বর্তমানে প্রতিটি ধারাবাহিক টিকে রয়েছে টিআরপির উপর। যে ধারাবাহিকের টিআরপি যত বেশি, সেই ধারাবাহিকের স্থায়ীকাল তত বেশি। আর তাই এই টিআরপি বাড়ানোর চেষ্টায় বর্তমানে সমস্ত ধারাবাহিক একপ্রকার যেন যুদ্ধে নেমেছে। আর সেই যুদ্ধে জেতার জন্য একের পর এক টুইস্ট আনছে ধারাবাহিকগুলো। পাশাপাশি ধারাবাহিকেও আসছে নানান নতুন মুখ।
স্টার জলসা ও জি বাংলায় একের পর এক আসছে নতুন নতুন ধারাবাহিক। একে ওপরের কম্পিটিটর যেন তারা। জনপ্রিয় সব নায়ক-নায়িকাদের নিয়ে আসছে সেই ধারাবাহিকগুলো। কোনটা ছেড়ে কোনটা দেখবে মানুষ। স্টার যেমন এগোচ্ছে, পাল্লা দিয়ে এগোচ্ছে জি বাংলাও। একই স্লটে দুই চ্যানেলে দুই নতুন ধারাবাহিক। বোঝাই যাচ্ছে, একটার দর্শক কেড়ে নেবে আরেকটা। তবে নতুন আসা ধারাবাহিকগুলোর উপর নির্ভর করছে পুরোনো ধারাবাহিকের টিআরপিও।
পাশাপাশি স্টার জলসায় শেষ হচ্ছে বেশ কিছু ধারাবাহিক। আর টার্বোদলে শোনা গেল পরপর আটটি ধারাবাহিক এন্ট্রির খাতায় নাম লিখিয়েছে। বেশকিছু ধারাবাহিকের কাস্ট ইতিমধ্যে ঠিক হয়ে গিয়েছে। আবার কিছু সিরিয়ালের প্রমোর শুটিং-ও শুরু। সম্প্রতি শুরু হয়েছে ‘তুঁতে’ ও ‘সন্ধ্যাতারা’। তার মধ্যে সন্ধ্যাতারা বেশ প্রিয় হয়ে উঠেছে দর্শকদের। যেখানে প্রধান নায়িকা হিসাবে দেখা গিয়েছে অন্বেষা হাজরাকে। যাঁর ভক্তের সংখ্যা অসংখ্য।
এবার যে সিরিয়াল গুলি আসতে চলেছে, তার মধ্যে প্রথমেই রয়েছে যীশু ও উজ্জ্বল সেনগুপ্ত প্রোডাকশন হাউসের একটি ধারাবাহিক। যে ধারাবাহিকে থাকার কথা ছিল অভিনেত্রী সন্দীপ্তা সেনের। তবে তিনি জানান, তিনি নেই এই সিরিয়ালে। তবে নায়কের চরিত্রে থাকছেন ‘বালিঝড়’ ধারাবাহিকের কৌশিক রায়। দ্বিতীয় যে ধারাবাহিক আসছে সেটি হল লেখিকা লীনা বন্দোপাধ্যায়ের একটি সিরিয়াল। যদিও সেখানে নায়ক-নায়িকার চরিত্রে কে থাকছেন, তা এখনও জানা যায়নি। পাশাপাশি আরও একটি ধারাবাহিক কেচি আইডিয়া প্রোডাকশনের তরফ থেকে আসতে চলেছে।
যেটা হতে চলেছে এই প্রোডাকশনের তরফে প্রথম সিরিয়াল। যাঁর কাস্টিং এখনও ঠিক হয়নি। সাথে আসতে চলেছে সুশান্ত দশ অর্থাৎ টেন্ট প্রোডাকশন হাউসের তরফে একটি ধারাবাহিক। এছাড়াও থাকছে ব্লুজ প্রোডাকশন, মিসিং স্ক্রু প্রোডাকশন, SVF প্রোডাকশন হাউস ও রাজ চক্রবর্তীর প্রোডাকশন হাউসের সিরিয়াল। যদিও লাস্ট এই চার প্রোডাকশন হাউসের সিরিয়ালের কাজ এখনও শুরু হয়নি। তাই এখনও সেই ধারাবাহিকগুলো আসতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। ধীরে ধীরে একের পর এক ধারাবাহিক এন্ট্রি নেবে স্টার জলসায়।
“আমার হাত দেখে কি মনে হচ্ছে, আমি কি কাপড় কাচার জন্যই জন্মেছি? ডু ইউ থিঙ্ক সো!”— ঐন্দ্রিলার দাম্ভিক মন্তব্যে সমাজ মাধ্যমে তোলপাড়! ‘কেন, কাপড় কাচা কি খারাপ জিনিস? বরং না পারাটাই লজ্জার!’ ‘এত অহংকার ভালো না, হঠাৎ পরিস্থিতি বদলে গেলে কি হবে জানেন?’— নেটপাড়ার কটাক্ষ!