অনেকদিন পর ধারাবাহিকে সুন্দর স্বাভাবিক বিয়ে হতে দেখছে ব্যাংকের দর্শকরা। বিশেষ করে সেই ধারাবাহিকে যে ধারাবাহিকে একসময় নায়িকা নাকি নিজেই নিজেকে সিঁদুর পরিয়েছিল। এই জেট দুনিয়াতেও মানুষ যেন বড্ড অদ্ভুত। আধুনিকও হয়েছেন, তবে পুরোপুরি নয়। কারণ গুড্ডি (Guddi, Star Jalsha) অনেক ধারাওনকেই ভাঙছে।
অনেক তথাকথিত ভুল ভাবনাকে বেশ ভালোমতো টক্কর দিচ্ছে স্টার জলসার গুড্ডি ধারাবাহিক। প্রথম একটি ধারাবাহিক যেখানে ত্রিকোণ প্রেম দেখা গেলেও হিরো হিরোইন এক হল না। বরং গল্প ঘুরতে লাগল অন্যদিকে। সব যেন কেমন অন্য রকম, আলাদা। আর এই আলাদা স্বাদটা প্রথমে অনেকেই নিতে পারছেন না। কিন্তু আবার অনেকেই ভীষণভাবে ভালোবাসছে।
গল্পের শুরুতে ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে ছিল গুড্ডি, অনুজ ও শিরিন। এই অনুজকে নিয়ে গুড্ডি ও শিরিনের রীতিমতো টানাটানি। এমনকী অনুজের অ্যাকসিডেন্টের খবর পেয়ে নিজের বিয়ের পিঁড়িত ছেড়ে রীতিমতো চলে গিয়েছিল গুড্ডি। কিন্তু গুড্ডি যখন জানতে পারে শিরিনের পেটে অনুজের বাচ্চা, তখন একরকম বাধ্য হয়েই যুধাজিৎকে বিয়ে করেন গুড্ডি। তাই বিয়ের মণ্ডপে প্রথমে নিজেকেই নিজে সিঁদুর পরিয়েছিল। আর সেই নিয়ে কম ট্রল হয়নি গুড্ডি।
তবে এখন যুধাজিতের প্রতি সত্যিই একটা টান তৈরি হয়েছে। এতে অবশ্য অনেকেই বেঁকা নজর দিয়েছিল গুড্ডির দিকেই। আর তাতেই এক গুড্ডি অনুরাগী খচে গিয়ে লিখিলেন, “কিছু মানুষের কথায় দেখছি আজ নায়ক অন্যের বাচ্চার বাবা হতে পারে তাতে ক্ষতি নেই কিন্তু নায়িকা অন্য কাউকে ভালোবাসে বলেই সে নায়ককে ঠকাচ্ছে। কী অপূর্ব মানসিকতা! অনুজ যদি শিরিনের সন্তানের বাবা হতে পারে তাহলে গুড্ডি যুধাজিৎকে ভালোবেসে উচিত কাজ করেছে। বেশ করেছে গুড্ডি। অনুজের প্রতি এতটুকু মায়া হয় না।”
বরং যুধাজিতের মতো ভালো আদৌ কেউ বাসতে পারবে! এই প্রশ্নটা অনেক অনুরাগী করেছিল। আসলে হিরোর ঊর্ধ্বেও মানুষে চায় নায়িকা ভালো থাকুক। আর এই ভালো থাকার মন্ত্রটাই যে আসল, এটা এই ধারাবাহিক বারে বারে বোঝাচ্ছে। তাই আবার সেই প্যান্ডেল, আবার বিয়ের সাজে দুজনে, কিন্তু এবারে বিয়েটা একদম বিয়ের মতো। কারোর মতের বিরুদ্ধে গিয়ে নয়, বরং দুজন দুজনকে ভালোবেসে।