কী যে হচ্ছে! এবার বিদিশার আরেক অভিনেত্রী বান্ধবীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ফ্ল্যাট থেকে, স্তম্ভিত সকলে

টলি ইন্ডাস্ট্রিতে যে কী হচ্ছে তা বলার নয়।মে মাসে একের পর এক অভিনেত্রী আত্মহত্যা করছেন আর সবেতেই মূলত দেখা যাচ্ছে এটা প্রেম ঘটিত সমস্যা। 15 ই মে অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী পল্লবী দের। গত পরশু ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় মডেল-অভিনেত্রী বিদিশা দে মজুমদারকে।আর আজ সকাল বেলায় পাটুলির ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল বিদিশা দে মজুমদারের আরেক অভিনেত্রী বান্ধবী মঞ্জুষা নিয়োগীর ঝুলন্ত দেহ। একটার পর একটা তারা খসে পড়ার দৃশ্য দেখে ক্লান্ত নেটিজেনরা। এর কারণ কেউ বুঝতে পারছেন না।

পাটুলির ফ্ল্যাট থেকে আজ সকালে বিদিশা দে মজুমদারের অভিনেত্রী বান্ধবী মঞ্জুষা নিয়োগীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

বিদিশার মৃত্যুর পর থেকেই ডিপ্রেশনে ছিলেন মঞ্জুষা।
খবরটা শোনার পরেই তিনি চুপচাপ হয়ে যান। তিনি বিবাহিত এবং চার পাঁচ দিন আগে তিনি বাপের বাড়ি এসেছিলেন। মৃত অভিনেত্রীর মায়ের কথায়, ‘বিদিশা ওর বান্ধবী ছিল। একসঙ্গে ওরা অনেক কাজ করেছে। কাল সারাদিন বিদিশার কথাই বলছিল। বারবার বলছিল যে আমিও বিদিশার মতো করব।’

মঞ্জুষার মায়ের আরও দাবি, ‘কালও ভাল মনে শ্যুটিং সেরে এসেছিল। বিয়ের পর জামাই বলতো যে এত কাজ একসঙ্গে করতে হবে না। এই ইন্ডাস্ট্রিতে ছিল বলে শরীর রোগা রাখত, খাওয়া-দাওয়া কম করত। আমিও বলতাম ভাল করে খাওয়া দাওয়া করত। না খেলে রোগ হবে। কিন্তু তার আগেই ও নিজেকে শেষ করে দিল।’

গোটা ঘটনায় হতভম্ব টলিপাড়া। মাত্র 10 দিনের ব্যবধানে 3 অভিনেত্রীর মৃত্যু চমকে দিয়েছে নেটিজেনদের ও।কোথাও গিয়ে এবার মনে হচ্ছে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়টাকে গুরুত্ব দেওয়া দরকার হলে একের পর এক ঝরে যাবে তরুণ তরতাজা প্রাণ।