দেবার মৃত্যুর বদলা নিতে তৎপর আঁখি! প্রিয়রঞ্জনের খেলা শেষ করতে নতুন ফন্দি আটলো ঝিলিক! দুই শালিকে দমদার টুইস্ট!

স্টার জলসার (Star Jalsha) নতুন ধারাবাহিক ‘দুই শালিক’ (Dui Salikh) দুই যমজ বোন ঝিলিক ও আঁখির বিচ্ছেদ ও পুনর্মিলনের গল্প নিয়ে তৈরি। ঝিলিকের চরিত্রে তিতিক্ষা দাস (Titiksha Das) ও আঁখির ভূমিকায় নন্দিনী দত্ত (Nandini Dutta) অভিনয় করেছেন। দুই বোনের স্বভাব সম্পূর্ণ বিপরীত—ঝিলিক সাহসী ও আত্মবিশ্বাসী, জুডোতে পারদর্শী, আর আঁখি শান্ত ও ভীতু। আঁখির জীবনে আসে দেবা (অর্কপ্রভ), আর ঝিলিকের জীবনে গৌরব (সায়ন বসু)। এই সিরিয়াল দুই বোনের জীবনসংগ্রাম ও তাদের পথচলার কাহিনি তুলে ধরেছে।

আজকের এপিসোডে শুরুতেই আমরা দেখতে পাই, দেবাকে যখন ঝিলিক বলে যে তাকে মরার অ্যাক্টিং করতে হবে দেবা ইতস্তত করতে শুরু করে। ঝিলিক তখন বলে, “তোরা যদি আমার সাথে না থাকিস কোনোভাবেই এই কাজটা করতে পারব না অভিনয়টা তোকে করতেই হবে”। আঁখি তখন বলে, “হ্যাঁ! দেবা এটা করবে”। এরপর আঁখি দেবা কে খাওয়াতে থাকে আর এক প্লেট খাওয়ার শেষ করে দেবা বলে আরেক প্লেট খাওয়ার দেওয়া যাবে কিনা কারণ কতদিন তাকে না খেয়ে থাকতে হবে সেটা কেউ জানে না।

Ankhi

অন্যদিকে প্রিয়রঞ্জন হঠাৎ মনে করে গুলি লাগার পর দেবার আর কোন খবর পাওয়া যায়নি। সেই জন্য সে খবর নিতে গৌরব কে ফোন করলে জানতে পারে দেবা মারা গেছে। অন্যদিকে রেবতীর ঘরের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় পিয়ারকে লক্ষ্য করে হুইলচেয়ার ফাঁকা। ভেতরে গিয়ে সে দেখেন নীলিমা সেখানে উপস্থিত। তাকে প্রশ্ন করে, “ওই মহিলা কোথায়?” উত্তরের নীলিমা বলে, “হঠাৎ তুমি অন্য মহিলা নিয়ে প্রশ্ন করছো কেন, কি দরকার তোমার?” প্রিয়রঞ্জন একেবারে হতবাক হয়ে যায়।

প্রিয়রঞ্জন তখন মনে মনে ভাবতে থাকে যেই নীলিমা একদিন তার ভয়ে কাঁপতো সেই আজকে তার কাছে কৈফিয়ত চাইছে। ঝিলিক সবাইকে কতটা বদলে দিয়েছে। আর দিন দিন তার যা হাল হচ্ছে তাকে শেষ কোথায় হবে কে জানে। অন্যদিকে রাইমা ও পলি আলোচনা করতে থাকে পিয়ারকে কে নিয়ে। রাইমা বলে, “দিন দিন কাকামনির আচরণ আমি ঠিক বুঝতে পারছি না কিন্তু এবার আমাকে সম্পত্তির হিসাবটা বুঝে নিতেই হবে।” পলি এরপর বলে, “তুমি একদম ঠিক বলেছ রাইমা। সবটা দাদা একা ভোগ করতে পারেনা।”

অন্যদিকে কমলা হাসপাতালে দেওয়ার খোঁজ নিতে গেলে ঝিলিক আঁখি সেজে বলে, “দেবা অনেকক্ষণ আগেই আমাদের ছেড়ে চলে গেছে”। এই কথা শুনে সবাই ভেঙে পড়ে এবং দেবাকে দেখতে চাই। দেবাকে যখন বাইরে বের করা হচ্ছে এমন সময় ডাক্তারবাবু বলেন, “এই অন্যায় কাজ আমি করতে পারবো না, আমি বাইরে যাব না”। ঝিলিক বলে, “কাজটা আপনাকে করতেই হবে, মাঝ পথে এসে আপনি এমন করতে পারেন না”।

আরও পড়ুনঃ *”নারী দিবস মানেই নিজেকে সেলিব্রেট করা”— নারী দিবস নিয়ে বিশেষ বার্তা দিলেন কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়!

এরপর ডাক্তার বাবু বাইরে গিয়ে বলে, “আমরা অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু দেবা কে বাঁচাতে পারিনি এবার পোস্টমর্ডাম এর জন্য দেবা কে নিয়ে যাওয়া হবে”। এতক্ষণে ঝিলিকের মা-বাবা বুঝে যায় সবটাই একটা নাটক। এরপর দেখানো হয় আঁখি ঝিলিক ও গৌরব পিয়ার্কের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে। আঁখি যেন এক নতুন জন্ম নিয়েছে সে পিয়ারকে কে বলছে, “তুমি আমার স্বামীকে মেরেছো। তোমাকে আমি ছাড়বো না। পাপ করতে করতে তুমি এত নিচে নেমেছো, তোমার আর কোন নিস্তার নেই।”

পিয়ারকে তখন ভাবে এই বস্তির ঝিলিক আঁখির মুখে কতটা গুলি ফুটিয়েছে। এরপর দেখা যায় বস্তিতে গিয়ে আঁখি সবাইকে বলছে যারা দেবার ক্ষতি করেছে তাদের আমরা কেউ ছাড়বো না। তোমরা আমার পাশে আছো তো সবাই চিৎকার করে হ্যাঁ বলছে। এমন সময় দেবা মনে মনে বলে এমন আঁখিকেই তো আমি সব সময় দেখতে চেয়েছি। এখানেই পর্বটি শেষ হয়েছে।