সুর দিয়ে ফুলঝুরি-লালনকে আজ বেঁধে দিল অঙ্কু্র! ‘এই দিনটা দেখব বলেই তো এক বছর ধরে অপেক্ষা করে আছি’, আবেগে চোখ ছলছল লালঝুরি ভক্তদের, তবে কি শেষের পথে ধুলোকণা?

কথা বলে যোগ্যরা ঠিক সম্মান পায় দিনের শেষে। যে যেমন যোগ্যতা অর্জন করবে সে সেরকমই সম্মান পাবে। এই কথাটা বাংলা ধারাবাহিকের ক্ষেত্রে খুব খাটে।কোন ধারাবাহিকের গল্প যদি ভালো হয় তাহলে দর্শক সেটা দেখে আর তার টিআরপি রেটিং বাড়ে কিন্তু গল্প যদি দর্শকদের মন মত না হয় তাহলে টিআরপি রেটিং হু হু করে কমতে থাকে যেটা এখন হচ্ছে মিঠাইয়ের সঙ্গে। মিঠাই এর বর্তমান গল্পটা বাঙালি একদম নেয়নি আর এটাই হতো জানা কথা। প্রথম স্থান দখল করেছে তার কারণ আগের সপ্তাহ থেকেই অঙ্কুর কীভাবে লালন আর ফুলঝুরির বিয়েটা দেওয়া যায় তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিল আর গত সপ্তাহে তো প্রোমো এসেছিল ওদের বিয়ের।ধূলোকণা আজকে প্রথম হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহেও হবে এরকমটাই আশা করা যাচ্ছে।

অবশেষে আজ দেখানো হলো সেই প্রোমো এপিসোড। অঙ্কুর ঘুরিয়ে লালনকে দিয়েই সমস্ত বরের আচার পালন করিয়েছে। অন্যদিকে ফুলঝুরি মন খারাপ করেই অঙ্কুরের সঙ্গে বিয়েতে রাজি হয়েছিল। তবে অঙ্কুর এসেছিল দুজনের মধ্যে মিল ঘটাতে আর আজকে সে এই কাজটা করে দিল।

এত সুন্দর একটা ডায়লগ সে আজকে বলল যে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে সেটা।
“দুইজনকে দড়ি দিয়ে না,সুর দিয়ে বাঁধলাম।যদি এই সুর কখনও বেসুরো হয় তাহলে কিন্তু এই অসুর আবার এসে হাজির হবে”। এই কথাটা যখন অঙ্কুর ওদের বিয়ের পর বলল দর্শকদের এত ভালো লেগেছে যে বলে বোঝানো যাবে না।

তাই আশা করা যাচ্ছে যে চলতি সপ্তাহে যেরকম প্রথম হয়েছে ধূলোকণা সামনের সপ্তাহে প্রথম হবেই। এই মুহূর্তে যদি মিঠাই নতুন কোন প্রোমো না দেয় আর গল্প পরিবর্তন না করে তাহলে ধুলোকণার কাছে বারবার হারবে মিঠাই।

তবে অনেকে মনে করছেন যে হয়তো ধুলোকণা এবার শেষ হয়ে যেতে পারে কারণ এর মূল উদ্দেশ্য ছিল তো লালন আর ফুলঝুরির মিল ঘটানো, সেটা হয়ে গেছে আর তার জায়গায় হয়তো এক্কাদোক্কা বা নবাব নন্দিনী আসতে পারে।তবে ইলাস্টিকের মত না বাড়িয়ে যদি ধূলোকণাকে এখানেই শেষ করে দেওয়া হয় তাহলে সেটা এই ধারাবাহিকের জন্য অনেক সম্মানের হবে বলে মনে করছেন এর দর্শকরা।