বসুমল্লিক পরিবারকে নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরাচ্ছে রঞ্জা!মেয়েরা উপোস করলে ছেলেরাও করবে, সমানাধিকারের সামাজিক শিক্ষা দিচ্ছে পিলুর বোন রঞ্জা
জি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় সিরিয়াল হলো পিলু। শুরু হয়েছে মাত্র পাঁচ মাস হল কিন্তু এর মধ্যেই টিআরপি রেটিং তালিকায় নিজের সম্মান সসম্মানে বজায় রেখেছে জি বাংলার প্রোডাকশন হাউজের এই ধারাবাহিক। পিলুর ভূমিকায় রয়েছেন নবাগতা মেঘা দাঁ। ডান্স বাংলা ডান্স থেকে এসেছেন তিনি কিন্তু অভিনয় দেখলে বোঝাই যায় না এটা তার প্রথম কাজ।
পিলুতে এমন কিছু বিষয় দেখানো হচ্ছে যেগুলো বিশেষ করে সামাজিক শিক্ষা দিচ্ছে মানুষের মধ্যে।এমনিতেও জি বাংলার ধারাবাহিকগুলোতে বর্তমানে অনেক শিক্ষামূলক জিনিস দেখানো হচ্ছে যেমন গতকালই এই পথ যদি না শেষ হয় তে দেখানো হয়েছে পণপ্রথার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে উর্মি এবং মুমু। এছাড়া এর আগে গৌরী এলো তে আমরা দেখেছি যে বাঁ হাতেও আশীর্বাদ করা যায় মন থেকে চাইলে।আর এখন পিলুতে আমরা বারবার দেখছি যে মেয়ে আর ছেলের সমানাধিকার কীভাবে আদায় করতে হয়।
বসুমল্লিক বাড়িতে গিয়ে রঞ্জা হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দিচ্ছে সে অন্যায় মেনে নেওয়ার পাত্রী নয় এবং তার সঙ্গ দিচ্ছে পিলু। মল্লার অন্যায় ভাবে বিয়ে করেছে রঞ্জাকে। এরপরে পিলু রঞ্জা, আহীরের মা আর আহীর চলে আসে বসুমল্লিক বাড়িতে।সেখানেই দুই বোন মিলে গোঁড়া রক্ষণশীল বসুমল্লিক বাড়িকে শিক্ষা দিতে শুরু করার পর পর। রঞ্জা একটু শক্ত ভাবে শিক্ষা দেয় এবং পিলু দেয় বুদ্ধি করে।
গতকালের এপিসোড একদম ঝামা ঘষা হয়েছে। আহীরের পিসি ঠাম্মি বলে, আজকে বাড়ির পুজো, মেয়েদের উপোস করতে হবে। তখন রঞ্জা বলবে শুধু মেয়েরা কেন করবে, ছেলেরাও করবে?
পিসি ঠাম্মির চোখ ট্যারা হয়ে যাবে রঞ্জার তর্ক শুনে। তখন পিসি টা আমি বলবে যে ছেলেরা করে না কারণ ছেলেদের পিত্তি পড়ে। তখন রঞ্জা স্পষ্ট জানে যে কেন মেয়েদের কি তাহলে পিত্তি পড়ে না নাকি?তার কথা শুনে বসুমল্লিক পরিবারের সকলে থতমত খেয়ে যায় যদিও আহীরের মা এবং পিলুর মুখে হাসি আসে। এভাবেই সমাজের সমস্ত বাঁধা ভেঙে এগিয়ে যাচ্ছে পিলু আর তাঁর সঙ্গ দিচ্ছে রঞ্জা।