জীবন বড়ই অদ্ভুত এক যাত্রা। আজ যে মানুষ আলোয় ভরে ওঠে, কালই হয়তো তাকে গ্রাস করে নেয় অন্ধকার। সাফল্যের মোড়কে লুকিয়ে থাকে অনিশ্চয়তা, আর সেই অনিশ্চয়তাই একদিন টেনে নিয়ে যায় জীবনের শেষ প্রান্তে। পর্দার চরিত্র যতই অমর হয়ে থাকুক, বাস্তব জীবনের পরিসমাপ্তি যেন সবসময় অপ্রস্তুত করে দেয় আমাদের।
চকচকে আলো, ক্যামেরা, গ্ল্যামার—সব কিছুর মাঝেও বিনোদন জগতের অন্তরালে লুকিয়ে থাকে কত না না বলা গল্প। কেউ হাততালির নেশায় ভাসে, কেউ আবার একাকিত্বে হারিয়ে যায়। আলো ঝলমলে মঞ্চের আড়ালেও যে জীবনের কঠিন বাস্তবতা আছে, তা বার বার প্রমাণ দেয় এমন অনেক ঘটনা। অসংখ্য শিল্পীর জীবনের শেষ অধ্যায় কাটে নিঃসঙ্গতায়, রোগ-যন্ত্রণায় কিংবা আর্থিক টানাপোড়েনে।
দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র জগতে এক সময় যিনি ছিলেন চেনা মুখ, সম্প্রতি তাঁর জীবনের আলো নিভে গেল চিরতরে। বহু তামিল, তেলুগু ও কন্নড় ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। বিজ্ঞাপনের পর্দাতেও দেখা গিয়েছিল তাঁর প্রাণবন্ত উপস্থিতি। কিন্তু পর্দার সেই হাসির পেছনে দীর্ঘদিন ধরে চলছিল এক নিঃশব্দ লড়াই—যকৃতের মারাত্মক সমস্যার সঙ্গে।
চিকিৎসা চলছিল, কিন্তু অবশেষে হেরে গেলেন তিনি। ১০ নভেম্বর, সোমবার সকালে নিঃশব্দে বিদায় নিলেন দক্ষিণী অভিনেতা অভিনয়। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৪ বছর। ধনুষের সঙ্গে ২০০২ সালে ‘থুলুওয়াধো ইলামাঈ’ ছবিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
আরও পড়ুনঃ দারুণ খবর! অসুস্থতা কাটিয়ে ফ্লোরে ফিরলেন অভিনেতা জীতু কমল, শুরু হলো শুটিং
জানা গিয়েছে, অভিনয়ের দেহ আপাতত রাখা আছে চেন্নাইয়ের বাড়িতে। পারিবারিক কেউ আর জীবিত না থাকায় শেষকৃত্যের দায়িত্ব নিয়েছে দক্ষিণ ভারতের শিল্পী সংগঠন ‘নদিগার সঙ্গম’। কয়েক বছর আগে তাঁর এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল, যেখানে তিনি অসহায় কণ্ঠে বলেছিলেন—“জানি না আর কত দিন আমি বাঁচব।” সেই কথাই আজ যেন বাস্তব হয়ে গেল।






