জেলার মেয়ে থেকে আজকের রাঙামতি হয়ে ওঠা মনীষার জীবনের গল্প প্রভাবিত করবে আপনাকেও

এই মুহূর্তে স্টার জলসা (Star Jalsha ) জমজমাট।‌ একাধিক নতুন ধারাবাহিকের আগমনের ফলে ফের নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে এই চ্যানেল। টিআরপি তালিকাতেও বর্তমান সময়ে এই চ্যানেলের বেশ কিছু ধারাবাহিক খুব ভালো স্থানে রয়েছে। টিআরপি টপ পর্যন্ত করছে এই চ্যানেলের বিভিন্ন ধারাবাহিক। ‌‌

সম্প্রতি শুরু, বন্ধের এই খেলায় জলসার পর্দায় শুরু হয়েছে দু’দুটি নতুন ধারাবাহিক। রাঙামতি তীরন্দাজ ও দুই শালিক।‌ প্রসঙ্গত, দুই শালিক ধারাবাহিকটিকে নিয়ে দর্শকদের মধ্যে যতটা উন্মাদনা ছিল ততটা উন্মাদনা অবশ্যই রাঙামতি ধারাবাহিকটিকে নিয়ে একেবারেই ছিল না দর্শকদের মধ্যে। আসলে দুই শালিকে পোড় খাওয়া দুই অভিনেত্রী তিতিক্ষা এবং নন্দিনীর সামনে একেবারেই আনকোরা রাঙামতির নায়িকা মনীষা মন্ডল।

শুরু শুরুতে নবাগতা এই অভিনেত্রীকে একেবারেই না পসন্দ ছিল দর্শকদের। যদিও ধারাবাহিক শুরুর পরে এই ধারাবাহিক যে দর্শকদের মন কেড়েছে টিআরপি তালিকার সাফল্যই তার প্রমাণ। এক আদিবাসী মেয়ের অলিম্পিকের মেডেল জয়ের গল্প মনে ধরেছে বাঙালি দর্শকদের। আর এখানেই সাফল্য নবাগতা মনীষার।

এই মুহূর্তে টেলিভিশনের নামজাদা সব অভিনেতা, অভিনেত্রীদের টক্কর দিচ্ছেন মনীষা। আদতে মুর্শিদাবাদের এই কন্যাই এখন টেলি পাড়ায় হৈচৈ ফেলে দিয়েছে। ছোট থেকেই অভিনেত্রী হওয়ার শখ ছিল। বাড়িতে টিভি দেখে নিজেই বলতেন একদিন আমাকে ওইখানে দেখা যাবে। আর আজ নিজের সেই স্বপ্নকে সত্যি করে ফেলেছেন মনীষা।

প্রথমবার মাস্টার্স পড়ার জন্য নিজের জেলার বাইরে পা রাখেন মনীষা। ছোট থেকে কখনই অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না তিনি। কখনই অভিনয় করেননি, তবে মনে করতেন অভিনয় তার মধ্যে রয়েছে। তিনি যাপন করছেন। আর তাই মাস্টার্স পড়তে এসে প্রথমবার যোগ দেন কল্যানীর একটি থিয়েটার গ্রুপে। কল্যাণী নাট্যচর্চা কেন্দ্র। আর সেখান থেকেই শুরু তার অভিনয়ে যাত্রার।

অভিনেত্রী জানিয়েছেন কল্যাণী থেকে অডিশন দিতে আসা সম্ভব হত না। তাই চলে আসেন কলকাতায়। প্রথমে বেলঘড়িয়া তারপর বাঁশদ্রোণী। ইতিমধ্যেই বেলগাছিয়া পাইকপাড়া আখরের সঙ্গে যুক্ত হওয়ারও সুযোগ পান তিনি। এর ফলে বাড়তে থাকে পরিচিতি।

আরও পড়ুন: “মাননীয়া নিজেও তো একটা সময় অনশন করেছিলেন, তাহলে এখানে একবার আসুন’, ধর্নামঞ্চ থেকে কাতর দাবি দেবলীনার 

এছাড়াও প্রচুর মিউজিক ভিডিও, শর্ট ফিল্ম, ফটোশুট, ব্রাইডাল শুট, মডেলিং-এর কাজ করেছেন তিনি। আর তা করতে গিয়েই যোগাযোগ হয় স্টারের। যদিও শুরুতে আদিবাসী ভাষা বলা নিয়ে কিছুটা হলেও চিন্তিত ছিলেন অভিনেত্রী। তার কথায়, ‘আমি পড়াশোনায় তেমন ভালো নই, আবার নতুন একটা ভাষা শিখতে হবে বলে চিন্তিত ছিলাম। যদিও মুর্শিদাবাদের ভাষায় এক ধরনের টান আছে যা আমাকে সাহায্য করেছিল এই ভাষা বলতে।’

Back to top button