিস্কো, গলফ কোর্ট থেকে ফুটবল মাঠ সবই পাবেন এই রাজপ্রাসাদে। সিনেমা হল, বড় ভিডিও গেম রুম, পুল এসবের কথা আর আলাদা করে বলতে লাগে না।
কিন্তু একবার চিন্তা করে দেখুন তাহলে ঘুরগুলো ঠিক কেমন হবে? তাতে কী কী অত্যাধুনিক ফিচার থাকবে? জানা যায়, এই অ্যান্টিলিয়ার সবথেকে উঁচু ফ্লোরে আম্বানি দম্পতি থাকেন। আর নীতু আম্বানির বাথরুমটি নাকি সব থেকে সুন্দর। বাথরুমে তাঁর আরামের সব রকম ব্যবস্থা তো রয়েইছে। তবে এত ফিচার দেখে রীতিমতো মাথা ভন ভন করবে।
বাথরুমের দেওয়ালে ভি এফ এক্সের ব্যবস্থা করা আছে। নিজের ইচ্ছে মতো যেকোনও প্রাকৃতিক পরিবেশের আবহাওয়া সৃষ্টি করা যেতে পারে। এছাড়াও রয়েছে অটোমেটিক টেম্পারেচার মেইনটেইনের ব্যবস্থা। আর বাকি গান বাজনা, শাওয়ার সিস্টেম এসবের কথা একটু আপনারাই চিন্তা করে নিন। তাহলে, একদিনের জন্যও যদি আপনি এই বাথরুম ব্যবহার করার সুযোগ পান, ভেবে নিন তো ঠিক কী কী করবেন!