বাংলা টেলিভিশনের জন্মকাল থেকেই বাঙালি দর্শকদের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম হলো বাংলা ধারাবাহিক(Bengali Serial)। এক একজনের এক একটি ধারাবাহিক প্রিয়। বর্তমানে স্টার জলসা’র অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল বালিঝড়। লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের(Leena Ganguly) লেখনীতে এক ত্রিকোণ প্রেমের গল্প ফুটে উঠেছে।
উল্লেখ্য, একটা সময় TRP তালিকায় রাজ করেছিল এই ধারাবাহিক খড়কুটো। গুনগুন-সৌজন্য জুটিকে ফেরানের আর্জি জানিয়েছিলেন ভক্তরা। গুঞ্জন সেই আর্জি মঞ্জুর করেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর লেখা ধারাবাহিকেই ফের স্টার জলসায় ফিরেছেন তৃণা ও কৌশিক। তবে এবার শুধু তৃণা আর কৌশিক নয়, তাঁদের সঙ্গেই ফিরেছেন ইন্দ্রাশিস রায়। এবার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গল্প সাজিয়েছেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়।
এই ধারাবাহিকে দেখানো হয় সমুদ্র সেন নামে এক বড় পলিটিশিয়ানের মেয়ে ঝোরা। আর সেই পলিটিশিয়ানের নয়নের মনি তাঁর প্রিয় পাত্র মহার্ঘ্য। এই ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছে, ঝোরা ভালবাসে স্রোত ওরফে ইন্দ্রাশিসকে, তাকেই বিয়ে করতে চায়, কিন্তু ঝোরার সঙ্গে মহার্ঘ্যরই বিয়ে দেন সমুদ্র সেন।
মহার্ঘ্য আবার সবসময়ই ঝোরার প্রতি সহানুভূতিশীল। ঝোরার সঙ্গে মহার্ঘ্য বিয়ে হলেও সে জানে তাঁর স্ত্রী ভালোবাসে স্রোতকে। ঝোরা যে কোনওদিনই মহার্ঘ্যকে মেনে নিতে পারবে না সেটাও সে ভালো করেই জানে। আর তাই ঝোরাকে স্রোতের কাছে ফিরিয়ে দিতে বদ্ধপরিকর সে। তবে ধীরে ধীরে মহার্ঘ্য আর ঝোরার সম্পর্ক স্বাভাবিক হচ্ছে । মহার্ঘ্যকে বিশ্বাস করতে শুরু করেছে ঝোরা।
আসলে ধারাবাহিক বালিঝড়ও তেমন পারফরম্যান্স করতে পারছে না টিআরপি তালিকায়। বর্তমানে স্টার জলসা’র প্রাইম টাইমে থাকা অন্যতম ধারাবাহিক হল এটি। একটা সময় TRP তালিকায় রাজ করেছিল এই ধারাবাহিক খড়কুটো। গুনগুন-সৌজন্য’র জুটিকে ফেরানের আর্জি জানিয়েছিলেন ভক্তরা। সেই আর্জি মঞ্জুর করেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু কোনওভাবেই খড়কুটোর ক্রেজ ফিরে আসছে না। আবার তৃণার বিপরীতে নায়ক হিসেবে ইন্দ্রাশিসও বেমানান। তবে মহার্ঘ্য বলেছে এক বছর পর সে ঝোরাকে ডিভোর্স দিয়ে দেবে মানে সত্যিই দিয়ে দেবে। এই এক বছরে পর ঝোরা মহার্ঘ্যর প্রেমে পড়ে যাবে। ফলে ডিভোর্সের পরে স্রোতের সঙ্গে বিয়ে হলেও মহার্ঘ্যর পিছন পিছন ঘুরবে ঝোরা। তখন আবার সৌগুনের
ভক্ত আর স্রোতের ভক্তদের মধ্যে ঝগড়া বাঁধবে।
আর তাই দর্শকরা বলছেন অবিকল এক্কাদোক্কা আর গুড্ডির ভবিষ্যৎ হতে চলেছে বালিঝড়ের। যেখানে নায়িকা পিংপং বলের মতো একবার এর কাছে একবার ওর কাছে যাতায়াত করবে। আর লড়াই বাঁধবে পুরুষ ভক্তদের মধ্যে। আর তাই এক নেটিজেন সোশ্যাল মিডিয়াতে লিখেছেন, ‘বালিঝড়ের গল্প ভবিষ্যতে কী হবে সেটা গুড্ডি আর এক্কা দোক্কার গল্প দেখে খুব সহজেই বোঝা যাচ্ছে। যেহেতু মহার্ঘ্য বলেছে এক বছর ঝোড়াকে ডিভোর্স দিয়ে দেবে মানে সত্যিই দিয়ে দেবে। এই এক বছরে ঝোড়া ওর প্রেমে পড়ে যাবে। ফলে ডিভোর্সের পরে স্রোতের সঙ্গে বিয়ে হলেও মহার্ঘ্যর পেছন পেছন ঘুরবে। ঠিক তখনই সৌগুন ফ্যানস আর স্রোতকে যাঁরা পছন্দ করে তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হবে যেমনটা এখন সোনাতিক ফ্যানস আর পোখরাজ ফ্যানসদের মধ্যে হচ্ছে। আর কার সঙ্গে বিয়ে হবে এই সাসপেন্সের জন্যই ধূলোর মতো এটাও স্লটটা পেয়ে যাবে।’