বাংলা টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে এমন অনেক অভিনেতা ও অভিনেত্রী রয়েছেন যাঁদের আকস্মিক মৃত্যু সংবাদ নাড়িয়ে দিয়ে গিয়েছিল দর্শকদের। অভিনেতা পীযূষ গঙ্গোপাধ্যায়(Piyush Ganguly), রনি চক্রবর্তী(Ronnie Chakraborty), অভিনেত্রী দিশা গঙ্গোপাধ্যায়ের(Disha Ganguly) মৃত্যু শোকস্তব্ধ করেছিল দর্শকদের। একই বছরে এই তিনজনের মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছিল ইন্ডাস্ট্রিকে।
আত্মহনন করেছিলেন দিশা। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় অভিনেতা পীযূষ গঙ্গোপাধ্যায়ের। কিন্তু সবথেকে বেশি রহস্যে মোড়া যাঁর মৃত্যু ছিল তিনি হলেন অভিনেতা রনি চক্রবর্তী। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু না পরিকল্পিত খুন? আজও রহস্যের আড়ালে এই অভিনেতার মৃত্যু। ১৫ই মে ২০১৫ সালের রাতে সার্ভে পার্ক থানা এলাকায় অভিনেতার বাড়ির কাছের এক পুকুর থেকে উদ্ধার হয় রনি চক্রবর্তীর মৃতদেহ। জলে ডুবেই না তাঁকে খুন করা হয়েছে এই নিয়ে চলে বিস্তর জলঘোলা।
অভিনেতার পারিবারিক সূত্রে জানানো হয়েছিল, প্রতি দিনের মতোই ঘটনার দিনও শ্যুটিং সেরে জিমে গিয়েছিলেন অভিনেতা। এরপর রাত একটা নাগাদ তিনি দুই বন্ধুর সঙ্গে বাড়ির কাছের একটি পুকুরে যান সাঁতার কাটতে। দুই বন্ধু জানিয়েছিলেন, সাঁতার কাটতে কাটতে জলের অনেকটা গভীরে চলে গিয়েছিলেন রনি। তাঁকে আর তাঁরা দেখতে পাননি। রনি জল থেকে না ওঠায় তাঁর বাড়িতে খবর দেন ওই দুই বন্ধু। ঘটনাস্থলে আসেন রনির বাবা। ডুবুরি নিয়ে এসে তল্লাশি চালানো হয়। এরপর পুকুরের পাড় থেকে উদ্ধার হয় রনির ফোন, ঘড়ই, এবং মোটরবাইক।
বেশ খানিকটা সময় খোঁজাখুঁজির পর পুকুরের অন্য প্রান্ত থেকে একেবারে জলের তলা থেকে উদ্ধার হয় রনির দেহ। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় এম আর বাঙুর হাসপাতালে। সেখানেই তাঁকে অফিসিয়ালি মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। অভিনেতার বাবা জানিয়েছিলেন, জিম করে সাঁতার কাটতে যাওয়ার ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে রনির। জানা গিয়েছিল, এই ঘটনার কিছুদিনের মধ্যেই অভিনেতার পুত্র রাউডির অন্নপ্রাশন হওয়ার কথা ছিল বলে জানিয়েছিলেন অভিনেতার বন্ধু রাজদীপ গুপ্ত।
স্টার জলসার হিট সিরিয়াল “ওগো বধূ সুন্দরী”তে রনির অভিনয় মুগ্ধ করেছিল দর্শকদের। তার খুব ভালো বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল সিরিয়ালের মুখ্য নায়ক রাজদীপ গুপ্তর সঙ্গেও। আজও ভোলেনি সেই অভিনেতাকে দর্শক।