এসআইআর শুনানির নোটিস পেলেন কবি জয় গোস্বামী! প্রশ্নের মুখে প্রক্রিয়া, সম্মানীয় ব্যক্তিকে হেন’স্থা নিয়ে ক্ষো’ভে ফুঁসছে পরিবার

রাজ্যে চলছে এসআইআর প্রক্রিয়া। এনুমারেশন ফর্ম জমার পর খসড়া তালিকা প্রকাশ হয়ে গিয়েছে, আর এখন শুরু হয়েছে শুনানির পর্ব। কিন্তু এই শুনানি ঘিরেই ক্রমশ বাড়ছে অভিযোগ। বিশেষ করে প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে অযথা ডাকা, দীর্ঘ অপেক্ষা এবং শারীরিক সমস্যাকে উপেক্ষা করার অভিযোগ সামনে আসছে। সেই আবহেই এবার বিতর্কে জড়িয়ে পড়ল বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক জয় গোস্বামীর নাম।

খসড়া তালিকায় নাম থাকার পরও আচমকা ফোন করে শুনানিতে হাজির হতে বলা হয়েছে জয় গোস্বামীকে। সোমবার তাঁর স্ত্রী কাবেরী গোস্বামীর কাছে আসে সেই ফোন। পরিবারে তিনজন সদস্য জয় কাবেরী এবং তাঁদের কন্যা দেবত্রী। নিয়ম মেনেই এনুমারেশন ফর্ম জমা দেওয়া হয়েছিল এবং খসড়া তালিকায় নাম থাকায় স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তিতে ছিলেন তাঁরা। কিন্তু হঠাৎ এই ফোনে সেই স্বস্তি ভেঙে যায়।

সবচেয়ে বড় সমস্যা জয়ের শারীরিক অবস্থা। গত নভেম্বর মাসে গুরুতর অসুস্থতার কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল এবং একাধিক অস্ত্রোপচারও হয়েছে। এখনও তিনি পুরোপুরি সুস্থ নন। সংক্রমণের আশঙ্কায় তাঁকে বাইরের কারও সংস্পর্শে আসতে মানা করা হয়েছে। এই অবস্থায় শুনানিতে নিয়ে যাওয়া কার্যত অসম্ভব বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন কাবেরী গোস্বামী।

তিনি জানাচ্ছেন যে দীর্ঘ বছর ধরে তাঁরা নিয়মিত ভোট দিয়ে এসেছেন। এক সময় রাসবিহারী এলাকায় ভোট দিয়েছেন এবং বর্তমানে সল্টলেকে থাকলেও সংশ্লিষ্ট বিধানসভা কেন্দ্রে গিয়েই সব নথি জমা করেছিলেন। তাঁর প্রশ্ন যদি জয় গোস্বামীর মতো একজন মানুষকেও এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় তাহলে সাধারণ মানুষের অবস্থা কী দাঁড়াচ্ছে। এই প্রক্রিয়ার মানবিক দিক নিয়ে তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

আরও পড়ুনঃ “ছেলেরা কি সে*ক্স ভুলে যাবে? ওরা কন্ট্রোল করতে পারে নাকি?” “ছেলেরা ইনজয় করে, ধরে ধরে সে*ক্স করছে তাই উত্তেজনা কমাতে মেয়েদের সচেতন হওয়া দরকা!” নারী নিরাপত্তা ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বিত’র্কিত মন্তব্য চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর!

একই ক্ষোভ শোনা যাচ্ছে কন্যা দেবত্রীর গলাতেও। তাঁর বক্তব্য এত বছর ধরে এখানে থাকার পর এবং সমাজ ও সংস্কৃতির জন্য কাজ করার পর আবার প্রমাণ দিতে হবে কেন। পরিবারের দাবি এই পুরো ঘটনা তাঁদের কাছে হেনস্থার শামিল। এখন তাঁদের একমাত্র অপেক্ষা প্রশাসনের তরফে পরবর্তী নির্দেশ কী আসে এবং এই পরিস্থিতির কোনও মানবিক সমাধান হয় কি না।

You cannot copy content of this page