বাংলা টেলিভিশনে এই মুহূর্তে স্টার জলসার ধারাবাহিক ‘এক্কাদোক্কা’ ভালো জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। এই ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্র রাধিকার ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে অভিনেত্রী সোনামনি সাহা এবং পোখরাজের চরিত্রে দেখা যাচ্ছে অভিনেতা সপ্তর্ষি মৌলিককে।
ধারাবাহিক শুরুর প্রথম থেকেই দুই পরিবারের রেষারেষির মধ্যে পোখরাজ এবং রাধিকার একটি টক্করের সম্পর্ক দেখানো হয়েছিল। এছাড়া দেখানো হয়েছিল তারা দুজনেই ডাক্তার হওয়ার জন্য পড়ছে। কিন্তু সম্প্রতি দেখানো হয়েছে যে পোখরাজ এবং রাধিকা একে অপরকে ভালোবাসে সেটা পোখরাজ নিজের মুখে স্বীকার করলেও রাধিকা এখনো তা বলেনি।
এবং ঘটনাচক্রে তাদের বিয়ে হয়ে গেছে। আর রাধিকা এখন পোখরাজদের বাড়িতে বউ হয়ে গেছে। সেখানে বউ হয়ে যাওয়ার পরেই রাধিকাকে চরম অপমানিত হতে হচ্ছে এবং পদে পদে কটু কথা শুনতে হচ্ছে।
কিছুদিন আগেই পোখরাজের মা রাধিকাকে এমন ঠেলে দিয়েছিল যে দরজায় লেগে তার মাথা ফেটে গেছে। এবং তারপরে সম্প্রতি ধারাবাহিককে দেখানো হচ্ছে রাধিকা শ্বশুর বাড়ির সকলের জন্য পোলাও রান্না করছে। এবং সেখানেও তাকে চক্রান্তের শিকার হতে হয়েছে।
কিন্তু এইসব দেখেই নেটিজেনদের একাংশ বলছে যে যদি এত লেখাপড়া শিখেও রাধিকাকে পোলাও রান্না করে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে হয়, তাহলে তাকে এত শিক্ষিত দেখানো হলো কেন? এছাড়া শ্বশুর বাড়িতে আসার পরেই তার ওপর যেরকম অত্যাচার দেখানো হচ্ছে সেটা সে মুখ বুজে কেন সহ্য করছে!
নেটিজেনদের একাংশের প্রশ্ন লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায় কি তাহলে মেয়েদের অসহায় অত্যাচারিত দেখালেই টিআরপি বাড়ে এমন ভাবনা পোষণ করে রেখেছেন নিজের মধ্যে? তার জন্যেই রাধিকাকে একজন ডাক্তারি পড়ুয়া দেখানো সত্বেও শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচারিতই দেখাতে হচ্ছে তাকে।