এখন মরশুমে ও বাতাসে সবেতেই বসন্তের ছোঁয়া। তাহলে আমাদের বাংলা টেলিভিশনে না লাগল কীকরে হবে? এমনিতেই ধারাবাহিকগুলোতে বছরের অর্ধেক সময় ঝগড়া ঝাটির ।মাঝেও টুকটাক আনন্দ, প্রেমের ছোঁয়া লেগেই থাকে। তবে এবারে সত্যি সত্যিই বসন্তের ছোঁয়া লেগেছে।
আর এই বসন্তের সময়ে বসন্ত উৎসব নিয়ে হাজির হয়েছে স্টার জলসার “বসন্ত ফাগুন”। সেখানে স্পেশাল প্রমোতে উঠে এলো গাঁটছড়ার প্রোমো। এই এপিসোডটা যেমন বসন্তের রঙে মাখা তেমনই যেন সুন্দর। বসন্ততো আমাদের এটাই শেখায়, প্রেম ভালোবাসার বন্ধনকে বসন্ত ঋতুর মাধুর্য ও মায়ায় বেঁধে রাখতে তো শেখায়।
আর গাঁটছড়ার (Gaatchora) এই প্রোমো প্রত্যেকটা সিনে তাই প্রমাণ করছে। প্রথম সিনেই দেখা যাচ্ছে খড়ি ঋদ্ধিমানকে বসন্তের পলাশরাঙা লাল রঙে রাঙিয়ে দিচ্ছে। দর্শকরা খড়ি ঋদ্ধির এই প্রেম দেখার জন্য কত উৎসুক। কিন্তু এই সিনটা ভালো করে দেখবে সেই সুযোগ কই?
ওপাশ থেকে শোলে সিনেমার ডায়লগ ভেসে উঠল, আর দেখা যাচ্ছে সিঁড়ি থেকে একপা ঝুলিয়ে ম’রতে চলিছে কুণাল? কারণ কী? কারণ এটাই যে নিজের ভালোবাসার কথা সে জানাতে পারছে না, তাঁর ভালোবাসা অসম্পূর্ণ থেকে যাচ্ছে।
কিন্তু খড়ি থাকতে টেনশন কীসের? ঠিক ব্যবস্থা করে দিয়েছে। কথা দিয়ে তাঁকে নীচে নামতে বলে। আর তারপরটা তো পুরো সিনেমার মতো। অবশ্যই হবে নাই বা কেন সিনেমার মতো, আসলেই তো অত্যন্ত মিষ্টি একটা ধারাবাহিক, আর ততটাই মিস্টিভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে এই সিনটা। সিনে দেখা যাচ্ছে বাড়ি শুদ্ধু সবাই হঠাৎই লাল আবির, মালা এইসব নিয়ে তৈরি।
কুণাল আর তাঁর ভালোবাসার মানুষকে একটি কাপড়ের তলায় নিয়ে আসা হয়। সুযোগের সুবিধা নিয়ে ঝটফট গলায় মালা পরিয়ে নিজের ভালোবাসার কথা জাহির করে দেয় কুণাল। আর সঙ্গে সঙ্গে ওপাশ থেকে ঋদ্ধিমান বলে ওঠে, শুভ বিবাহ সম্পন্ন হইল। কিন্তু এত কিছুর মাঝে কী যে হল? কীভাবে যে হল? তারপর কী হবে? আদৌ কি এটা সত্যি না শুধু স্বপ্ন? এইসব অনেক প্রশ্ন দর্শকদের মনে আসছে। তবে দর্শকরা তো সিঁড়ি দিয়ে আ’ত্মহত্যা’র সিনটা দেখেই হেসে লুটোপুটি খাচ্ছে। তবে কুণাল কাকে জানালো নিজের এই মনের কথা? নিশ্চই জানা আছে, আর না থাকলে একবার দেখে আসতে পারেন প্রোমোটি।