Bangla Medium: H2so4 এর সঙ্গে ডিটারজেন্ট মেশালেই জল! “ভাগ্যিস কেমিস্ট্রি টিচার নিয়েছিলাম নইলে আমরাও এর মত ফেল করতাম”, বাংলা মিডিয়ামে ল্যাবে ইন্দিরার কাণ্ড দেখে হেসে কুটিকুটি দর্শক!
সিরিয়ালে টিআরপি তোলার জন্য গল্পের গরু গাছে উঠে যায় এ অনেক আগেই জানা হয়ে গেছে। কিন্তু তাই বলে বিজ্ঞানের মাথা মুন্ডু থাকবে না এমনটাও হতে পারে? এবার সিরিয়ালের দৌলতে সেটাও হচ্ছে।
আজকাল বাংলা সিরিয়ালে টিআরপির প্রতিযোগিতা এত বেশি পরিমাণে হয়ে গেছে যে সেই কারণে গল্প একভাবে শুরু হলেও তার মাঝখানে বিভিন্ন গাঁজাখুরি গল্প চলে আসছে এবং বিতর্কিত বিষয়ে এনে ব্যাপারটাকে শুধুমাত্র দর্শকদের নজর আকৃষ্ট করার জন্যে উপভোগ্য করে তোলা হচ্ছে। যদিও সিরিয়াল মানেই বিনোদন কিন্তু তাই বলে গল্পের গরু কাছে উঠে যাবে এটা দর্শকদের পক্ষে কি মেনে নেওয়া সম্ভব?
তবে আজকাল টিআরপির জন্য এই ধরনের বিভিন্ন বিষয় হরদম সিরিয়ালে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। এবার আবার এক আজগুবি কাণ্ড ঘটলো নতুন শুরু হওয়া এক সিরিয়ালে। স্টার জলসার এই সিরিয়াল ইতিমধ্যেই আলোচনায় উঠে এসেছে যার নাম বাংলা মিডিয়াম। মূলত ইংরেজি মিডিয়াম এবং বাংলা মিডিয়ামের মধ্যে লড়াই নিয়ে এই সিরিয়াল শুরু হয়েছে এবং শুরুর দিন থেকেই সেই লড়াই স্পষ্ট।
ইন্দিরার কাণ্ড দেখে এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই পড়ে গেল। দেখা গেছে ফিউচার ড্রিমস স্কুলে ইন্টারভিউ দিতে গেছে সে। সেখানে হঠাৎ করে কেমিস্ট্রি ল্যাবে আগুন ধরে যায় এবং উপস্থিত সকলের বুঝতে পারে না কি করে সেই আগুন নেভানো যায়। ইন্দিরা একা দায়িত্ব নিয়ে সেই ল্যাবের ভেতর ঢুকে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের সুরক্ষিতভাবে বাইরে বের করে এবং আগুন নেভাতে যে ব্যবস্থা করে তা দেখে রীতিমতো হাসাহাসি শুরু হয়ে গেছে।
ইন্দিরা দেখে যে H2so4 এর বড় শিশি রয়েছে। তারপরে উপস্থিত স্কুলের দুই কর্মীকে সে তাড়াতাড়ি ডিটারজেন্ট পাউডার বেশি পরিমাণে আনতে বলে। তারা নিয়ে আসার পর সেই পাউডার H2so4 এর শিশিতে ঢালতে থাকে ইন্দিরা। এটা কোন লাভ হয় না অবশেষে আগুনের উপর সেই শিশি ছুঁড়ে ফেলে দেয় সে।
এর যুক্তি হলো ইন্দিরা মনে মনে বলেছে H2so4 এর সঙ্গে ডিটারজেন্ট পাউডার মেশালে সেটা জল হয়ে যাবে। আর জল হয়ে গেলে আগুন আপনা আপনি নিভে যাবে। কিন্তু এই যুক্তি কোনভাবেই যে ধোপে টিকছে না সেটা বোঝা গেছে দর্শকদের কমেন্ট থেকেই। তুলোধোনা করা হলো এই সিরিয়ালের চিত্রনাট্যকারের বুদ্ধিকে।
কেউ লিখেছে ভাগ্যিস আমরা কেমিস্ট্রি টিচার নিয়ে ছিলাম নইলে ফেল করতাম। আমার কেউ লিখেছে আর আমরা তো ফ্রুট জ্যুস বানানো শিখেছিলাম ল্যাবে। আবার একজন জনপ্রিয় ইউটিউবার লিখেছেন খুব সুন্দর আহা যদি জগদীশ বোস বেঁচে থাকতেন।