স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় ধারাবাহিক জল থই থই ভালোবাসা (Jol Thoi Thoi Valobasa) দেখা যাচ্ছে রূপের বিয়ে প্রস্তাবে হ্যাঁ বলে দিয়েছে তোতা। কিন্তু মন তার কিছুতেই মানতে চাইছে না। আসমান তোতাকে ডেকে পাঠায় একটি ক্যাফেতে। তাকে বলে তার সঙ্গে কিছু কথা আছে আসমানের। সেটা শুনে দমনা করতে করতে সেখানে চলে যায় তোতা। তার মাথায় ঘুরতে থাকে হাজারটা প্রশ্ন। কি হয়েছে? কেন ডেকে পাঠালো আসমান তাকে? আসমানের কথা ভেবেই তার চিন্তা বাড়তে থাকে।
ওদিকে ময়ূরাক্ষীদের ডাকতে তাদের বাড়ি চলে যায় কোজাগরী আর উদ্যালক। সেখানে গিয়ে বেশ অপ্রস্তুত পরিস্থিতিতে পরে যায় তিনি। কোজাগরী বারবার ময়ূরাক্ষীকে বলতে থাকে তাদের বাড়ি চলে আসার জন্য। কিন্তু ময়ূরাক্ষী কোজাগরীকে বলে দেয় তিনি পরের দিন যাবেন। তখন কোজাগরী তাকে বলে তাড়াতাড়ি আসার জন্য। সেটা শুনে ময়ূরাক্ষী আর কিছু বলেন না। খালি বলেন আজ ডাক্তার দেখিয়ে তারা কাল চলে যাবেন একসময়। তবে সবটাতে কিছুই বলেন না উদ্যালক।
কোজাগরী উদ্যালককে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন হ্যাঁ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চলে আসতে। কিন্তু মন থেকে যে তিনি একদমই কথাটা বলছেন না সেটা ভালভাবেই বুঝতে পারে ময়ূরাক্ষী। তখন কোজাগরী খিলখিলকে বলে অন্ততপক্ষে সে যেন তাড়াতাড়ি চলে যায় তখন খিলখিল বলেন সেটা হয়না, সে মাকে ফেলে যেতে পারবে না। মা গেলে তার সঙ্গেই যাবে সে। সেটা শুনে খুব খুশি হয় কোজাগরী। তারপর সেখান থেকে চলে যান তারা। ওদিকে তোতাও পৌঁছে যায় ক্যাফেতে।
আসমানকে দেখে তোতা জিজ্ঞাসা করে কেন জেকেছে সে এখানে। আসমান তো তাকে দেখে খুব খুশি হয়ে জিজ্ঞাসা করে সে কি খেতে চায় তখন তোতা বলে সে সকলের ডাকে আসে না, সে ডেকেছে বলেই এসেছে। সেটা শুনে আসমান বলে তার মানে তার মূল্য আছে তোতার জীবনে। আসমান তোতাকে বলে সে চাকরি পেয়েছে। সেটা শুনে তোতা ভাবতে থাকে আসমান কি তবে তাকে বিয়ের জন্য বলবে। তখন আসমান তাকে বলে তাকে কিছুসময়ের জন্য ট্রেনিংয়ে বাইরে যেতে হবে তারপর আসে আবার ফিরে আসতে পারবে কিন্তু তার বাবা চায়না সে এই কাজটা করুক, তার এখন কি করা উচিত।
সেটা শুনে কিছু বলে না তোতা জিজ্ঞাসা করে শুধু এটার জন্য তিনি তাকে ডেকেছেন কিনা। তখন আসমান বলে তার বাবা চায় সে উদ্যালক বসুর কাছ থেকে পিএইজডি করুক। তখন। তোতা বিরক্ত হয়ে বলে সেটা তার ইচ্ছে। তখন তোতা তাকে জিজ্ঞাসা করে আর কিছু বলবে নাকি কিন্তু আসমান বলে আর কিছু বলবে না। ওদিকে বাড়িতে চলে আসে ময়ূরাক্ষী, অপরাজিতা আর খিলখিল। কিন্তু তাদের আসার সঙ্গে সঙ্গে ভেঙে যায় কাঁচের বাতি সেটা দেখে কোজাগরী তোতাকে ঝাটা আনতে বলেন।
আরো পড়ুন: ময়ূরী শুধরাবে না! শেষ মুহূর্তেও মেঘের ক্ষতি করার জন্য হাসপাতাল থেকে পালাতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ল ময়ূরী!
তাদের স্বাগত জানায় কোজাগরী। খিলখিল কোজাগরীর ব্যবহারে খুব খুশি হয়। তাদেরকে সকলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয় তিনি। তিনি বলেন তাদের এখানে থেকে যেতে এবং এখন থেকেই চিকিৎসা করতে। কিন্তু চুপ করে দিয়ে থাকেন উদ্যালক তার ব্যবহার দেখে বেশ অবাক লাগে কোজাগরী। ময়ূরাক্ষীও মনে মনে বলেন তিনি এখনই কাউকে কিছু বলেছেন না এবং তিনিও চায় তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে এখান থেকে চলে যেতে। তাহলে কি মনে হয় আপনাদের আসমান কি পারবে তোতাকে তার মনের কথা বলতে? কোন ঝড় আসল কোজাগরীর জীবনে?