পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গেলো কমলার! বই পুড়িয়ে শোধ তুলবে বিধুরাণী! সংসার না বই-খাতা কাকে বাছবে কমলা?
স্টার জলসার পর্দায় কয়েক মাস আগে শুরু হয়েছিল দুটি নতুন ধারাবাহিক। এক কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ ও দ্বিতীয় রামপ্রসাদ। টিআরপিতে এবং দর্শকের মনে বেশ ভালই প্রভাব ফেলেছে এই দুই ধারাবাহিক। কমলা ও পৃথ্বীরাজের মধ্যেকার দুষ্টু মিষ্টি সম্পর্ক এই গল্পের অন্যতম পাথেয়।
মজার মোড়কে ইংরেজ শাসনে গোঁড়া বাঙালি সমাজের এক অন্য নারী নির্যাতনের গল্প ফুটে উঠেছে এই ধারাবাহিকে। যেখানে বারবার হস্তক্ষেপ করা হয়েছে নারী স্বাধীনতায়। নারী শিক্ষায়। নারীদের জন্য সবকিছুই নিয়মের বেড়াজালে মোড়া। কিন্তু পুরুষদের জন্য ছাড় রয়েছে সবকিছুতেই। আর সমাজের সেইসব গোঁড়ামির বিরুদ্ধেই লড়াইয়ের গল্প বলছে ধারাবাহিক কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ।
এই ধারাবাহিকের সাম্প্রতিক পর্বে দেখানো হয়েছে স্বামীর জন্য পুরুষের সাজে সেজে বাড়ির বাইরে গিয়েছিল মানিকের স্ত্রী কমলা। পড়াশোনায় কমলাকে হারাতে পারে এমন কেউ নেই। আর তা নিয়ে মানিকের গর্বেরও অভাব নেই। যদিও মানিকের বাড়িতে রয়েছে বিধবা পিসি। আর স্ত্রী শিক্ষার ঘোরতর বিরোধী তিনি। স্ত্রী শুধুমাত্র বাড়িতে থাকবে সংসার সামলাবে।
এর আগেও শ্বশুরবাড়িতে ইংরেজি গান গাওয়ার অপরাধে পাপমোচনের জন্য কমলার মাথায় গোবর ঢেলে দেওয়া হয়েছে। আর এবার কমলার ছেলে সেজে বাইরে বেরোনোর অপরাধে কমলার বই পুড়িয়ে দিতে উদ্যত হয়েছে বিধুরাণী! মানিক কীভাবে রক্ষা করবে স্ত্রীকে নিজের পিসির হাত থেকে?
যদিও এই নিয়মের বেড়াজালে বাঁধা শ্বশুর বাড়িতে কমলার স্বস্তির জায়গা হল তাঁর শ্বশুরমশাই, স্বামী এবং বড়মা। পড়াশোনার প্রতি যে কমলার অগাধ আগ্রহ। আর তাই কমলার শ্বশুর মশাই কমলাকে পড়াশোনা শিখিয়ে নিজের মতোই উকিল বানাতে চান তিনি। কিন্তু বাড়ি ও সমাজ তাঁদের বিরুদ্ধে। আর তাই এই যাত্রায় কিভাবে বিধুরাণীর হাত থেকে নিজেদের বই বাঁচাতে পারে কমলা ও মানিক সেটাই এখন দেখার।