মেয়েবেলার আয়ু শেষ! ‘ডেকে নিয়ে গিয়ে ফ্লোরে অপমান করা হয়েছে’! ধারাবাহিকের শেষ লগ্নেও অভিযোগ থেকে পিছু হটলেন না ‘বীথি মাসি’ রূপা গাঙ্গুলী

স্টার জলসার পর্দায় মেয়েবেলা ধারাবাহিকের প্রথম প্রোমো যখন আসে তখনই দর্শকরা আঁচ করতে পেরেছিলেন একটি অন্যরকম ধারাবাহিক হতে চলেছে মেয়েবেলা। বিশেষ করে এই ধারাবাহিকে নজর কেড়েছিল একটি চরিত্র সেটি হল বিথীকা মিত্রের। আর এই চরিত্রের মধ্যে দিয়ে সুদীর্ঘ ৫ বছর পর অভিনয়ে ফেরেন বাংলার স্বর্ণযুগের অভিনেত্রী রূপা গাঙ্গুলী।

বলা যায় মেয়েবেলা ধারাবাহিকের পোস্টার গার্ল ছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। শুধুমাত্র তাঁকে আবার‌ও টেলিভিশনের পর্দায় দেখার জন্য কত বাঙালি মেয়েবেলা দেখা শুরু করেছিলেন। যদিও পরবর্তীতে এই ধারাবাহিকটি হয়ে ওঠে সমগ্র সিরিয়ালের মধ্যে অন্যতম বাস্তবধর্মী একটি ধারাবাহিক। না টিআরপি তালিকায় কামাল করতে পারেনি এই ধারাবাহিকটি। তবে দর্শকের মনে রাজত্ব করেছে তা বলাই যায়।

এই ধারাবাহিকে মৌ, ডোডো, টিকলি একাধিক সব চরিত্র নিজেদের অভিনয় দক্ষতায় নজর কেড়েছিল। এই ধারাবাহিকে প্রত্যেকজন অভিনেতা-অভিনেত্রীর অভিনয় দর্শকদের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। কিন্তু ওই ভালো জিনিস কি আর খুব বেশিদিন চলে। আর সেই রকমই কয়েক মাস চলার পরেই বন্ধের মুখে ধারাবাহিক মেয়েবেলা।

গতকাল অর্থাৎ বুধবার রাতে এই ধারাবাহিকের পরিচালক সুমন দাস সোশ্যাল মাধ্যমে লেখেন, ‘অনেকদিন পরে মনের মতো একটা শো পরিচালনা করে খুব ভালো লাগছিল। কিন্তু এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে ভাবিনি। যাই হোক, ভালো জিনিস কম হলেই ভালো।’ এরপর তিনি এই ধারাবাহিকের প্রযোজনা সংস্থা সুরিন্দর ফিল্মস এবং মেয়েবেলার সমস্ত আর্টিস্টদের ধন্যবাদ জানান।‌

আর মেয়ে বেলা ধারাবাহিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য অনেকেই দুষছেন অভিনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে। আসলে মেয়েদের না ধারাবাহিকে নারী নির্যাতন দেখানো হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে মাঝ পথেই ধারাবাহিক ছেড়ে বেরিয়ে যান রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক‌। হয় তীব্র জলঘোলা। এরপর রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের শূন্যস্থান পূরণে আসেন অভিনেত্রী অনুশ্রী দাস। কিন্তু তিনি ক্ষণিকের অতিথি হয়েই রয়ে গেলেন‌।

আর ধারাবাহিকের শেষ লগ্নে দাঁড়িয়েও এখনও এতোটুকুও রাগ এবং অভিমান কমেনি রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের তা ফের একবার প্রমাণিত হলো। একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী অভিযোগ করে বলেছেন, আমাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে অপমান করা হয়। ফ্লোরে আমাকে কষ্ট বেশি দেওয়া হয়েছে।’ এক‌ইসঙ্গে অভিনেত্রী জানিয়েছেন তিনি পুরনোপন্থী। সকাল সাতটায় কল মানে সকাল ৭টা ১৫-র মধ্যে উইথ মেকআপ ঢোকা পছন্দ করেন তিনি। এবং জীবনের শেষদিন পর্যন্ত তাই করবেন বলে জানিয়েছেন।

অভিনেত্রীর অভিযোগ মেয়েবেলা ধারাবাহিককে তাকে যা যা বলে ঢোকানো হয়েছিল দিন পনেরোর মধ্যে তা মুছে ফেলে হয়। তিনি মিথ্যাচারের ফাঁদে পড়েন বলে জানিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, ‘আমাকে বলা হয়েছিল স্ক্রিপ্ট দেওয়া হবে। গল্পের লাইন পরিষ্কার জানতে পারব। ৫-৭টা ওয়ান লাইনার পাব। কিন্তু কিছুই দেওয়া হয়নি। দিনের পর দিন চেয়েছি পাইনি। হাতে গরম ডায়লগ পাঠিয়ে দেওয়া হতো। আমি এইভাবে কাজ করতে পারবো না। তার থেকে বরং বাড়িতে বসে বই পড়বো, গান শুনবো’ বলেই মন্তব্য করেছেন তিনি।