প্রাণ সংশয়ে জেরবার তিস্তা! চিঠি পেয়ে কোমর বেঁধে তিস্তাকে বাঁচাতে মাঠে নামছে অর্জুন আর দীপা! এবার জমবে খেলা

 Arjun And Deepa Will Rescue Tista: জনপ্রিয় টেলি সিরিয়াল (Tele Serial) ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chhowa)স্টার জলসার (Star Jalsha) এই ধারাবাহিকের বিপক্ষ জি বাংলার (Zee Bangla) ‘মিঠিঝোরা'(Mithijhora)। দুই ধারাবাহিকের মধ্যে চলছে হাড্ডাহাড্ডি টক্কর। টিআরপি তালিকায় (trp) মিঠিঝোরাকে টেক্কা দিচ্ছে অনুরাগ। ধারাবাহিকের গল্পে এই মুহূর্তে চলছে টান টান পর্ব। দর্শকদের আগ্রহ ধরে রাখতে প্রতি পর্বেই থাকছে নতুন নতুন চমক।

বর্তমানে ধারাবাহিকের গল্পে তিস্তা(Tista) এসে উঠেছে অর্জুনের বাড়িতে। ভিক্টরের মারের হাত থেকে বাঁচতে রাতের অন্ধকারে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে সে। পথে ভুবনদা তাকে নিয়ে আসে দীপার বাড়িতে। সেই রাতে ফের তিস্তার গলায় মারের দাগ দেখতে পায় দীপা। কিন্তু ভিক্টরের একটা মেসেজ মুখে কুলুপ আঁটতে বাধ্য হয় সে। সোনা-রূপাকে নিয়ে হুমকি ভিক্টর। তাই ইচ্ছে থাকলেও, তিস্তা সত্যিটা কথা বলতে পারে না দীপাকে।

তবে রাত জেগে দীপাকে একটা চিঠি লিখে এসেছে সে। সেই চিঠিতে ব্যক্ত করেছে ঘোর বিপদের মুখে তিস্তা। দীপাকে জানিয়েছে তিস্তা তার সঙ্গে থাকতে চায়। কথাটা কানে বাজে দীপার। স্বামী, সংসার ছেড়ে তিস্তা দীপার সঙ্গে থাকতে চায় কেন? পরদিন সকালে অর্জুনের বাড়ি এসে হাজির পৃথাদেবী, ভিক্টর আর কাকীয়া। খানিক জোড় করেই কাকীয়াকে এনেছে ভিক্টর। তিস্তার চলে যাওয়ার বিন্দু মাত্র ইচ্ছে নেই। তবে কাকীয়ার জোড়াজুড়িতে বাড়ি ফিরতে বাধ্য হয় তিস্তা।

অর্জুনের বাড়িতে একপ্রস্থ কথা কাটাকাটি চলে দুপক্ষের। এবার আর বরাবরের মতো মুখ বুঝে থাকে না দীপা। কাকীয়া অপমান রুখতে স্বপক্ষে মুখ খোলে সে। আর বরাবরের সহযোদ্ধার মতো পাশে ছিল অর্জুন। দীপার অপমান বরদস্ত করে না সে। তবে আগুনে ঘি ঢালা বন্ধ করার জন্য খোকা তিস্তাকে বলে তার মা যখন বাড়ি বয়ে নিতে এসেছে তখন তিস্তা যেন চলে যায়। আর বাড়ি ফিরে ফের তিস্তার উপর চড়াও হয় ভিক্টর।

আরো পড়ুন:বয়সের বিস্তার পার্থক্য অপেক্ষা করেই একে অপরের প্রেমে মশগুল তারা! সকলের সামনে স্বামী সপ্তর্ষির থেকে আবদার বউ সোহিনীর! লজ্জায় লাল সপ্তর্ষি!

এদিকে কাকীয়া মুখ ফসকে বলে ফেলেছে সূর্য অর্থাৎ সোনা-রূপার বাবা অন্য একটা বিয়ে করেছে। দুই বোন কাঁদতে বসলে তাদেরকে ঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তিস্তার চলে যাওয়ার পর খোকা দীপাকে বলে তিস্তার ব্যাপারে যে দীপা না থাকে। তবে মন সায় দেয় না দীপার। আর তখনই রূপা তিস্তার চিঠি পায়। দীপা আর অর্জুন চিঠি পড়ে স্তম্ভিত হয়ে যায়। আর হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না তারা। তিস্তাকে ভিক্টরের হাত থেকে বাঁচাতে কোমর বেঁধে মাঠে নামছে দীপা আর অর্জুন।