স্টার জলসাকে (Star Jalsha) একদম শক্ত খুঁটির মতো ধরে রেখেছে অনুরাগের ছোঁয়া (Anurager Chhowa) ধারাবাহিকটি। আসলে একের পর এক নতুন ধারাবাহিক এসে পিছনে ফেলে দিচ্ছে পুরোনো ধারাবাহিকগুলোকে। এই যেমন নতুন বছরের প্রথম টি আর পি (TRP) রেজাল্টে সবার প্রথমে ছিল জগদ্ধাত্রী। কিন্তু এখন সেই জগদ্ধাত্রীকে (Jagaddhatri) চোখে আঙুল দিয়ে টেক্কা মেরে প্রথমে রয়েছে অনুরাগের ছোঁয়া (Anurager Chhowa)। তাও কিছু পয়েন্টের ব্যবধানে নয়। বেশ ভালো নম্বরেই টেক্কা দিয়েছিল অনুরাগের ছোঁয়া।
তবে এই টি আর পির দিক দিয়েও বেশ ওঠা নাম হয়েছে, কারণ টি আর পি খুবই আপেক্ষিক একটি বিষয়। টি আর পি টিকিয়ে রাখা যেন অন্য এক সংগ্রাম। সেই সংগ্রামে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পিছিয়ে পড়তে হচ্ছে বহু ধারাবাহিককে। এরকম কত ধারাবাহিক আছে।
তবে মাঝে অনুরাগের ছোঁয়ার টি আর পিও বেশ নেমে গিয়েছিল। বার বার সূর্য আর দীপার ভুল বোঝা বুঝিতে বিরক্ত হয়ে গিয়েছিল দর্শকরাও। ৯.১ থেকে সোজা ৮.৮ এ টি আর পি নেমে এসেছিল। তবে আবার সেই টি আর পি ধরে রাখতে সাহায্য করেছিল মিষ্টি দুটো বাচ্চা, সোনা ও রূপা। কিন্তু কতদিন এইভাবে! গল্পের প্লট ও ধারাবাহিকের স্লট, দুটোই খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
তখনই একের পর এক প্লট পাল্টে দিল নির্মাতারা। একে তো সূর্য আর দীপার ক্রমশ ভুল বোঝাবুঝি আর ভালো লাগছিল না দর্শকদের। তার মাঝে এই টি আর পি ধরে রাখতে মাঝে মধ্যেই প্লটের চেঞ্জ ঘটাচ্ছে নির্মাতারা। যেমন মাঝে সূর্য আর দীপা এক হল, তবে আবার গল্পের তালে গোলে সব গুলিয়ে গেল।
এবার এর মাঝেই সোনার ভালোর জন্য সূর্য ও দীপা মিলে নতুন একটা গোলমাল শুরু করেছে। সূর্য ঠিক করেছে যে সে আমেরিকায় গিয়ে থাকবে আর সেখানে সোনাকেও নিয়ে যাবে, কারণ তাঁর মতে এইসব বাজে মানুষদের কাছ থেকে বাঁচাতেই সোনাকে নিয়ে চলে যাবে সূর্য। আর সেই কারণেই স্কুলে টিসিও নিতে এসেছে সূর্য।
তবে ওদিকে ঘটছে অন্য ঘটনা। সেই স্কুলেই দীপা কাজ করায় দীপা কাজ ছেড়ে দেবে বলছে। কারণ দীপা ভাবছে যে সে স্কুল ছেড়ে দিলে সোনা ভালো থাকবে। এদিকে আর মাত্র কয়েকমাস পরেই দীপার স্কুলের ফাইনাল পরীক্ষা। কিন্তু সেসব কিছু না মেনেই এক্ষুনি সোনাকে নিয়ে আমেরিকা চলে যেতে চাইছে সূর্য।
কিন্তু কী চাইছে সোনা? সোনা কিন্তু কাউকে ছেড়ে যেতে চাইছে না। যেমনটি চাইছে না লাবণ্যও। সেতো স্পষ্ট বলছে, সূর্য আমেরিকা যাবে যাক কিন্তু সোনা দিদিভাইকে নিয়ে যাওয়া যাবে না। গেলেই যেন তাঁর ওপর কেস ঠুকে দেবে। আসলে বাড়ির ছোটরাতো এরকম ভালোবাসারই হয়। তবে আশা করি এত বাঁধা যখন আসছে তখন আর আমেরিকা যাওয়া হবে না কারোরই। কারণ দিন শেষে সবাইই চায় মিলে মিশে থাকুক।