Meyebela: শুধুমাত্র টাকার জন্য বিয়ে করে এখন মৌ’কে অবহেলা করছে ডোডো! “চাঁদনী’কে ভালোবাসলে মৌকে বিয়ে না করে জেলে যেতেই পারতো”! ডোডো’র ওপর ক্ষাপ্পা দর্শক
দীর্ঘদিন পর বাংলা সিরিয়ালে এন্ট্রি নিয়েছেন
তুখোড় অভিনেত্রী রূপা গাঙ্গুলী(Rupa Ganguly)। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর্দা থেকে দূরে ছিলেন তিনি। রাজনীতির অঙ্গন ছেড়ে ফের অভিনয় দুনিয়ায় ফিরেছেন তিনি। স্টার জলসায় নতুন শুরু হওয়া ধাবাবাহিক ‘মেয়েবেলা’র(Meyebela) হাত ধরে কামব্যাক করেছেন এই অভিনেত্রী। নায়কের মায়ের চরিত্রে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় অভিনয় করলেও এখানে নায়ক নয়, ছেলের বৌয়ের সঙ্গে শাশুড়ির সম্পর্কের রসায়ন দেখানো হচ্ছে।
রূপা গাঙ্গুলী’র বৌমা অর্থাৎ মৌ’এর চরিত্রে এই ধারাবাহিক অভিনয় করছেন, খেলাঘর’ ধারাবাহিক খ্যাত অভিনেত্রী পূর্ণা অর্থাৎ অভিনেত্রী স্বীকৃতি মজুমদার। নায়কের ভূমিকা অভিনয় করছেন অভিনেতা অর্পণ ঘোষাল যিনি ডোডো নামে দারুন পরিচিতি পেয়েছেন। আর তাঁর প্রেমিকার চরিত্রে অভিনয় করছিলেন টেলিভিশনের অত্যন্ত পরিচিত মুখ দেবপর্ণা পাল চৌধুরী। পর্দায় চিনি চাঁদনী নামে পরিচিত! পজেটিভ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সুনাম রয়েছে এই অভিনেত্রীর।
এই ধারাবাহিক শুরুতেই দেখা যায় ডোডো’র সঙ্গে চাঁদনীর ১২ বছরের দীর্ঘ প্রেম পরিণতি পেতে চলেছে। আর সেই বিয়ের আবহে ভেসে আসে দুঃসংবাদ! স্থানীয় গুন্ডাদের জন্য বিপদে পড়ে ডোডো। তার কন্সট্রাকশনে কাজ করা দু’জন শ্রমিকের অ্যাক্সিডেন্ট ঘটানো হয়! ফাঁসানো হয় ডোডোকে। এই বিপদ থেকে বাঁচতে তাঁকে ২ কোটি টাকা দিতে হবে। অর্থ সঠিক সময়ে জোগাড় করতে না পেরে মৌ-এর চালাক মেসোমশাই-এর ফাঁদে পড়ে মৌ বিয়ে করতে রাজি হয় ডোডো।
উল্লেখ্য, এই বিয়ে করবে একেবারেই রাজি ছিল না মৌ। কিন্তু পরিস্থিতি তাঁদের দুজনকেই বাধ্য করে এই কাজে! অন্যদিকে কোনও অতীতের ঘটনার কারণে মৌ’কে দুচোখে সহ্য করতে পারেনা বিথী। কিন্তু ডোডো ও মৌ-এর বিয়ে দিতে প্রতিশ্রুবদ্ধ ডোডো’র ঠাকুমা। অন্যদিকে চাঁদনীর সঙ্গে ডোডো’র বিয়ে হোক সেটা চান না চাঁদনীর বাবাও।
এই সব ডামাডোলের মাঝেই রেজিস্ট্রি বিয়ে হয়ে যায় মৌ-ডোডো’র। কিন্তু মৌকে কিছুতেই নিজের ছেলের বউ হিসেবে মানতে নারাজ বীথি। আর তাই শেষবারের মতো চাঁদনীকে দিয়ে এই বিয়ে আটকানোর চেষ্টা করে সে। ধারাবাহিক অনুযায়ী চাঁদনী’কে বিথী বলে, ‘তোকে শেষ সুযোগ দিলাম চাঁদনী..আমিতো ডোডোকে আটকাতে পারলাম না, তুই দয়া করে ওকে আটকে নে।” আর নেটমাধ্যম তা জানতে পেরে ছিছিকার করছে। মৌ-ডোডো আইনত বিবাহিত তা জানার পরও এই ধরনের কাজ কি করে করতে পারেন বীথিমাসি? প্রশ্ন নেটিজেনদের।
মৌ-ডোডো’র বিয়েকে ঘিরে চূড়ান্ত অস্থিরতা তৈরি হয়। যদিও সঠিক সময়ে এসে অনিচ্ছা সত্ত্বেও মৌকে বিয়ে করে ডোডো। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই মৌ’কে অবহেলা করছে ডোডো। আর বীথি’র কথা তো না বলাই ভালো। ভাবখানা এমন যেন উড়ে এসে জুড়ে বসেছে মৌ।
এই ধারাবাহিকের আসন্নপর্বে দেখানো হবে, ফুলশয্যার রাতে মৌ’কে ঘরে রেখে বেরিয়ে যাচ্ছে ডোডো। পরিবারের সবাই কী ভাববে এটা ভেবে তাঁর পথ আটকায় মৌ। এরপর দু’জনে শুতে গেলে ডোডো’কে জানানো হয় তাঁর মা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এটা যে ছেলে-বৌমার ফুলশয্যা না হতে দেওয়ার জন্য বীথি’র একটা চাল তা বলা বাহুল্য।
এইসব দেখে সোশ্যাল মাধ্যমে এক নেট মাধ্যম ব্যবহারকারী লিখেছেন, আমি বুঝলাম ডোডোর চাঁদনীর জন্য কষ্ট হচ্ছে, তাই বলে মৌও এর সাথে এমন ব্যাবহার,এখন টাকা পেয়ে গেছে বিপদ থেকে উদ্ধার হয়ে গেছে, এখন চাঁদনী চাঁদনী করছে। মৌ কি একবারও বলেছিলো বিয়ে করতে? কোনও সম্মান কোনো অধিকার চায়নি তো। যখন টাকার জন্য পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছিলো তখন বাঁচার জন্য মৌ’কে বিয়ে করলো কেনো? বললেই হতো আমি চাঁদনী কে ছাড়া বিয়ে করবোনা পুলিশ ধরে নিয়ে যাক”