মৌয়ের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে ডোডো! আর ডোডোদাকে হামি দিতে মন ছটফট করছে মৌয়ের! ‘মৌঝর’ মুহুর্ত দেখে আপ্লুত দর্শক
সমস্ত রকম বিতর্কের ঝড় সামলে নিয়ে এই মুহূর্তে বাঙালি ধারাবাহিকপ্রেমী দর্শকদের অন্যতম পছন্দের একটি ধারাবাহিক হল স্টার জলসার (Star Jalsha) পর্দায় চলা ‘মেয়েবেলা’ (Meyebela)। বাস্তবধর্মী এই ধারাবাহিকের মূল আকর্ষণ এখন এই ধারাবাহিকের নায়ক-নায়িকা মৌ ডোডোর সম্পর্ক। দর্শকদের ভীষণ পছন্দ হয়েছে এই জুটি।
ইতিমধ্যেই দর্শকমহলে এই জুটি এতটাই জনপ্রিয় হয়েছে যে দর্শকরা জানেন ধারাবাহিকে ডোডোর ভালো নাম নির্ঝর। আর তাই দর্শকরা ভালোবেসে এই জুটির নতুন নাম রেখেছেন ‘মৌঝড়’। বাস্তবতার মোড়কো মোড়া এই ধারাবাহিকটি একাধিক চ্যানেলের বিভিন্ন ধারাবাহিকের থেকে একেবারেই আলাদা।
উল্লেখ্য মেয়েবেলা ধারাবাহিকের একদম শুরুর দিকেই দেখানো হয় ডোডো’র সঙ্গে চাঁদনীর ১২ বছরের দীর্ঘ প্রেম পরিণতি পায়নি। স্থানীয় গুন্ডাদের জন্য বিপদে পড়ে ডোডো। তার কন্সট্রাকশনে কাজ করা দু’জন শ্রমিকের অ্যাক্সিডেন্ট ঘটানো হয়। ফাঁসিয়ে দেওয়া হয় ডোডোকে। এই বিপদ থেকে বাঁচতে তাঁকে ২ কোটি টাকা দিতে হয় গুন্ডাদের। অর্থ সঠিক সময়ে জোগাড় করতে না পেরে মৌ-এর চালাক মেসোমশাইয়ের ফাঁদে পড়ে গিয়ে চাঁদনীকে ছেড়ে মৌকে বিয়ে করতে রাজি হয় ডোডো।
কিন্তু এই বিয়েতে একেবারেই রাজি ছিল না মৌ। কিন্তু পরিস্থিতি তাঁদের দুজনকেই বাধ্য করে এই কাজে। তবে সেদিন বিয়েটা পরিস্থিতির চাপে করলেও আজ পর্যন্ত কখনই সে মৌয়ের প্রতি কোনরকম দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেনি কিন্তু ডোডো। আর তাঁর এই দায়িত্বজ্ঞান পূর্ণ ব্যবহার মুগ্ধ করেছে দর্শকদের।
মেয়েবেলা ধারাবাহিকের বর্তমান ট্র্যাকে দেখা যাচ্ছে এক ছাদের নীচে থাকতে থাকতে মৌয়ের প্রতি দুর্বলতা বাড়ছে ডোডোর। মৌয়ের সহজ সরল সাধাসিধে মনটার প্রেমে পড়ে গেছে ডোডো। তাঁদের মধ্যে শুরু হয়েছে মিষ্টি বন্ধুত্বের সম্পর্ক। যদিও প্রথমে ভালো মানুষের মতো ব্যবহার করলেও এখন ডোডোর জীবনে প্রবেশের সমানে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চাঁদনী।
যদিও সাম্প্রতিক এপিসোডে মৌ আর ডোডোর মধ্যেকার বন্ধুত্বের সম্পর্ককে ধীরে ধীরে প্রেমের দিকে এগোতে দেখে ভালো লাগছে দর্শক। দুজনের মুখের আলগা লাজুক হাসি দিল জিতে নিয়েছে দর্শকদের। এই ধারাবাহিকের সাম্প্রতিক পর্বে মিষ্টি ‘মৌঝোর’ মুহূর্ত দেখে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন দর্শকরা।