Mithai: “বাবাই হওয়ার ঘোরে বুঝতে পারছেন না ছেলে – মেয়ে দুটো যে হারে মা ন্যাওটা ভবিষ্যতে তার রোম্যান্সের বারো-তেরো বেজে যাবে”! শাক্য আর মিষ্টির মায়ের পেছনে ঘোরা দেখে মজা নিচ্ছে ভক্তরা

এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের সবচেয়ে পুরনো সিরিয়াল হলো জি বাংলার মিঠাই। যতই বয়স বাড়ছে সিরিয়ালের ততই তার জনপ্রিয়তা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। পুরনো চল ভাতে বাড়ে এই প্রবাদ এক্ষেত্রে একেবারেই খাঁটি।

জি বাংলার এই ধারাবাহিক ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে লাগাতার দর্শকদের মন জয় করে আসছে। মিঠাই আর সিড ছাড়াও মোদক পরিবারের সদস্যরা সবাই মিলে যেভাবে মাতিয়ে রেখেছে সেটা আজকালকার সিরিয়াল জগৎ এবং সমাজেও বিরল। একেবারেই যৌথ পরিবারের মেজাজ রয়েছে এতে।

তবে বর্তমানে সেই আমেজ থেকে সরে অন্য স্বাদ এনেছে সিরিয়াল। মা বাবা আর দুই সন্তানের বিচ্ছেদ এবং আবার মিল হওয়া এই নিয়ে এগিয়েছে গল্প। ঘটনাচক্রে মিঠাই শাক্যকে জন্ম দিয়ে একটু বড় করেই এক দুর্ঘটনায় মারা যায় এমনটাই দেখানো হয়। সম্প্রতি সে ফিরে এসেছে আর এটাই প্রমাণ যে সে জীবিত ছিল। কিন্তু সঙ্গে এসেছে একটি ছোট্ট মেয়ে মিষ্টি। সে আসলে কে সেটা জানা না গেলেও মিষ্টি তাকে নিজের মা রূপেই চেনে আর মা ডাকে।

মিষ্টি ও মিঠাইকে আপন করে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার পর সিড জানতে পারে মিঠাই স্মৃতি হারিয়ে ফেলেছে। তাই সে শাক্যকেও চেনে না। কিন্তু শাক্য যেহেতু নিজের মাকে কিছুটা বয়স অবধি দেখেছে তাই তার চিনতে অসুবিধা হয়নি। এখন সে নিজের মা আর বোনকে আঁকড়ে থাকে। ওদিকে মিষ্টি সিডকে নিজের বাবা মেনেছে আর বাবাই বলে ডাকছে।

বাচ্চাদুটো ছোট হলে কী হবে মায়ের স্মৃতি ফেরাতে তৎপর। এদিকে শাক্য এতদিন পর মাকে পেয়েছে আর মিষ্টি তো মাকেই তার একমাত্র আপনজন হিসেবে জানে তাই দুজনেই এখন মায়ের সঙ্গে বেশি থাকে।

এদিকে এটা দেখে এক ভক্ত মজা করে লেখে “মোদক বাবু তো এখনও” বাবাই”হওয়ার ঘোরে রয়েছেন তাই বুঝতে পারছেন না!!! ছেলে – মেয়ে দুটো যে হারে মা ন্যাওটা, হয়ে পিছন পিছন ঘুরে বেড়াচ্ছে, ভবিষ্যতে এতে তার রোমান্স এর বারো – তেরো বেজে যাবে ফর সিওর!!! গোপাল পিলিজ হেলপ মোদক বাবু জী!!!”