বাংলা টেলিভিশনে এই মুহূর্তে চতুষ্কোণ প্রেমের সম্পর্ক চলছে ধারাবাহিক এক্কাদোক্কাতে। গল্পকে রীতিমতো ঘেঁটে দিয়েছেন লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায় এমনটাই অভিযোগ উঠেছে বারবার। পোখরাজ আর রাধিকা দুজনের মাঝেই এসেছে দুই আলাদা মানুষ। পোখরাজ জড়িয়ে পড়েছে অন্য বিয়ের সম্পর্কে আর রাধিকা এখনো বিয়ে না করলেও বিয়ের কথা এগিয়ে গিয়েছিল।
দুজনের গল্পে চারজনকে এনে নায়িকা চরিত্রটিকে কার্যত রাস্তায় নামিয়ে ছেড়েছেন তিনি। আসল নায়ক নায়িকার মিল হওয়ার আশাই প্রায় ছেড়ে দিয়েছেন দর্শকরা। দর্শকদের বলছেন অনির্বাণ-রাধিকাকে এক করতেই পোখরাজের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়েছে রঞ্জার। আর এই জুটি ধীরে ধীরে দর্শকদের মনোরঞ্জনে সমর্থ হয়েছে। বর্তমানে রাধিকা-পোখরাজের থেকে রঞ্জা-পোখরাজ জুটি দর্শকদের বেশি মনে ধরেছে।
অনির্বাণ রাধিকার বিয়ের আগেই গল্পে এসেছে এক নতুন টুইস্ট। হঠাৎ করেই খবর আসে অন্তঃসত্ত্বা রাধিকা। রাধিকার এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই সম্পূর্ণভাবে বদলে যায় অনির্বাণ। রাধিকাকে অপমান করতে থাকে সে। এমনকি রাধিকার দিদি অঙ্কিতার বিয়েতে হাজির হয়ে তাঁকে যথেচ্ছ অপমান করে অনির্বাণ। অপমান করে পোখরাজকেও। এই সন্তান যে রাধিকা-পোখরাজের তা নিশ্চিত অনির্বাণ।
যদিও পোখরাজকে অপমানিত হতে দেখে মুখ খোলেনি রাধিকাও। যদিও অপমানিত হয়েও খুব বেশি রিয়াক্ট করেনি পোখরাজ। তাঁর আবেগের বিস্ফোরণ ঘটেছে রঞ্জার কাছে এসে। আসলে রঞ্জাই পোখরাজের কমফর্ট জোন। ভক্তরা বলছেন একবাড়ি ভর্তি লোকের সামনে অপদস্থ হওয়েও নিজের রাগ, নিজের ইমোশনকে কন্ট্রোল করে বাড়িতে ফিরে সঠিক মানুষটার কাছে গিয়েই সব কথা মন খুলে বলল পোখরাজ।
বাড়িতে এসে পোখরাজ সেই মানুষটার কাছেই সব খুলে বলেছে যে ওর সব কথা শোনে, ওকে বোঝে। যেভাবে উত্তেজিত পোখরাজকে সামলালো রঞ্জা তা এককথায় প্রশংসনীয়। দর্শকরা বলছেন ‘ আসলে আমাদের সবার জীবনেই এমন একজন রঞ্জার খুব প্রয়োজন যে আমাদের সমস্ত কঠিন পরিস্থিতিতে ঠিক এভাবেই সামলাবে।