বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম হল টেলিভিশন। আর সেই টেলিভিশনের বেশ কিছু জুটি দাগ কেটে যায় দর্শকদের মনে। আসলে সিনেমা হোক বা সিরিয়াল সব জায়গাতেই কিছু কিছু জুটি দর্শকদের ভীষণ প্রিয় হয়ে ওঠে! আসলে দর্শকরা ভালবেসে ফেলেন তাঁদের। সেই জুটিকেই বার বার দেখতে চান তাঁরা। ধারাবাহিক শেষের পরেও ফের একসঙ্গে তাঁদের দেখার ইচ্ছা থাকে দর্শকদের। আর এমনই দু’জন তারকা হলেন অভিনেতা প্রতীক সেন(Pratik Sen) ও অভিনেত্রী সোনামণি সাহা(Sonamoni Saha)। দর্শকদের কাছে তাঁর পরিচিত ছিলেন ‘মোহদীপ’ বা ‘সোনাতিক’ নামে।
মোহর ধারাবাহিকের শঙ্খ স্যার’কে সবাই চেনে! নিজের অসামান্য ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন অভিনয়ের জেরে দর্শককুলের মন জিতে নিয়েছিলেন তিনি। তৃণা সাহার বিপরীতে খোকা বাবু ধারাবাহিক দিয়ে তাঁর ধারাবাহিক যাত্রা শুরু হয়। এরপর মোহর ধারাবাহিকে সোনামণি সাহা’র সঙ্গে তাঁর অনস্ক্রীন রসায়ন ভক্তদের দারুণ লেগেছিল। ভক্তরা তাদের দু’জনকে ফের একসঙ্গে দেখতে চেয়েছিলেন। আর সেই ইচ্ছেই এবার পূরণ হয়েছে।
‘সাহেবের চিঠি’ শেষ হওয়ার পর এক্কাদোক্কা ধারাবাহিকে গম্ভীর ডাক্তারের চরিত্রে ফিরেছেন তিনি। আর তিনি ফিরতেই কোনঠাসা পোখরাজ ওরফে অভিনেতা সপ্তর্ষি মৌলিক। যাঁরা এই ধারাবাহিক দেখেন তাঁরা জানেন, রাধিকা বর্তমানে পোখরাজের থেকে অনেকটা দূরে চলে গিয়েছে। সে ইন্টার্ন হিসাবে অন্য একটি হাসপাতালে যোগ দিয়েছে। সেখানেই ডাক্তার গুহ’র চরিত্রে দেখা যাচ্ছে ‘মোহর’ খ্যাত শঙ্খ ওরফে অভিনেতা প্রতীক সেনকে।
দর্শকদের অভিযোগ ছিল আসল নায়ক সপ্তর্ষি মৌলিক’কে কম গুরুত্ব দিয়ে প্রতীক সেনকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন নির্মাতারা। ‘রাধিরাজ’ ভক্তরা ফের দেখতে চাইছিলেন এই জুটিকে। রাধিকার প্রতি অনুরক্ত হলেও ডঃ গুহ কিন্তু রাধিকা আর পোখরাজের মিল করিয়ে দিতে চাইছেন। যদিও এখনও পর্যন্ত মিল হয়নি তাঁদের। এরইমধ্যে আবার রাধিকা থাকতে শুরু করেছে ডঃ গুহ’র বাড়িতে। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে শুরু হয়েছে নোংরা ট্রোলিং। কেন রাধিকা ডঃ গুহর বাড়িতে থাকতে শুরু করল? কেন ডঃ গুহ রাতে রাধিকার ঘরে ঢুকল ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে নোংরা ইঙ্গিত করা হয়।
আর এবার সেই নোংরা ইঙ্গিতের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালো রাধিকা ভক্তরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ভক্ত লিখেছেন, “রাধিকাকে এখানে একজন সৎ , নির্ভিক , ন্যায়পরায়ণ , আত্মসম্মানী , বন্ধুবৎসল এবং ভালোবাসায় পূর্ণ নরম মনের একটা মেয়ে হিসেবে দেখানো হয়েছে ۔۔۔যে নিজে হাজার ব্যাথা সহ্য করেও হাসি মুখে চলতে পারে ۔۔۔অন্যের সুখে সুখী এবং অন্যের দুঃখে দুঃখী হয় ۔۔۔ রাধিকার মতো মেয়েরা ভালোবাসাকে নিজের হৃদয়ে রাখে আর তার প্রমান ও চিৎকার করে না দিলেও কাজে বুঝিয়েছে ۔۔۔ডির্ভোস হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও পোখরাজ এর শরীর খারাপের কথা শুনে ছুটে গেছে ۔۔۔কিডন্যাপের খবরটা শুনেও যাবে বিনা স্বার্থে , ও যদি না যায় সেটাই আশ্চর্যের হবে ۔۔۔এবং এবার ডাক্তার গুহও ওকে সাহায্য করবে ۔۔۔কারণ ডাক্তার গুহ কি চান সেটা পরিষ্কার করেই বলেছেন ۔۔۔কেউ যদি বুঝতে না পারে সেটা তার সমস্যা।”
তিনি আরও লিখেছেন, “রাধিকা ডাক্তার গুহর বাড়িতে আছে বলে অনেকেই তার সম্পর্কে অনেক বাজে মন্তব্য করছে ۔۔ কিন্তু গত দুদিন আর আজকের এপিসোড যারা দেখেছে বা দেখেছি তাতে এতো খারাপ মন্তব্য পোষণ করার মতো কি আছে আমি অন্তত বুঝলাম না ۔۔۔ রাধিকা কেন ডাক্তার গুহর বাড়িতে থাকলো ۔۔কেন রাত্রে ডাক্তার রাধিকার ঘরে গেলেন ۔۔۔আর তারপর কি কি কথোপকথন হল ۔۔۔ সেগুলো যদি বিশ্লেষণ করা যায় তাতে খারাপ লাগার বিষয় কিছু আছে বলে মনে হয় না ۔۔۔বরং একজন বন্ধু আর একজন বন্ধুকে বোঝাচ্ছে বা জীবনের পাঠ পড়াচ্ছে ۔۔ ভালোই তো লাগার কথা ۔۔۔ মনকে উন্মুক্ত করতে হবে রাধিকা বা ডা.গুহ চরিত্র দুটোকে বোঝার জন্য ۔۔۔ সম্পর্ক অনেক রকমের হয় ۔۔۔এক জায়গায় আটকে থাকে না।”