“ছেলেরা কি সে*ক্স ভুলে যাবে? ওরা কন্ট্রোল করতে পারে নাকি?” “ছেলেরা ইনজয় করে, ধরে ধরে সে*ক্স করছে তাই উত্তেজনা কমাতে মেয়েদের সচেতন হওয়া দরকা!” নারী নিরাপত্তা ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বিত’র্কিত মন্তব্য চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর!

বাংলার চলচ্চিত্র জগতে একটি বিশেষ নাম অভিনেতা ‘চিরঞ্জিত চক্রবর্তী’ (Chiranjeet Chakraborty)। শুরুতে রোমান্টিক নায়ক হিসেবে যেভাবে দর্শকদের মন কেড়েছিলেন, পরে আবার ব্যতিক্রমী চরিত্র হিসেবেও দাপট দেখিয়েছেন। আর তাতে আজও অনেক দর্শকের মনে তার আলাদা স্থান রয়ে গেছে। সময় বদলেছে, কিন্তু অভিনেতার জনপ্রিয়তা এখনও অটুট। পর্দায় এখন তাঁকে ঘনঘন দেখা না গেলেও, তাঁর অভিনয় ও ব্যক্তিত্ব এখনও মানুষের কাছে প্রাসঙ্গিক। তবে, অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতিতেও অভিনেতার দীর্ঘদিনের পরিচয়।

বারাসাতের বিধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি তিনি অভিনয়ও চালিয়ে গিয়েছেন। দুই ক্ষেত্রের ভারসাম্য বজায় রেখে তিনি প্রমাণ করেছেন যে নিয়মিত পরিশ্রম দিয়ে একাধিক ক্ষেত্রে সফল হওয়া সম্ভব। এদিকে, অভিনেতা নিজের মেয়ে দীপাবলীর প্রতিও গর্ববোধ প্রকাশ করতে কখনো পিছপা হননি কখনও। বহুবার প্রশ্ন করা হয়েছে, একজন বিখ্যাত অভিনেতার সন্তান হবার পরেও মেয়ে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আসেননি কেন? চিরঞ্জিত বারবার বলেছেন, তাঁর মেয়ে নিজের ক্ষেত্রেই বেশি সফল এবং বাবা হিসেবে তিনি চাননি মেয়ের বাংলার হিরোইন হওয়া!

এমনকি মেয়েদের পোশাক বা স্বাধীনতার বিষয়েও তিনি প্রায়ই, নিজের মেয়ের প্রসঙ্গ টেনে এবং উপমা দিয়ে মতামত প্রকাশ করেন। সম্প্রতি এমনই এক মন্তব্যের জন্য আবার বিতর্ক তৈরি হয়েছে! সম্প্রতি তাঁকে সমাজে বেড়ে চলা ধ’র্ষণ এবং শ্লী’লতাহানির প্রসঙ্গ প্রশ্ন করা হয় যে, একজন মেয়ের বাবা হিসেবে, অভিনেতার সমাজের বাকি মেয়েদের নিয়ে চিন্তা হয় না? তিনি কি মনে করেন না সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি এবং পুরুষদের নারীদের প্রতি আচরণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা উচিত? আর এতেই চিরঞ্জিত বিস্ফো’রক মন্তব্য করেছেন! তিনি বলেন, “পোশাক পরা নিয়ে আগেই বলেছিলাম।

এবার যদি কেউ একটা সুতো জড়িয়ে বেরিয়ে পড়ে, তাহলে তো কেউ বাহবা দেবে না! পোশাক পরার স্বাধীনতা অবশ্যই আছে, কিন্তু মাথায় রাখতে হবে যে আদিম মানুষ থেকে একটা সভ্য সমাজের নির্মাণ করেছি আমরা, তাই পোশাকও তেমন হওয়া প্রয়োজন।” তিনি আরও বলেন, “সমাজ কীভাবে পাল্টাবে? মানসিকতার পরিবর্তন আবার কী? ছেলেরা কি সে*ক্স ভুলে যাবে? ছেলেরা আবার কন্ট্রোল করতে পারে নাকি? এই যে ধরে ধরে সে*ক্স করে দিচ্ছে, তারপর তাদের সাজা হলে জেলেও তো সে*ক্স করছে! সরকার কীভাবে রক্ষা করবে?

আরও পড়ুনঃ “ওই তো গাড়ি, ভাব এমন যেন রোলস রয়েস কিনেছিস!” “গাড়ি-বাড়ি নয়, মানুষ হওয়াটাই সবচেয়ে কঠিন” নতুন গাড়ি নিয়ে মন্তব্যকারীর কটাক্ষে পাল্টা সরব রাজা! সমাজ মাধ্যমে অপমানজনক ভাষার বিরুদ্ধে, মানবিক জবাব অভিনেতার!

দুর্গাপুরে যেটা হলো, একটা ছেলে মেয়ে হোস্টেল থেকে বেরিয়ে গেল। সরকার কি পিছু নেবে যে কি করবে দেখি? যদি সব মেয়েদের সুরক্ষা দিতে হয়, তাহলে সবার জন্য একটা করে পুলিশ লাগবে। একটা ছেলেকে পড়তে বলছো যে ভবিষ্যৎ ভালো হবে, কিন্তু সে পড়ছে না। তাকে কি বুঝিয়ে পড়ানো সম্ভব? বরং মেয়েদের উচিত এমন জামা-কাপড় পরা, যাতে ছেলেদের মধ্যে উত্তেজনা না তৈরি হয়। কারণ রাস্তায় যদি তার সঙ্গে কিছু হয় তার দায়, একান্তই তার থাকবে! ছেলেরা যেটা দেখি ইনজয় করে, সেটা না করাই ভালো।” সব মিলিয়ে এবার বিতর্ক ও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে অভিনেতা চিরঞ্জিত!

You cannot copy content of this page