Amusing Rii: চিকেন-মাটন রোস্ট ছেড়ে আদ্যোপান্ত সুদীপা চ্যাটার্জিকেই রোস্ট করে দিলো অ্যামিউসিং রি! রান্নার গুণের তুলোধোনা করে ইউটিউবার দিল উচিত শিক্ষা
সুদীপা চ্যাটার্জি যিনি এই মুহূর্তে টলিউডের শুধু নয়, গোটা বাংলার একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছেন। উঠেছিলেন তিনি একটি মাত্র রান্নার শো সঞ্চালনা করে। তারপর থেকে তার এতটাই রমরমা যে এখন সোশ্যাল মিডিয়াতেও লক্ষাধিক ফলোয়ার। পাশাপাশি নায়িকার আরো একটি পরিচয় রয়েছে। টলিউড পরিচালক অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী।
এই মুহূর্তে নিজের এক কৃতকর্মের জন্য অফুরন্ত কটাক্ষের মুখে পড়তে হচ্ছে এই নায়িকাকে। সম্প্রতি নায়িকা সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি পোস্ট করেছিলেন ডেলিভারি বয়কে কেন্দ্র করে। তবে তিনি সরাসরি প্রশ্ন করেছিলেন ডেলিভারি বয় কেন ফোন করে বলে গেট খুলুন আমি কি দারোয়ান?
ঠিক তারপরেই দর্শকদের মন্তব্য তিনি নিচু মনের মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। বহু মানুষ কটাক্ষ করেছেন এই নায়িকাকে। এবার সমালোচকদের তালিকায় যুক্ত হলে আরো একটি নাম অ্যামিউসিং রি। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এই জনপ্রিয় বাঙালি ইউটিউবারকে চেনে না এমন বাঙালি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
অ্যামিউসিং রি রীতিমতো তুলোধনা করেছেন নায়িকাকে। তাঁর রন্ধন কৌশলী নিয়ে সমালোচনা করে বলেন কখন রান্নায় এতটা তেল দিয়ে দেন আবার কখনো তেল ছাড়াই রান্না করে ফেলেন। তার উপরে রান্নার নাম এক সে বরকর এক। দাঁত ভেঙে যায় উচ্চারণ করতে গিয়ে।
অ্যামিউসিং রি আরেকটি বিষয় নিয়ে সমালোচনা করেছেন। জি বাংলার ওই জনপ্রিয় রান্নার অনুষ্ঠানে সঞ্চারিতা হিসেবে দেখা যায় যে কোন রান্নার প্রশংসা করতে একটি মাত্র প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে। হুম বলে যে প্রতিক্রিয়া তিনি দেন তার জন্যই এই ইউটিউবার নায়িকাকে “হুম আন্টি” বলে বসলেন।
এর পাশাপাশি সচরাচর যে রান্নাগুলি আমরা করে থাকি সেগুলির বাইরে যে নতুন নতুন রেসিপি শেখানো হয় সেখানেও অদ্ভুত রকমের কিছু উপকরণ দেওয়া হয়। আর সেই সঙ্গে থাকে উদ্ভট কিছু নাম। যেমন মোগলাই খিচুড়ি, ইলিশ মাখানি, মাখন ইলিশ ইত্যাদি। সেটা নিয়ে তুমুল সমালোচনা করলেন এই ইউটিউবার।
সবশেষে এই ইউটিউবার বললেন যে মানুষগুলো খেটে রোদের ঠান্ডায় ঝড় জল বৃষ্টিতে খাবার পৌঁছাতে আসে তাদের প্রতি সুদীপা চ্যাটার্জি যে কমেন্ট করেছেন সেটা কোনভাবেই সমর্থনের যোগ্য নয়। পাশাপাশি অভিনেত্রীর দিকে আর একটা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন যে তিনি এত ভাল ভাল রান্না জানেন তবুও কেন অনলাইনে খাবার অর্ডার করতে হয়? তাহলে কি নিজের রান্না নিজেরই ভয় লাগে খেতে?