স্মার্ট দিদি নন্দিনী (Viral Nandini Di) এখন সামাজিক মাধ্যমে দারুণ জনপ্রিয়। বাংলাভাষী ইউটিউবের ফুড ভ্লগাররা তাঁর দোকানে যাননি বা তাঁকে নিয়ে ভিডিয়ো বানাননি এ তো প্রায় অসম্ভব! ফুড ব্লগারদের হাত ধরেই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন তিনি। আর দুটো পাইস হোটেলের মতো তাঁর দোকানটি সাদামাটা দেখতে হলেও, আলাদা।
আলাদা হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে নন্দিনী দিদির স্টাইল। জিন্স টপ পরে কোনও মহিলা কখনও তাঁর আগে পাইস হোটেলে রান্না করেছেন বা খাবার পরিবেশন করেছেন বলে মনে করা যায় না তো জানা নেই। হাইজিন মেনে চলা বা তাঁর কথা বলার ধরন সবটাই টানে আম জনতাকে। কিন্তু এবার অন্য কারণে ভাইরাল হলেন দিদি।
যাদের দৌলতে আজ এত রমরমা সেই ইউটিউবার ভাইদের বললেন, ‘তোমারা তো আমার নাম ভাগিয়ে খাও।’ এক ইউটিউবারের ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে নন্দিনী বলছেন, ‘নন্দিনীর নাম খাটিয়ে তো তুমিও কামিয়ে খাচ্ছ সোনা। তুমি কি নিজের নাম দিয়ে ভিডিও বানাও? হেডলাইন তো বড় বড় করে দাও। নন্দিনীদের নাটক, নন্দিনীদি এক্সপোজড, ছিঃ ছিঃ নন্দিনীদি। যখন সবাই আমার নাম নিয়ে খাটিয়ে খাচ্ছে তখন কাকে কাকে দোষ দেবো? সবাই আমার নাম খাটিয়ে খাচ্ছ। আবার তোমাদের দয়াতেই আমি আয় বাড়িয়ে ভালো খাওয়াচ্ছি। পৃথিবীতে আমরা সবাই একসঙ্গে জুড়েই রয়েছি।’
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই ৮০ টাকায় মটন থালি বিক্রি সুবাদে ভাইরাল হয়েছিলেন চাঁদপাড়ার কালিদি ও মিষ্টিদি। ইউটিউবার ভাইরা তাদের মধ্যে কন্ট্রোভার্সি তৈরি করার জন্য একবার নন্দিনীদের কথা মিষ্টিদিকে ও মিষ্টিদের কথা নন্দিনী দিকে এসে বলেন। তাদের এই একাংশের মত, নন্দিনীদের নাম ভাঙিয়ে ফেমাস হয়েছেন মিষ্টিদি। সেই কথা নন্দিনীদের সামনে বলতেই, নিজের স্বভাব সিদ্ধ ভঙ্গিমায় স্মার্ট দিদির সোজাসাপ্টা উত্তর।
উল্লেখ্য, স্মার্টদিদির ভাল নাম মমতা গাঙ্গুলী। পড়াশোনা করেছেন ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে। বেঙ্গালুরুতে সেফের চাকরিও করেছেন বেশ কিছুদিন। তবে কোভিডের সময় পৈত্রিক ব্যবসায় মন্দা দেখা দিলে, চাকরি ছেড়ে হঠাৎই শুরু করে দেন পাইস হোটেলের ব্যবসা। মা-বাবার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ডালহৌসির এই হোটেল নিয়ে লড়াই। খুব শীঘ্রই তাঁকে দেখা যাবে প্রিয়দর্শী ব্যানার্জির পরিচালিত নতুন প্রজেক্ট ‘তিন সত্যি’-তে। তবে নন্দিনীদির ইচ্ছে নিউটাউন ও উত্তর কলকাতায় পাইস হোটেল খুলবেন তিনি। এই মুহূর্তে বড় রেস্তরাঁর ব্যবসায় যদিও ইচ্ছে নেই স্মার্ট দিদি নন্দিনীর।